গত সপ্তাহে দেশের বাড়ি গেলাম ট্রেনে করে। ঢাকা থেকে এই প্রথম ট্রেনে দেশের বাড়ি গেলাম। যাওয়ার পথে বাংলার অপরূপ রূপ দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। ট্রেনের জানালা দিয়ে মোবাইলে কিছু ছবি তুলি। সেখান থেকে কয়েকটি শেয়ার করলাম। ছবিগুলো তুলতে তুলতে বুঝতে পারলাম জীবনান্দ দাস ''কেন বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি'' কবিতাটি লিখেছিলেন। আসলেই বাংলার রুপের কোন তুলনা হয় না।
কবিতাটিও শেয়ার করলাম।
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েলপাখি — চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
জাম — বট — কাঠালের — হিজলের — অশখের করে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল — বট — তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ
দেখেছিল; বেহুলার একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে –
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চরায় –
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিলো — একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিলো ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিলো পায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




