সাগরের চির অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীরে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় প্রাণী বাস করে। সাগরতল থেকে ওঠা তেল খেয়ে সেখানে বিচরণ করছে আলোকোজ্জ্বল জেলিফিশ, টিউবওয়র্মরের মতো প্রাণীরা। যারা এতো দিন মানুষের অগোচরে ছিলো।

সাগরের তিন মাইল গভীরে ১৭৬৫০টি প্রাণীপ্রজাতি শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা যার মধ্যে আরো আছে চিংড়ি, কোরাল, স্টারফিশ, কাঁকড়া ইত্যাদি। সূর্যের আলো সাগরের এতোটা গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। এই আলো সাগরের ২০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে পারে। এর নিচে পানির তীব্র চাপপূর্ণ এলাকা শধুই মরুভুমিময় ভাবা হতো এতোদিন। প্রাণীরা সেখানে বেঁচে আছে ব্যাকটেরিয়ার ওপর নির্ভর করে। ব্যাকটেরিয়া ভেঙ্গে মিথেন অথবা তেলে পরিণত হয়। এছাডাও প্রাণীরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আসা খাবার, যেমন তিমির মৃতদেহ খেয়েও বেঁচে থাকে।

জেলিফিশ নামটা শুনলেই মাশরুমের মতো দেখতে একরকম মাছের কথা মনে হয়। মজার ব্যাপার হলো, নাম জেলিফিশ হলেও ওরা কিন্তু আসলে মাছ নয়। আমাদের পৃথিবীতে যতো প্রাণী আছে তাদেরকে মোটামুটি ৯টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি পর্ব হলো 'নিডারিয়া।' এই নিডারিয়া পর্বের হাইড্রোজোয়া শ্রেণীর প্রাণী হলো জেলিফিশ। আর মাছ হলো 'পিসেস' শ্রেণীর প্রাণী। মাছের কিন্তু আমাদের মতো মেরুদণ্ডও আছে। কিন্তু জেলিফিশের এই মেরুদণ্ডের বালাই-ই নেই। তাই নামের মধ্যে ফিশ থাকলেও আসলে ওরা মাছ নয়।

জেলিফিশ পৃথিবীতে বাস করছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর ধরে। পৃথিবীতে মোট ২০০০ প্রজাতির জেলিফিশ আছে।

বক্স জেলিফিশঃ জেলিফিশের সব প্রজাতির মধ্যে এরাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই এদেরকে বলা হয় 'সাগর বোলতা' বলা হয়।
একুয়া ভিক্টোরিয়াঃ এদের আরো ১টা নাম আছে- স্বচ্ছ জেলিফিশ। কারণ এদের গায়ের কোনো রঙ-ই নেই। দেখতেও একদম স্বচ্ছ।
মুন জেলিফিশঃ জেলিফিশের সমস্ত প্রজাতির মধ্যে এদেরকেই বেশি দেখা যায়। ওরা দেখতে একদম পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদের মতো। তাই এদের এমন নাম।
রোপিলেমা এস্কুলেন্টামঃ এরাই জেলিফিশের একমাত্র প্রজাতি যাদের খাওয়া যায়। তাই জাপানে রীতিমতো এদের চাষ করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪১