১। জীবনের প্রথমবার ইমারজেন্সি লেন দিয়ে হাটার সৌভাগ্য হল।
২। এক স্কুল পড়ুয়াকে দেখলাম হাত নাই। পীঠে ব্যগসহ সেও আসছে আন্দোলনে। সম্ভবত এই ব্যগটা পীঠে নেওয়ার জন্য তার প্রতিদিন অন্য কারো হেল্প নিতে হয়।
৩। লাইসেন্সবিহীন এক পুলিশ সদস্য স্টুডেন্টের তোপের মুখে পড়ে বলতেছে আমি কি চুরি করছি? অন্যায় করছি তো মামলা হবে। কিন্তু মামলা নেওয়া হচ্ছিলোনা, যার কারনে স্টুডেন্টরা চাইপা ধরছে।
৪। এক পুলিশ সদস্য পাশের পান-সিগারেট মামাকে ডাকতে গিয়ে তিরস্কার সুরে বললো আপনিও কি ছাত্র হয়ে গেলেন? শুনে ভালো লাগলো পান-সিগারেট মামারাও শিক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু পুলিশের উন্নতি হলোনা।
৫। রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে গাড়ির ড্রাইভার পর্যন্ত সবার এতটা নিয়ম মেনে চলা ছিল যা চোখে পড়ার মত।
৬। ট্রাফিক পুলিশরা পুলিশ বক্সের পেছনে একত্র জড় হয়ে চুপচাপ বসে আছে, যেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
৭। এক পুলিশ সদস্য কঠোর গলায় বেশ নীতিবাক্য শুনাচ্ছিল। আমি বাধ্য হয়ে উত্তর দিলাম আপনারা থাকতে ফিটনেস বিহীন গাড়ি আর লাইসেন্স বিহীন চালক রাস্তায় আসে কেমনে? উত্তরে উনি চুপচাপ সটকে পড়লেন।
জাফর ইকবাল সাহেবরা নিশ্চয়ই এখান থেকে কোন আশার বানী শুনছেন না। শুনবেন কিভাবে? তারা নিশ্চয়ই চশমার ফাঁক আর গোঁফের ফাঁক দিয়ে নিরাশার বানী খোঁজায় ব্যস্ত!
প্রতি বছর নতুন নতুন মনীষা জন্ম নিবে, তারা দায়িত্ব নিবে, সোনার বাংলা হবে এবং চাটুকার, ভন্ড আর স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া মানুষগুলো ইতিহাসের অতলে হারিয়ে যাবে। অপেক্ষায় আছি সেই দিনের।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১১