প্রথম অপশন
গত ১৫ বছরে কাটাছেঁড়া করা সংবিধান ভেঙে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংবিধান জাতিকে উপহার দেয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ আসনে নির্বাচন করে সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করা। এটির একমাত্র কাজ হবে সংবিধান রচনা ও গৃহীত করা। এর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ, স্থায়িত্ব ও চলমান কাজের বৈধতার জন্য একসঙ্গে গণভোটের আয়োজনও করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় অপশন
৫০-৬০ জন বিশেষজ্ঞ (সংখ্যা কমবেশি হতে পারে) নিয়ে সংবিধান প্রণয়ন কমিটি বা কমিশন গঠন করা। যাদের একমাত্র দায়িত্ব হবে নতুন একটি সংবিধান ড্রাফট করা। এই নতুন সংবিধান সুষ্ঠু, অবাধ ও সত্যিকার অংশগ্রহণমূলক গণভোটের মাধ্যমে গৃহীত হবে। একই সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ, স্থায়িত্ব ও চলমান কাজের বৈধতার জন্য গণভোটের আয়োজনও করা যেতে পারে, যেভাবে ব্রিটেনে একদিনে একাধিক নির্বাচন হয়।
তৃতীয় অপশন
১/১১ সরকারের মতো এই সরকার পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ ১/১১ সরকারের মতো যতদিন থাকবে, থেকে যাবার পর পরবর্তী সরকার এসে তাদের মেয়াদ, চলমান কার্যাবলি ও সংবিধান পরিবর্তনের বৈধতা দেবে
প্রথমত বর্তমান সংবিধানে অন্তরবর্তী সরকার বলে কোন শব্দ বর্তমানে নেই l সুতরাং এই সরকার বৈধ কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন? দ্বিতীয় তার চেয়ে ভয়াবহ বিপদের কথা এরা মরিয়া হয়ে সংবিধান পরিবর্তন করতে চাচ্ছে l এদের ভাবে মনে হচ্ছে সর্ব শক্তিমান হয়ে গেছে কেউ কিছু বলার করার ক্ষমতা নাই!! বড় অমূলক অদূরদর্শী শিশু সুলভ ভাবনা!! এদের বা যারা ভাবছে কারো কিছু করার নাই তারা ভাবতেও পারছে না তাদের ছায়ার পেছনে তাদের পাশেই কত ভয়াবহ দানবরা নীরবে হুঙ্কার দিচ্ছে!!
সংবিধান আওয়ামীলীগ একা পরিবর্তন করেনি বিনপি ও করেছে অর্থাৎ সকল নির্বাচিত সরকার পরিবর্তন করেছে l তারা নিজেদের পছন্দ মত পরিবর্তন করলেও একটা বিষয়ে তারা একমত ছিল যেন কোন অনির্বাচিত অশুভ শক্তি যেন ক্ষমতা না নিতে পারে l তাই তারা সংবিধান সেভাবে সংশোধন করেছে l কিন্তু নির্বাচিত সংসদ ছাড়া সংবিধান ধরলেও পাপ হবে মহা পাপ l ওই সব দানবর সামনে কোন কিছুই বাধা না l সুতরাং সাবধান সংবিধান নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের ভাবনাও পাপ হবে l আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন l ভয়বাহ বিপদে পরবেন জাতিকেও বিপদে ফেলবেন l
DON'T RELEASE THE KRAKEN.
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫১