আজ দেখলাম মিরপুর রোডের সামনে স্কুলের বাচ্চারা মানব বন্ধন করেছে। তাদের দাবি চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসার কারনে সহপাঠী মারা গেছে এবং এর বিচার করতে হবে। যতবার ওরা বিচার চাই বিচার চাই বলে স্লোগান দিচ্ছিলো ততবারই একইসাথে ভয় এবং গর্ববোধ দুইটাই হয়েছিল।
গর্ববোধ হয়েছিল এজন্য যে, এখন শিশুরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শিখতে শিখতে বড় হচ্ছে, একসময় হয়তো দেশের গতানুগতিক ধারার রাজনীতি ওরা পরিবর্তন করবে। আর ভয় হচ্ছে এজন্য যে, শারিরীক অসহায়ত্বের মুহুর্তে নির্ভরতার প্রতীক হওয়া মানুষগুলোর উপর আস্থা উঠে যাওয়া, যেটা পরবর্তীতে ডাক্তার নিয়ে শিশুদের মনস্তাত্ত্বিকতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট।
কয়েকদিন আগে দেখলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক রোগীর কিডনি চুরি করেছেন এবং ধরা খেয়ে তিনি এর প্রতিস্থাপনের খরচ বহন করার দায়িত্বও নিয়েছেন। কি ভয়ংকর, ভাবা যায়? এরকম ঘটনা হসপিটালে হসপিটালে কমবেশী হচ্ছে। শুধু কিছু অংশ মানুষ জানতে পারে। জেনেশুনে এই ধরনের অন্যায় করা দেশের প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ছাড়া কিছুইনা। পর্যাপ্ত জবাবদিহিতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগই পারে চিকিৎসা খাতে নৈরাজ্য ঠেকাতে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৬