গণভবনে আমি যাইনি,ছোট ভাই-রা অনেক জোরাজোরি করেছে তবুও যাইনি, কেনো যাইনি? না যাওয়ার কারণ হলো ঐখানে কি হবে ঐটা আমি ইতিহাস থেকে জানি!
কয়েকটা আইকনিক ছবি হয়েছে গণভবনে তার মধ্যে একটা হলো সংসদের চেয়ারে বসে বিড়ি ফুঁকা। স্বাধীন বাংলাদেশে এই ছেলেটিকে পুরষ্কৃত করা উচিত এবং তাকে জিগ্যেস করা উচিত সে কোন মানসে এটি করেছে। আপনি ছেলেটির শারীরিক ভাষা দেখেন,অসাধারণ নায়কোচিত।
আরেকটি ভালো লাগা বিষয় হলো ব্রা নিয়ে মাতামাতি, এটিও একটি অসাধারণ ছবি। আপনার কি পৈশাচিক লাগে? লাগুক, আপনি জানুক পরিণতি কত ভয়াবহ হয়। উনাকে পুরষ্কৃত করা উচিত কিন্তু নৈতিকভাবে এগুলো করা যায় না।
হাসিনা-র মুখের ভাষা গুলো মনে করেন, সংসদে কি খিস্তিখেউড় হতো মনে করেন; তার আইকনিক জবাব কি?
জবাব এগুলোই।
হা*রা*জা*দাপা*না করবা? তার বিপরীতে ফল পাবে না? এটা হয়? আমি নিজে যদি যেতাম তাহলে এসব কথার নৈতিক জোর থাকতো না, এজন্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ গেলেও আমি যাইনি।
রাজনীতি করি একদম প্যাশন বলতে যা বোঝা তা থেকে। কিন্তু আমারও নিজের চোখে জল এসে গেছে এটা ভেবে রাজনীতি করতে আসা মানুষদের কি পরিণত হলো। কেনো হলো? কারণ নৈতিক, ফৌজদারি এবং জাতিগত গণহত্যার অপরাধ। এগুলো কোন নৈতিকতায়ই বৈধ করার সুযোগ নেই। যারা এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের আমার প্রশ্ন আপনার মুখটা এখন বাকস্বাধীনতা ফিরে পেলো? অসাধারণ এখন বলে যান। কিন্তু পরক্ষণেই কি আপনি লজ্জিত হোন?
উচিত ছিলো গণভবনে প্রতিটি ইট খুলে নেয়ার। একটা স্মৃতি চিহ্নও যেন না থাকে৷
কখনো বিএনপিও যদি ক্ষমতায় আসে ঐ গণভবনে আমি যাবো কি না সন্দেহ আছে। যদি যেতে হয় সেদিন চোখের জলে ভিজতে হবে, আমার পা আমার বিরুদ্ধচারণ করবে।
যারা এই ছবিগুলো পোস্ট করে বলেছেন জাতি হিসেবে আপনি লজ্জিত, আপনাদের হা*রা*ম*জা*দা বলা ছাড়া আমার কোন শব্দ নাই। যারা এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মোরালিটি নিয়ে কথা বলেছেন, তারাও। মোরালিটি আপনার মতো হা*রা*ম*জা*দার কাছে শিখতে হবে? আর আমাদের পক্ষে যারা লজ্জিত, উনারা এত নির্বোধ কেন? সন্তানদের উপর বিশ্বাস নাই? ওরা যা করবে ঐটাই আইন! ইতিহাস বিজয়ীর জন্যে, পরাজিতের জন্যে নয়।
দেখেন না গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কয়টা জায়গায় ওরা দাঁড়াতে পেরেছে তাদের বীভৎসতা কত? সেনাবাহিনীর উপর হামলা৷ ভারতকে বোঝাতে চাচ্ছে দেশটায় হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে অধিকার করে নাও, না হলে অধিকার করে দাও। কত বড় হা*রা*ম*জা*দা।
যে হা*রা*ম*জা*দা জীবনের ভয়ে পালিয়ে যায়, যে হা*রা*মজা*দা ঠান্ডা মাথায় সাধারণ শিক্ষার্থী হত্যা করে ; তার কোন লেজিটিমেসি নেই। তুই জনগণের গণধোলাই খেয়ে মরতি, তরে কেউ বীর বলতো, আমরাও স্বীকার করতাম তুই সাহসী, তুই জেদি, তোর একটা জেদ ধরা স্বভাব আছে।
তুই যেহেতু এগুলোর কোনটাই করিসনি, তার মানে তোর আমাদের মোরালিটি সম্পর্কে ধারণা আছে এবং তুই নিজের অপরাধ সম্পর্কে সচেতন। তাই এত ভয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন মার খাই, আমি স্টিল দাঁড়িয়ে ছিলাম, সাথে শরীফ ভাই। রক্ত ঝাড়ানো পর আস্তে আস্তে হেঁটে বের হইছি। তবে পিছু যে হটি না তা নয়, কৌশলগত পিছুও হটতে হয়। কাপুরুষের মতো নয়।
হাসিনা যে এমন ভীতু এটা আমি তার নামাজের ছবি, রান্নার ছবি ; এসব ছড়িয়ে দেয়া থেকে বুঝি। এগুলো এক ধরণের হা*রা*ম*জা*দাপনা৷ ড. ইউনূস সাহেব কিভাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশকে সুরক্ষা দিলেন,দেখুন, শিখুন। লুট নিয়ে সহজ উত্তর দিলেন, এগুলো জনগণের ক্ষোভ। ঠিক হয়ে যাবে। অসাধারণ।
মূলতই গণভবনটি ধসিয়ে দেয়া প্রয়োজন। অন্য কোথায়ও, অন্য নামে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন করা প্রয়োজন। এত দগদগে অপরাধ নিয়ে তার গৌরব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ নেই।
আরেকটা যাদুঘরের কথা এখানে না বলি, সে ব্যাপারে জিয়াউর রহমানের বিখ্যাত উক্তি আছে, ইতিহাস তার বিচার করবে, আমার তার ব্যাপারে বলার কিছু নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪