somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিভিউঃ কয়েকজন শার্লক হোমসের কম্পাইলেশন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শার্লক হোমস এর সাথে প্রথম পরিচয় যখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি। চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিজয় মেলায় ছোটখাটো একটা বইয়ের স্টল সবসময়ই থাকে। ওখান থেকে শার্লক হোমসের ১০-১২টা গল্পের বাংলা অনুবাদের বইটা কিনেছিলাম। বইটার মলাটে ছিলো ডিয়ারস্টকার হ্যাট পরা এক লম্বা নাকের ভদ্রলোক পাইপ টানছেন। পিছনে একটা ল্যাম্প আর সামনে টেবিল এর উপর একটা রিভলবার। তখন গল্প পড়ে যে অনেক কিছু বুঝেছিলাম তা বলবোনা, তবে ‘কমলা লেবুর পাঁচটি বিচি’ (the five orange pips) গল্পে জন অপেনশহকে যখন শার্লক বাঁচাতে পারেন নি, তখন খুব খারাপ লেগেছিলো। এরপর আসতে আসতে নিজে বড় হতে থাকলাম, গোয়েন্দা গল্প শার্লক হোমস আর পড়া হয়নি। তখন পড়তাম তিন গোয়েন্দা সিরিজ। এরপর ক্লাস নাইনে এক ভাই এর কাছ থেকে ধার করে আনলাম শার্লক হোমস সমগ্র। তখন যে টাইপের বই পড়তাম, সেই অনুযায়ী বিশাল বই। পাঠ্য বইয়ের নিচে লুকিয়ে পড়া অসম্ভব। সাহস করে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে পড়া শুরু করলাম। (আশ্চর্য্য লাগতো, তিন গোয়েন্দা টাইপ বই পড়তে দেখলে আম্মু যেমন চিৎকার চেঁচামেচি করতেন, এইটা পড়ার সময় কিছুই বলতেন না।) এরপর যে কতবার শার্লক হোমস পড়েছি তার আর হিসেব নেই। যতই পড়ি তৃপ্তি মেটে না। কম্পিউটারে তখন জেমস বন্ড এর ছবি ছিলো। পিয়ারস ব্রসনান তখন অভিনয় করতেন বন্ডের ভূমিকায়। এক কথায় মারদাঙ্গা । কিন্তু তখন শার্লক হোমসই আমার ফেভারিট। কিন্তু শার্লক কে নিয়ে কোন ম্যুভি নাই, টিভি সিরিজ নাই (আসলে অনেক টিভি সিরিজ, ম্যুভিই শার্লক কে নিয়ে তখন হয়ে গিয়েছে তা আমি জানতাম না তখন)। মনে মনে অনেক চাইতাম কেউ শার্লককে নিয়ে ম্যুভি বানাক। জেমস বন্ডের মত আধুনিক করে বানালে তো আরো ভালো হয়। আমার হিরো আসবে ঘোড়ার গাড়িতে আর জেমস বন্ড আসবে আধুনিক মোটর গাড়িতে এটা কি হয়?


বিবিসি নির্মিত শার্লক সিরিজে নাম ভুমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। তবে তিনিই একমাত্র সমসাময়িক অভিনেতা নন যিনি কালজয়ী এই চরিত্রে অভিনয় করছেন। হলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র শার্লক হোমস ম্যুভিতে অভিনয় করছেন শার্লক হিসেবে। আবার সিবিস চ্যানেল থেকে প্রচারিত হয় শার্লক হোমসের আধুনিক আমেরিকান ভার্সন টিভি সিরিজ ‘ইলিমেন্টারি’। কে শার্লক হোমসের ভূমিকায় সফল অভিনেতা তার কম্পারিজন সরাসরি এড়িয়ে যেতে যাচ্ছি (তবে ব্যক্তিগত মতামত চলে আসাটাই স্বাভাবিক)।


বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ (টিভি সিরিজঃ শার্লক)

বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ শার্লকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিবিসি(বিবিসি ওয়ান) নির্মিত টিভি সিরিজ শার্লকে। এই টিভি সিরিজটির মাধ্যমে শার্লককে নতুনভাবে দর্শকদের সামনে হাজির করা হয়। স্যার আর্থার কোনান ডয়েল এর গল্প অবলম্বনে নির্মিত হলেও বিখ্যাত শার্লক হোমস এবং ড. ওয়াটসন কে দেখা যাবে আজকের দিনের লন্ডনে কেইস সলভ করতে। আধুনিক বেশ-ভূষায় প্রযুক্তিপন্য ব্যবহারকারী শার্লকের ভূমিকায় অভিনয় করে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ এখন সবার কাছে পরচিত এবং জনপ্রিয়। আইএমডিবি রেটিং ৯.২ দেখেই অনুমান করা যায় কতটা দর্শকপ্রিয় এই টিভি সিরিজটি। টিভি সিরিজটির প্রতিটি সিজনে ৩টি করে পর্ব । এ পর্যন্ত ২টি সিজন টেলিভিশনে মুক্তি পেয়েছে। ৩য় সিজন এই বছরের অক্টোবরে প্রিমিয়ার হওয়ার কথা।



ভালো দিক

পুরো সিরিজটিই তুমুল জনপ্রিয় তার সবচেয়ে বড় কারণ হলো বেনেডিক্ট এর অভিনয়। অ্যারোগেন্ট, কিন্তু জিনিয়াস শার্লক হোমসের ভূমিকায় তিনি চমৎকার অভিনয় করেছেন। এইতো কয়েকদিন আগেও ফেসবুকের নারী ব্যবহারকারীদের কমন একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিলো “I am Sherlocked”। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কোন বইয়ের গল্পের মডার্ন অ্যাডাপ্টেশন দর্শকরা ভালোভাবে নিতে চায়না। এর কারণ হতে পারে অ্যাডাপ্টশনের সময় অনেক বেশীই মূল গল্পের সাথে ভিন্নতা দেখা দেয়। তবে এদিক থেকে এই টিভি সিরিজটি ব্যতিক্রম। শার্লক হোমসের মূল আবহ আর মডার্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের সমন্বয় সুন্দর ছিলো। স্কার্ফ-ওভারকোট আর নিকোটিন প্যাচ জায়গা দখল করে নেয় হ্যাট আর পাইপের। অরিজিনাল গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যেভাবে কেইস গুলো সলভ করে গেছেন, তাতে অরিজিনাল শার্লক হোমসের মানের কোন কমতি হয়নি বরং সময়ের সাথে মানানসই করে পুরনো একটা চরিত্রকে যে উপস্থাপন করা যায় তা এই সিরিজটি না দেখলে বুঝা যাবেনা।


খারাপ দিক

পারফেক্ট সিরিজ তৈরী করা বলতে গেলে অসম্ভব। শার্লক হোমসের ভূমিকায় অভিনয় নিয়ে কোন প্রশ্ন না উঠলেও ছোট-খাটো কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়। মার্টিন ফ্রীম্যানের ড. ওয়াটসনের ভূমিকায় অভিনয় প্রশংসাযোগ্য হলেও কিছুটা ঢাকা পড়ে যায় হোমসের একচ্ছত্র আধিপত্যে। ঠিক তেমনি প্রফেসর মরিয়ার্টির প্রভাব এন্ড্রু স্কটের অভনিয় দিয়ে ফুটে উঠেনি। প্রফেসর মরিয়ার্টি হলেন হোমসের সবচেয়ে বড় শত্রু, তারই একমাত্র সামর্থ্য আছে সরাসরি হোমসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার। তবে এইদিক থেকে তেমন সফল হয়নি এন্ড্রু স্কটের পারফর্ম্যান্স। আরেকটু বয়স্ক কোন অভিনেতাকে নিলে হয়তো তিনি আরো বেশী মানিয়ে যেতেন প্রফেসর মরিয়ার্টির চরিত্রে।

তবে যাই বলা হোক না কেন, শ্রেষ্ঠ শার্লক হোমসের যেকোন তালিকাতে অনায়াসে জায়গা করে নিবেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ।



রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (চলচ্চিত্রঃ শার্লক হোমস, শার্লক হোমসঃ এ গেইম অব শ্যাডোজ)


হলিউডের বিগ বাজেটের ছবি শার্লক হোমসের অভিনেতা হলেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। শুধুমাত্র শার্লক হোমসে অভিনয় করার জন্যে না, বরং আয়রনম্যানসহ আরো বেশ কিছু চরিত্রে অভিনয় করার জন্যে তার আছে তুমুল জনপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত শার্লক হোমসকে নিয়ে তার ২টা ম্যুভি মুক্তি পেয়েছে। চলচ্চিত্রে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে দেখা যাবে তৎকালীন লন্ডনেই কেইস সলভ করতে। তার সাথে ড. ওয়াটসন হিসেবে আছেন জুড ল।



ভালো দিক

রবার্ট ডাউনি শার্লক হোমসের চরিত্রে নিয়ে এসেছেন তার চলন-বলন কথা বার্তার স্টাইল—তার ম্যাগনেটিকে পার্সোনালিটি। ডাউনির চোখেমুখে যে চতুর ভাব আছে তা বেশ ভালোভাবেই শার্লক চরিত্রের সাথে মানিয়ে গিয়েছে। বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচের মত তারও ভরাট কণ্ঠস্বর তবে বলতে গেলে কণ্ঠস্বরের ইনফ্লুয়েন্সটা বেশী ডাউনিরই। হলিউডি ম্যুভি তাই কিছু অ্যাকশন সিক্যুয়েন্সতো থাকবেই। অ্যাকশন খুব বাড়াবাড়ি মাত্রায় ছিলোনা (যতটুকু ছিলো তা দর্শকদের একটা সেগম্যান্টকে ধরে রাখার জন্যে হয়তো)। তবে অরিজিনাল শার্লক হোমসও কিন্তু মারপিটে বেশ পারদর্শী ছিলেন। মুষ্টিযুদ্ধ করতেন, শক্ত-সামর্থ্য শরীর ছিলো (The Spackled Band গল্পে তো এক হ্যাঁচকা টানে ফায়ারপ্লেস এর আগুন উস্কে দেয়ার রড সোজা করে গায়ের শক্তির প্রদর্শন করিয়েছিলেন)। তাই রবার্ট ডাউনির পেটানো শরীর কিছুটা হলেও মানিয়ে যায়। তবে রবার্ট ডাউনির শার্লকের সবচেয়ে পজিটিভ দিকে হলো সম্ভবত সবচেয়ে সেরা ড.ওয়াটসন কিন্তু তিনিই পেয়েছেন। জুড ল এর ড.ওয়াটসন এর ভূমিকায় অভিনয় অসাধারণ। শার্লক হোমসের একদম ছায়ায় হারিয়ে যায়নি তার চরিত্র। গেইম অব শ্যাডোজ এ প্রফেসর মরিয়ার্টি হিসেবে জার্ড হ্যারিসের অভিনয়ও ছিলো প্রশংসনীয়। প্রফেসর মরিয়ার্টির যে চারিত্রিক গাম্ভীর্য আছে তা জার্ড হ্যারিস পূরণ করেছেন। শার্লককে সফল করতে আরো যে ২টা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নজর দিতে হয়, তা ম্যুভির ডিরেক্টর (গাই রিচি) ভালোই বুঝেছেন।

খারাপ দিক


যেকোন শার্লক ফ্যানই প্রথম অভিযোগ করতে পারেন রবার্ট ডাউনির শার্লক বেশী মাত্রায় হলিউডি হয়ে গিয়েছে। তবে এরচেয়ে বেশী চোখে লাগে যে কিছুটা রবার্ট ডাউনি কিছুটাকমিক করে ফেলেছেন চরিত্রটাকে। তবে গেইম অব শ্যাডোজে হয়তো কিছুটা হলেও এই ক্ষেত্রে উন্নতি করেছেন। শার্লক হোমসের আরেকটা বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে তার ডিডাকশন স্কিল। কিন্তু ঐ স্কিলের প্রকাশটা অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কম ছিলো (ডিডাকশন স্কিলটাকেই অনেকে শার্লকের সিগ্নেচার স্টাইল মনে করেন)। আর শেষে গল্পের কাহিনীগুলোকে আরো ধারালো করা যেতে পারতো।


জনি লি মিলার (টিভি সিরিজঃ ইলিমেন্টারি)

আধুনিক শার্লকের আমেরিকান ভার্সন হচ্ছে ইলিমেন্টারি সিরিজের প্রধান চরিত্র শার্লক হোমস। এইখানে অভিনয় করেছেন জনি লি মিলার। আমেরিকান টিভি চ্যানেল সিবিএস থেকে প্রচারিত হয় ইলিমেন্টারি টিভি সিরিজটি। শার্লক হোমস যখন অতিমাত্রায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তখন বড়লোক বাবা তাকে রিহ্যাবে পাঠিয়ে দেন আমেরিকাতে। আর ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, তেমনি আমেরিকাতে গিয়েও কেইস সলভ করতে থাকেন শার্লক হোমস। আমেরিকাতেই ড. ওয়াটসন এর সাথে পরিচয় হয় হোমসের। বিবিসির শার্লক টিভি সিরিজের সমসাময়িক হলেও আলাদা রকম ভাবে শার্লকের উপস্থাপনা এখানে। বিবিসির শার্লকে যেখানে মাত্র ৩টা করে পর্ব প্রতি সিজনে, সেখানে ইলিমেন্টারির প্রতি সিজনে পর্ব সংখ্যা ২৪টি।



ভালো দিক

পর্ব সংখ্যা বেশী হওয়ায় হোমসের ব্যক্তিগত জীবন আরো বেশী দর্শকদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন সিরিজ ক্রিয়েটররা। জনি লি মিলারের অভিনয়ও চমৎকার। হোমসের ডিডাকশন স্কিল, স্বকীয়তা বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে তার অভিনয়ে। ক্লাসিক শার্লকের কাহিনী ফলো না করা হলেও, এই গোয়েন্দা সিরিজের গল্প গুলো কিন্তু গতানুগতিক না। অন্যান্য চরিত্রে লুসি লিউ মত খ্যাতনামা অভিনেত্রীরা থাকায় সিরিজটা বেশ জনপ্রিয়।

খারাপ দিক

যতগুলো শার্লক হোমস অ্যাডাপ্টেশন আমি দেখেছি এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যতিক্রম এইটাই। প্রথম ধাক্কা খাই যখন দেখি ড.ওয়াটসন এখানে একজন নারী। আইকনিক একটা চরিত্রকে নারী বানিয়ে ফেলার ধাক্কাটা হজম করতে বেশ কষ্ট হতো যদি চরিত্রায়নে হোমস আর ওয়াটসনের মধ্যে কোন রোমান্টিক ক্যামিস্ট্রি খোঁজা হতো। লুসি লিউ এখানে ওয়াটসনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। জন ওয়াটসনের নাম পাল্টিয়ে এখানে নাম জোয়ান ওয়াটসন। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে আরেক ধাক্কা খেলাম যখন দেখলাম প্রফেসর মরিয়ার্টিও একজন নারী। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, আইরিন অ্যাডলারকেই এখানে দেখানো হয়েছে প্রফেসর মরিয়ার্টি হিসেবে।


সমসাময়িক তিনজন শার্লক হোমস সম্পর্কে লিখতে গিয়ে উনার সম্পর্কে কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারছিনা।

জেরেমি ব্রেট (টিভি সিরিজ)


অনেক ক্রিটিকের মতে তিনিই হচ্ছেন সবচেয়ে বিশুদ্ধ শার্লক হোমস। ১৯৮৪ থকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত প্রায় একদশক ধরে একেকটি স্যার কোনান ডয়েল রচিত গল্পের প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করে গেছেন জেরেমি ব্রেট। স্যার কোনান ডয়েলের গল্পের অবলম্বনে নির্মিত কোন টিভি সিরিজ নয়, বরং স্যার ডয়েলের গল্পগুলোকে নিয়ে তৈরী টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। শার্লক হোমসের শারীরিক এবং চারিত্রিক যে বর্ণনা দিয়েছেন স্যার ডয়েল তার হুবুহু উদাহরণ হলেন জেরেমি ব্রেট।



ডিয়ারস্টকার হ্যাট, মুখে পাইপ দিয়ে নির্লিপ্ত হোমসের কথা কল্পনা করা যায়, তার দেখা পাওয়ার যায় জেরেমি ব্রেট এর সিরিজে। স্ট্রেস কমানোর জন্যে ভায়োলিন বাজানো, ক্লাসিক হোমসের সব কিছুই ছিলো তার অভিনয়ে। অনেক ক্রিটিকই বলেছেন, Brett is Holmes. আমি তার অভিনিত সিরিজের কিছু পর্ব দেখেছিলাম ফক্স হিস্ট্রি চ্যানেলে। নির্ভূল অনুকরণ ছিলো তার অভিনয়ে। এখনকার যুগের শার্লক হোমস গল্পের মত ফাস্ট পেসড না হলেও অরিজিনাল শার্লকের মজাটা এখানেই পেয়েছি। ১৯৯৫ সালে মারা যান তবে তার মত করে শার্লককে আপন করে নিতে পারেনি আর কেউ। জেরেমি ব্রেট ব্যক্তিগত জীবনে বাইপোলার ডিজওর্ডার ভুগতেন। কিছুটা হলেও তার এই ডিজওর্ডার হোমসের চরিত্রটিকে কনভিন্সিং করতে সাহায্য করেছে। শার্লক হোমস ফ্যানদের জন্যে মাস্ট ওয়াচ।

লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তারপরও কিছু ট্রিভিয়া যোগ করে দিলাম।

• শার্লক হোমস অবলম্বনে যে পরিমান টিভি সিরিজ, চলচ্চিত্র, রেডিও সিরিজ তৈরি করা হয়েছে অন্য কোন চরিত্রকে নিয়ে এতো বেশী কাজ হয়নি। আইএমডিবি অনুযায়ী শার্লক হোমসকে নিয়ে প্রায় ২২৬টি ম্যুভি বানানো হয়েছে। কম করে হলেও ৭৮জন ভিন্ন ভিন্ন অভিনেতা একেক সময় শার্লক হোমসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। (তবে ড্রাকুলা কে নিয়ে এ পর্যন্ত ২৩৯টি ম্যুভি বানানো হয়েছে।)

• শার্লক হোমস নামকরনের আগে চরিত্রটির নাম ছিলো শেরিনফোর্ড। ড.ওয়াটসনের নাম ছিলো অরম্যান্ড স্যাকার।

• প্রথম শার্লক হোমস উপন্যাস A Study in Scarlet প্রথমে তেমন দর্শক জনপ্রিয়তা পায়নি।

• লিওনার্ড নিলময়, ম্যাট ফ্রিউয়ার, ব্রেন্ট স্পিনার, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ তারা প্রত্যেকেই শার্লক হোমস এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আবার তারা প্রত্যেকেই স্টার ট্রেক সিরিজেও অভিনয় করছেন।

• রজার মুর শার্লক হোমস এবং জেমস বন্ড উভয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৫
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×