৬ই এপ্রিল, শাপলা চত্বর। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টি সেদিন ছিল মতিঝিলের শাপলা চত্বর দিকে।
আমি অভিভুত হয়েছিলাম, এ জন্য নয় যে, স্বাধীনতার পর সর্ব বৃহত গণ জমায়েত করতে পেরেছিল হেফাজতে ইসলাম। অভিভুত হয়েছিলাম এ জন্য যে, সরকারের সর্বাত্বক অবরোধ সত্তেও, নানা ধরনের প্রতিবন্ধিকতা ডিঙ্গিয়ে ঢাকা অভিমুখে গণস্রোত দেখে। অভিভুত হয়েছিলাম লক্ষ লক্ষ লোকের সু শৃংখল অবস্থান দেখে। অভিভুত হয়েছিলাম যান্ত্রিক হয়ে উঠা এ শহরের একদল লোকের নি:স্বার্থ আথিতেয় পরায়নতা দেখে। অভিভুত হয়েছিলাম লিডারের প্রতি চরম শ্রদ্ধা, ভক্তি ও আনুগত্য দেখে।
অভিভুত হয়েছিলাম বহু মত ও পথের, বিভিন্ন পেশা ও বয়ষের মানুষের সহবস্থান দেখে।
আমি তম্ভিত হয়েছিলাম, যখন দেখলাম সর্বদা প্রগতিশীল চিন্তা ও গনতন্ত্রের ধ্বজ্জাধারী বলে দাবীদার কয়েকটি সংগঠন যথাযত অনুমতি প্রাপ্ত শান্তিপূর্ন (হরতালের চেয়ে অধিকতর গনতান্ত্রিক) লংমার্চকে বানচালের জন্য অগনতান্ত্রিক (প্রতিরোধ) ও অসহেষ্ঞু আচরন প্রদর্শন করে।তম্ভিত হয়েছিলাম নারী সাংবাদিকের উপর নিলর্জভাবে ঝাপিয়ে পড়ে লাঞ্চিত করা দেখে। তম্ভিত হয়েছিলাম লংমার্চ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ফেরার সময় গনজাগরনের কয়েকজন তরুণ কর্তৃক ৭০/৮০ বছরের বৃদ্ধকে রক্তাক্ত করা দেখে।
আমি লজ্জিত হয়েছিলাম, প্রচন্ড ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও শাপলা চত্বর সেদিন উপস্থিত থাকতে না পেরে। লজ্জিত হয়েছিলাম কিছু মিডিয়ার নির্লজ্জ বিমাতাসুলভ আচরন দেখে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




