somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জেলিফিশ

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাগরের চির অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীরে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় প্রাণী বাস করে। সাগরতল থেকে ওঠা তেল খেয়ে সেখানে বিচরণ করছে আলোকোজ্জ্বল জেলিফিশ, টিউবওয়র্মরের মতো প্রাণীরা। যারা এতো দিন মানুষের অগোচরে ছিলো।

সাগরের তিন মাইল গভীরে ১৭৬৫০টি প্রাণীপ্রজাতি শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা যার মধ্যে আরো আছে চিংড়ি, কোরাল, স্টারফিশ, কাঁকড়া ইত্যাদি। সূর্যের আলো সাগরের এতোটা গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। এই আলো সাগরের ২০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে পারে। এর নিচে পানির তীব্র চাপপূর্ণ এলাকা শধুই মরুভুমিময় ভাবা হতো এতোদিন। প্রাণীরা সেখানে বেঁচে আছে ব্যাকটেরিয়ার ওপর নির্ভর করে। ব্যাকটেরিয়া ভেঙ্গে মিথেন অথবা তেলে পরিণত হয়। এছাডাও প্রাণীরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আসা খাবার, যেমন তিমির মৃতদেহ খেয়েও বেঁচে থাকে।

জেলিফিশ নামটা শুনলেই মাশরুমের মতো দেখতে একরকম মাছের কথা মনে হয়। মজার ব্যাপার হলো, নাম জেলিফিশ হলেও ওরা কিন্তু আসলে মাছ নয়। আমাদের পৃথিবীতে যতো প্রাণী আছে তাদেরকে মোটামুটি ৯টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি পর্ব হলো 'নিডারিয়া।' এই নিডারিয়া পর্বের হাইড্রোজোয়া শ্রেণীর প্রাণী হলো জেলিফিশ। আর মাছ হলো 'পিসেস' শ্রেণীর প্রাণী। মাছের কিন্তু আমাদের মতো মেরুদণ্ডও আছে। কিন্তু জেলিফিশের এই মেরুদণ্ডের বালাই-ই নেই। তাই নামের মধ্যে ফিশ থাকলেও আসলে ওরা মাছ নয়।

জেলিফিশ পৃথিবীতে বাস করছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর ধরে। পৃথিবীতে মোট ২০০০ প্রজাতির জেলিফিশ আছে।



বক্স জেলিফিশঃ জেলিফিশের সব প্রজাতির মধ্যে এরাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই এদেরকে বলা হয় 'সাগর বোলতা' বলা হয়।

একুয়া ভিক্টোরিয়াঃ এদের আরো ১টা নাম আছে- স্বচ্ছ জেলিফিশ। কারণ এদের গায়ের কোনো রঙ-ই নেই। দেখতেও একদম স্বচ্ছ।

মুন জেলিফিশঃ জেলিফিশের সমস্ত প্রজাতির মধ্যে এদেরকেই বেশি দেখা যায়। ওরা দেখতে একদম পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদের মতো। তাই এদের এমন নাম।

রোপিলেমা এস্কুলেন্টামঃ এরাই জেলিফিশের একমাত্র প্রজাতি যাদের খাওয়া যায়। তাই জাপানে রীতিমতো এদের চাষ করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাধু সাবধান

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০






বেশ হতবাক হয়ে চেয়ে রইলাম খবরটার দিকে । চাল ডাল মাংসের স্বাধীনতা চাওয়া শীর্ষক খবর ছাপানোর অপরাধে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার জুল ভার্ন এর চলে যাওয়া ও কিছু ক্ষোভ

লিখেছেন অধীতি, ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০


ছবিঃ pinterest
জুল ভার্ন ভাইয়ের চলে যাওয়া উপলক্ষে এই কথাগুলো।
আমি অনুজ তাই অগ্রজদের নিয়ে বলছিনা কিছুই। একটা পরিবারে যদি বাবা মার ভেতর সুসম্পর্ক না থাকে তাহলে সন্তানের মানসিকতার উপর বিভক্ত রেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুল ভার্নের প্রতি

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩১




জুল ভার্ন বিদায়েতে নক্ষত্র পতন
ঘটলো ব্লগের রাজ্যে। হতবাক সব
সুবোধ ব্লগার বৃন্দ; করে অনুভব
তারা তাঁর সুবচন হারানোর শোক।
রতন কথনে ভরা ছিল যাঁর মন
তাঁর অনুপস্থিতির বেদনা নিরব
যন্ত্রণা বিস্তারে খুব।যতটা সম্ভব
বিলাতেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন ব্লগারের বিষাদময় প্রস্থান ও কিছু কথা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪৩




ব্লগার জুল ভার্ন এর ব্লগ ছেড়ে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর মতো গভীর বোধ এবং তা প্রকাশের দক্ষতা খুব কম ব্লগারেরই আছে। সেদিক বিবেচনা করলে ব্লগ তার ঐশ্বর্যকে হারালো। যদিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ ব্লগার 'জুল ভার্ন'

লিখেছেন রাজীব নুর, ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৭



আমি প্রথমেই বলতেই চাই-
শ্রদ্ধেয় জুল ভার্ন আপাতত সামুতে নেই। এজন্য বেশ কয়েকজন ব্লগার জোরজবরদস্তি করে শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজীর উপর দোষ চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। ইহা দুঃখজন। এবং নিম্মমানের আচরণ। আমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×