নিচে ১টি ১৮+ ঘটনা অপেক্ষা কোরছে।
সুশীলরা ও সোনামণিরা, এখুনি জাম্প করুন। পরবত্তীতে কোনো আপত্তি ও ভর্ত্ সনা স্বাগত হবে না।
কলেজ জীবনে ১ ক্লাসমেইট ছিল অমর্ত্য নামে। স্বার্থপর ও কমনসেন্সহীন টাইপের পোলা।
একদা অমর্ত্যের রুমমেইট বাড়ি যায়। অমর্ত্য থেকে যায় হোস্টেলে। বাড়ি থেকে ফিরে রুমমেইট দেখে রুমে অমর্ত্য নেই। কিন্তু নিজ বেডের কাছে গিয়ে যা দেখে, তাতে রুমমেইটের চক্ষু চড়কগাছে আর রক্ত মাথায় ওঠে। দেখে তার বেডশিটে গোছা গোছা কর্তিত চুল ওরফে বাল পড়ে আছে।
রুমমেইট প্রথমেই কয়েকটি স্ন্যাপ নিয়ে নেয় মোবাইলে। তারপরই কল লাগায় অমত্যবাবুকে- তারতারি রুমে আয়। তরে ১ঘণ্টা সময় দিলাম। আমি বাইরে যাইতাছি। আইসা যেন সব ক্লিয়ার পাই।
ঘণ্টাখানেক পর রুমমেইট হোস্টেলের গোটাকয়েক বদমায়েশ পোলাকে নিয়ে রুমে ঢোকে। ততক্ষণে অবশ্যি সব ক্লিয়ার। রুমমেইট সোজা অমত্যবাবুকে শুধোয়- এইসব কী দ্যাখলাম অমত্য?
অমর্ত্য বলে- তার মানি? বুঝলাম না! কই কিছু দ্যাখলাম না ত!
রুমমেইট মোবাইল বের করে সব্বাইকে দেখায় ছবিগুলো এবং ঐ রুম চেইঞ্জ কোরে অন্য রুমে ওঠে। অমত্যবাবু বিনাবাক্যে সোজা বেরিয়ে যায় হোস্টেল থেকে। হপ্তাখানেক বাদে ফিরে এসে অমত্যবাবু রুমের দরোজা ও দেয়ালে মার্কার দিয়ে যেসব লেখা দেখে, তাতে রুমে না ঢুকে আরো ১মাসের জন্য নিরুদ্দেশ হোয়ে যায়-
১. বালকুঞ্জ (ঠিক দরোজার ওপরে)
২. এখানে শায়িত আছেন বালরাজ (দরোজায়)
৩. কয়েকটি বস্তার ছবি আঁকা, যেগুলো থেকে চুল উপচে পড়ছে, পাশে লেখা- এখানে বালের MLM বিজনেস করা হয়। (দরোজার ডানের দেয়ালে)
৪. অণুকাব্য-
'বন্ধুর বিছানায় ফেলেছি বাল
দেখেছি নিজের স্বার্থ,
পেয়েছি যে গণসংবর্ধনা
হোয়েছি বাল-অমর্ত্য।'
(দরোজার বাঁয়ের দেয়ালে)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০