নুরুজ্জামান সড়ক। একটি ব্যাক্তিগত গাড়িকে লক্ষ্য করে অন্য এক চালক তীব্র চেঁচামেচি করতেছিল সেই সাথে গালিগালাজ। আমি ভাবছিলাম ঝগড়াটা এক গাড়িচালক বনাম আরেক গাড়িচালকের মধ্যে, যেটা আমাদের জাদুর শহরে প্রায়ই ঘটে থাকে।
কিউরিয়াস মাইন্ড সেই গাড়ির সামনে গীয়ে দেখি লোকটার জেদ ড্রাইভারেরর উপর না বরং সে গাড়িতে বসা ভদ্রলোকের উপর এবং অবস্থা এমন যে কোনরকমে গাড়ি থেকে বের করতে পারলেই লোকটাকে মাইরা তক্তা বানায়া ছাড়বে।
অতঃপর গাড়ির স্টিকার দেখে নিশ্চিত হলাম সেই ভদ্রলোকটি একজন সংসদ সদস্য এবং একটু আগে তিনি টেম্পার হারানো লোকটির সাথে চরম খারাপ ব্যাবহার করেছেন যার কারনে তার চড় থাপ্পড় খাওয়া প্রায় ফরজ্ হয়ে গেছে।
আমাদের দেশে তিনি একজন নেতা, তিনি গনপ্রতিনিধি। সংসদেও বসেন। দেশের অনেক নিতী নির্ধারন তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্ন করেন। গ্রাম গঞ্জ থেকে উঠে আসা অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত এসব বেকার যুবকরা সংসদ সদস্য হয়ে দেশের রাজনিতীতে বড় ধরনের একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সেই সাথে অর্থনিতীতেও। যাদের গনপ্রতিনিধি হওয়ার মত নুন্যতম যোগ্যতাটাই নাই।
এর ভেতরেও আমরা আশা রাখি বাংলাদেশ একদিন পাশের দেশ ইন্ডিয়ার কাতারে যাবে কিম্বা মায়ানমারের একটা দেশের আভ্যন্তরীণ সমস্যা তাদের দেশেই এঁটে দিতে পারবে!
অদ্ভুত এক উটের পিঠে চলছে দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮