
কোন একদিন রোদ ছিল
ভীষণ হাড় কাঁপানো ক্ষুরের মত শীতে
উঁচু উঁচু বিদেশী ঘোড়াগুলো
আস্তাবলে সকালের ব্যায়াম সেরে
ঠক ঠক করে হেঁটে যাচ্ছিল
চোখের সামনে দিয়ে
সেদিন আমার কিছুই করার ছিলনা
অন্য দেশ, অল্প টাকা, দূর্বল পাসপোর্ট
নিয়ে, বেশি কিছু করার থাকেনা আসলে
তাই আমি বসে ছিলাম
একটা সুন্দর বেঞ্চে বসেছিলাম
একটু ময়লা, কাদা-ঘাস দেখছিলাম
বিদেশে কাদা হয়?
আমার বিস্মিত প্রশ্ন ছিল
সেই দিন বৃষ্টিও ছিল
একটা পলাতক অভিসারের মত
বৃষ্টি এসে খ্যামটা নাচছিল
জানালার কার্নিশে
ভীষণ অশ্লীল
আমার কেবলই মনে হচ্ছিল
এই বৃষ্টিতে হাত দেবার টাকা
আমার নেই
সেই কোন একদিনের কোন এক সময়ে
আমার সমস্ত আত্মসম্মান টাকার পিছু পিছু
হোঁচট খেয়ে টলতে টলতে বিছানায় পৌছেছিল
সাজানো বিছানা, চওড়া টিভি, অনেক বোতামের রিমোট
পতিতার পেশাটাকে আমি সেদিন থেকে
সত্যিকার অর্থে সম্মান করতে শুরু করি
কেননা সেদিন টাকা ছিলনা, বিদেশ ছিল
কেননা সেদিন ক্ষমতা ছিলনা, শরীর ছিল
এরপর যতগুলো দিন, আসলে সবগুলো দিন
আমি রাতের মত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে
আয়নার দিকে দেখি
আয়নার ভেতরে গিয়ে উঁচু উঁচু ঘোড়াগুলোর মত হাঁটি
মানুষের আদি পেশাকে খুলে খুলে দেখি
প্রিয় নার্সিসাস, তুমি আদিম পেশাজীবী
প্রিয় নার্সিসাস, তুমি প্রথম বিদ্রোহী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


