সকল উদ্যোক্তার তিনটি মূল প্রশ্নে ধনাত্মক জবাব থাকতে হয়। বিষয় তিনটি হলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, লক্ষ্য পূরণের কৌশল এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি। হার্বার্ড বিজনেস স্কুলের গবেষণা প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
সফল উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের একটি সমন্বয় ঘটাতে হয়। পূঁজি এবং দল তৈরির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী বিষয়ের দিকে নজর দিলে ভালো করা যায়।
লক্ষ্য নির্ণয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর উদ্যোক্তার কিছু মৌলিক দক্ষতা অর্জনের ব্যাপার থাকে। এর মধ্যে কারিগরি, যোগাযোগ এবং দরকষাকষির দক্ষতা অতি জরুরি। উদ্যোক্তাদের পথ কখনো সহজ হয়না। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে তাকে এগিয়ে যেতে হয়।
একজন উদ্যোক্তা তখনই নিজেকে এগিয়ে নিতে পারেন যখন তিনি তার ‘আমি’কে ‘আমরা’তে পরিণত করতে পারেন।
উদ্যোক্তা হতে হলে সম্পূর্ণ নিজের উদ্ভাবনী বুদ্ধিতে পুঁজি জোগাড় করার ক্ষমতা থাকতে হয়। থাকতে হয় সাহস। আমাদের দেশে অনেকের ধারণা, ভালো উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথমে কিছুদিন চাকরি করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয় -এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ, চাকরি করলে চাকরির অভিজ্ঞতা হয়, উদ্যোক্তার নয়!
নিজেই নিজের স্বপ্নপূরণে নামতে হলে অবশ্যই উদ্যোক্তা হতে হবে। উদ্যোগ দুই রকমের হতে পারে—ব্যবসায়িক আর সামাজিক। যে কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু বা সফল করার জন্য দরকার সৃজনশীলতা, চট-জলদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কাজে নেমে পড়া। যারা বেশি সৃজনশীল, তাদের বিকাশও বেশি। এর অন্যতম কারণ হলো নতুন কোনো কিছুর প্রতি মানুষের আগ্রহ।
যারা সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেয়, সিদ্ধান্ত নেয়ার পর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে হাজারটা চিন্তা করে, তাদের পক্ষে বেশি দূর যাওয়াটা সম্ভব নয়। বেশি কাজ মানে বেশি ভুলের সুযোগ এবং সবচেয়ে জরুরি হলো, সেটিকে সংশোধনের সুযোগ। কাজেই সত্যিকারের কর্মী মানুষ কখনো বেশি ভাবনা-চিন্তা করে না। কাজ করতে করতে এগিয়ে যায়। শুরুর দিকের উদ্যোক্তাদের জন্য এ কথাটি বেশি প্রযোজ্য।
কাজ করতে হলে প্রতিষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়তেই হবে। দ্রুত সেটিকে একটি সাংগঠনিক রূপ দিতে হবে। অনেকে কাজ করতে গিয়ে সম্ভাবনার হিসাব-নিকাশ করতেই থাকে। তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হয় না।
উদ্যোক্তা হতে হলে পুঁজি লাগে, ধারণা লাগে। আর লাগে বিভিন্ন পদ্ধতি বা কাজের ধরন সম্পর্কে জানা। এর উপায় হলো, প্রথমে পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি উপার্জন করা।
যে উদ্যোগই নেয়া হোক না কেন, মূল কাজের ওপর নিজের বা নিজেদের কর্তৃত্ব থাকতে হবে। মূল বিষয়গুলো বুঝতে হলে সেখানে নিজের দখল থাকাটা অবশ্যই জরুরি। সে জন্য নিজের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
উদ্যোক্তা হতে হলে সবচেয়ে দক্ষ হতে হয় সামাজিক যোগাযোগে। কাজে নেমে পড়ার পর প্রথম কাজ হবে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শি থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবাইকে উদ্যোগের কথা জানিয়ে দেয়া। সেই সঙ্গে নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি করা।
উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বেশি লাগে সাহস। সাহসকে পুঁজি করে নেমে পড়ুন রাস্তায়। কারণ, পথে নামলেই কেবল পথ চিনতে পারা সম্ভব।
http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=75081
আলোচিত ব্লগ
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার
মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের
আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন