somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউরোপে যুদ্ধ ঢুকেছে বাংলাদেশে চলছে অদৃশ্যে

০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইউরোপে যুদ্ধ ঢুকেছে,সেখানের সময় আর আমাদের সময় যাওয়া এক নয়। তাদের সময় যায় গুণে গুণে আর আমাদের সময় যায় অপেক্ষায়। তাদের সময় যায় কামানের গুলার শব্দে আর আমাদের সময় যায় নিঃশব্দে। একটা মিল দুটি দেশেরই আছে; তা হলো সুন্দর দিনের আশা।

আমাদের ঘরে যুদ্ধ নেই কিন্তু দুয়ারে আছে সর্বগ্রাসী ভারত। তারা ভোটের জন্যে তাদের জনগণকে দেখাতে চায় বাংলাদেশ তাদের হাতে আছে, নিয়ন্ত্রণে আছে। আর আমাদের সরকার চায় যেকোন মূল্যে ক্ষমতা। তিনি বলতে চান এদেশে উনার চেয়ে যোগ্য কেউ নেই। তাহলে গত ১৫/১৬ বছরে দেড়যুগে কার চুল ছিঁড়লেন? দেশে কোন যোগ্য কাউকে তৈরি হওয়ার পরিবেশ দিলেন না? তাহলে আপনাকে দিয়ে আমরা কি চুল উৎপাদন করতেছি!

দুটি দেশেই আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক আছে। ভাড়া খাটা যুদ্ধ বাহিনী বা ওয়াগনার গ্রুপ; যাদের নৈতিক মানবতার বালাই নেই। এরা জানে যুদ্ধে জয় আর সম্পদ সংগ্রহ। এরা মনে মনে চায় যুদ্ধ স্থায়ী হোক এত স্থায়ী যেন মুনাফা আসতেই থাকে। পুতিনের এদের প্রয়োজন, এমন কি ভারত থেকে লোভে লোভে এমন লোক গেছে! বেশিরভাগ গুর্খা যারা মানসিক ভাবে যুদ্ধবাজ। ভারতে এটি আলোচিত ঘটনা তখন যখন আমেরিকা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানায় এবং কিছুটা আপত্তিও করে।
অপরদিকে আছে নিরাপদ জীবনের জন্যে লড়ে যাওয়া জাতীয় ইউক্রেনীয় সম্প্রদায়,যার ক্লান্তির পর আবার ক্লান্তি আসে৷ তার ভেতর ভেসে উঠে প্রিয়জনের মুখ,প্রিয় সন্তান, প্রিয় ফসলের ক্ষেত, প্রিয় আঙিনা, প্রিয় ফুল-পাখি-গাছ।

আমাদের দেশের ওয়াগনার গ্রুপ হচ্ছে ভারতীয় ব্যবসায়ী,দালাল, সেটেলমেন্ট করে দেয়া ভাড়াটে, দেশের নব্য ধনী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর পেটোয়া যুব-ছাত্রলীগ সম্প্রদায় এবং প্রিগোজিনখ্যাত প্রতিষ্ঠিত শোষক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়! দেশের ভেতর অনুৎপাদনশীল ট্রেডিং কর্পোরেশন, যারা আমদানি করে করে দেশের খুঁড়িয়ে চলা ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলোর আরেক ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার জন্যে মরিয়া।

করোনায় আমরা দেখেছি নিজস্ব উৎপাদন ছাড়া কত হাহাকার হয়! নিজস্ব হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ছাড়া বাবুল চৌধুরী আর আব্দুল মোনেম মিয়ারাও আইসিইউ পায় না।
আমাদের তৈরি হইছে সরকারের রাজস্ব তুলে দেয়া আবু ইসহাকের লিখা জোঁক বাহিনী নামক এনবিআর এবং দূর্নীতি দমন কমিশন। সবই প্রিগোজিন আর ওয়াগনার গ্রুপ। এদের কোন মানবতা নেই, মানবতার প্রয়োজন হয় না, হলে থাকতো। সরকারের ক্ষমতার প্রয়োজনে এদের অদৃশ্য ও অলিখিত ইনডেমনিটি পাওয়া। এখন শুধু এদের সন্তানের জন্যে দরকার আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়, আলাদা পাশ ব্যবস্থা। হলেই চৌদ্দ পুরুষের ব্যবস্থা হয়ে যায়। ১৫/১৬ বছরে এটিও তাঁর একটি বড় অর্জন।

কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ চালিয়ে, ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে এখন শুনি ক্যাপাসিটি চার্জও দিতে হবে আবার বিদ্যুৎ কিনতেও হবে। পুরো লেজেগোবরে অবস্থা। এ অবস্থা, এ অব্যবস্থাপনা একদিনে হয়নি। একজন যোগ্য ব্যাক্তি বলতে বলতে সকল অযোগ্যরা করেছে। মূলতই যারা করেছে তারা ধুরন্ধর, স্বার্থবাজ এবং অতিচালাক আর যোগ্য ব্যাক্তিটি একজন চরম মূর্খ ও আত্মঅহংকারী যার শুধু প্রশংসা হলেই চলে। অতীতে তাই-ই প্রমাণ হয়ে আসছে।

এমনও অবিবেচক চিন্তাশীল পাওয়া যায় অত্যাচারের মাত্রা কতটুকু অনুভব না করে গেয়ে উঠেন বিরোধী দল তুমি তো ভালা না। এমন কপট, স্বার্থপর আর ফয়দাবাজ আমাদের জন্যেই যে এমন খারাপ অবস্থা তা না বলে গেয়ে উঠি তুমি তো ভালা না! আপনি তো ভালা লয়ে খাচ্ছেন।

আসি প্রথমে ; যুদ্ধ ইউরোপে তাই মানবতা কাঁদে। এখন নেতানিয়াহু-কে ইউরোপীয় বংশধরেরা থামাতে চায়। এটি তবুও অসাধারণ। আশা করি এ যুদ্ধ বিরোধী চেতনা আগামীর পৃথিবীকে দীর্ঘদিন পথ দেখাবে, যেমনটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর দেখিয়েছিলো।
ভারতীয় জনগণকে যে অখন্ড ভারতীয় স্বপ্নে বিভোর করেছে এ স্বপ্ন থেকে পুরোপুরি পিছু হঠাতে হবে। রাশিয়ার মতো ভারতকেও থামাতে হবে। কে কোন ফ্রন্টে কত আপন, এসব না দেখে দেখতে হবে কার আগ্রাসন আমার ঘরে আগ্রাসন আসতে বাধ্য ও উৎসাহিত করে তার গলা চেপে ধরো৷ এটাই সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নিয়ম।

স্বৈরাচার উত্তর বাংলাদেশ ভয় তো মূলত জামাত এমনটি চিহ্নিত করতে চান একটি প্রগতিশীল পক্ষ। সেটি মোকাবিলা পরে করা যাবে তাদের গতিপ্রকৃতি দেখে৷ কিন্তু এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্বৈরাচার উত্তর দেশ তৈরি। ইউক্রেনের সময় যাচ্ছে যুদ্ধের ভেতর আর আমাদের সময় যাচ্ছে যুদ্ধহীন অনিশ্চয়তার ভেতর। এ অসমতা, এ অস্বাভাবিক অবস্থা রেখে আপনি চেপে চেপে সময় পার করতে পারবেন কিন্তু বেশি দিন দমিয়ে রাখতে পারবেন না।
তাই তো তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী বলে উঠেন নিরবতা আর ঠান্ডা সময়ে ; আমার চেয়ে যোগ্য কে আছে? বলি এটাই আপনার অযোগ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×