ইংরেজি "পুলিশ" (Police) শব্দের মানে হলো এমন এক বাহিনী যাদের কাজ শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা, অপরাধের অনুসন্ধান করা আর আইন ব্যবস্হাকে চালু রাখা। এসব কাজের মধ্যে পড়ে জনজীবনের রক্ষণাবেক্ষণ।
পৃথিবীর সব দেশেই পুলিশব্যবস্হা চালু আছে।
মানব সভ্যতার আদি অবস্হায় একজন যূথপতি মানে একটি দলের অধিপতি কয়েজন বলশালী যোদ্ধাকে দলের ভেতর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিযুক্ত করতো। অর্থাত্ সেনাবাহিনীর লোকেরাই পুলিশের কাজ চালাতো।
রোমের সম্রাট "সিজার অগাস্টাস" তার দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষার জন্য পৃথিবীতে প্রথম একটি পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছিলেন। ঘটনাটি ঈসায়ী সাল আরম্ভের সমসাময়িক। এ পুলিশ বাহিনী প্রায় সাড়ে তিনশো বছর টিকেছিলো।
সেকালে পুলিশ শুনতো শুধু রাজার হুকুম।
সপ্তম শতাব্দীতে লোকের মনে দেখা দিলো পাহারাদার বাহিনীর কথা। তারা ভাবলো পাহারাদার বাহিনীর লোকেরা শুধু রাজার আদেশ অনুযায়ী না চলে তাদের উচিত জনসাধারণের নিরাপত্তার ব্যবস্হা করা, তাদের ধন-সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ করা, দেশের আইন ব্যবস্হাকে কার্যকর রাখা প্রভৃতি কাজ।
এ ধরনের চিন্তাধারা প্রথমে ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের মনে উদয় হয় এবং পরে তা আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে।
ইংল্যান্ডেই প্রথম জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনী দেখা দিলো। ভারতবর্ষে ইংরেজদের ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের রাজত্ব কালে ১৭ ডিসেম্বর ১৭৭২০ সালে প্রথম পুলিশ ব্যবস্হা চালু করে।
সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বড় দারোগা, ছোট দারোগা আর ১০ জন করে সেপাই মোতায়েন করা হয়।
তারপর ১৮৬১ সালে দেখা দিলো পুলিশ এক্ট। এ সময় পুলিশের পোশাক, বেতন, চাকরির শর্ত এসব তৈরি হলো আর তখনই ঠিক হলো পুলিশের অন্যান্য কার্যাবলি।