নিহত আরিফকে নিয়ে তিন রকমের দাবি!
রাজধানীর মতিঝিলে ঘরোয়া হোটেলের সামনে আজ রোববার সকালে আকস্মিক ককটেল হামলায় আরিফুজ্জামান (২৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তবে তাঁর বিষয়ে পুলিশ, বিএনপি ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে তিন রকমের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণের সময় উপস্থিত মতিঝিল থানা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুল রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ককটেল হামলায় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর পুলিশ নিহতের পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে জানতে পারে, তাঁর নাম আরিফুজ্জামান। তাঁর বাবার নাম জয়নাল আবেদিন। বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, নিহত আরিফ জামায়াত-শিবিরের কর্মী ছিলেন। সকালে পিকেটিংয়ে এসে নিজেদের ককটেলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত আরিফের পকেট থেকে একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। ওই কার্ডে লেখা নম্বরে ফোন করা হলে এক নারী নিজেকে আরিফের বোন বলে পরিচয় দেন। খবর জানানো হলে আরিফের পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
হাসপাতালে আরিফের মা ফাতেমা বেগম জানান, তাঁরা ২৮৬/২ উত্তর গোরানে থাকেন। আলাল নামের একজনের কাছে গাড়িচালানো শিখত আরিফ। আজ সকাল সাতটার দিকে প্রশিক্ষণের জন্য সে বাসা থেকে বের হয়। তার বাবা কাপড়ের ব্যবসা করেন। ছেলে কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, জানতে চাইলে তাঁর মা বলেন, সে কোনো দলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল না। আরিফ জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত—এমন অভিযোগ শুনে তিনি বলেন, আরিফ জামায়াতের নামই শুনতে পারত না।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বেলা একটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, আরিফুজ্জামান পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



