হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।(৫৫:৩৩)
মানুষ যে একদিন পৃথিবীর আকাশ অতিক্রম করে মহাকাশে যেতে পারবে, তা কুরআনে আল্লাহপাক ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন । কুরআন যখন নাযিল হয় তখন মানুষ কল্পনাও করতে পারতনা যে মানুষ একদিন আকাশে উড়তে পারবে , সে জায়গায় পৃথিবী ত্যাগ করে মহাকাশে যাওয়া তো কল্পনাকেও হার মানায় । কিন্তু আমরা সূরা আর-রহমানের ৩৩ নম্বর আয়াত বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাব যে, আল্লাহ সেখানে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, যদি নভোমন্ডল অতিক্রম করা তোমাদের সাধ্যে কূলায় তবে তোমরা তা কর , তবে তা করতে পারবেনা বিশেষ শক্তি ছাড়া । আল্লাহ কিন্তু বলেন নি, তোমরা তা কোনদিন করতে পারবেনা । তিনি বলেছেন তোমরা পারবে তবে তার জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন ।
আরবী শব্দ 'সুলতান' এর কয়েকটি অর্থ আছে - এর একটি অর্থ হলো প্রচন্ড শক্তি । আজকে আমরা দেখতে পাই মহাকাশে যাওয়ার জন্য বিশেষ করে এই পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি থেকে বের হওয়ার জন্য রকেট এর প্রচন্ড শক্তিতে পৃথিবীর বাইরে যেতে হয় । এর জন্য প্রয়োজন বিরাট আয়োজন এবং আধুনিক টেকনোলজি । যা এখনো পৃথিবীর সব দেশ আয়ত্ব করতে পারেনি ।
আল্লাহ বলেছেন যে, যদি সাধ্যে কুলায় তবে অতিক্রম কর । সুতরাং এখনো সব দেশের মানুষের তা সাধ্যে কুলায় না, অল্প কিছু উ্ন্নত দেশ ব্যতীত ।
এই কুরআন যে মহান সৃষ্টিকর্তার থেকে আগত তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই । এই কুরআনে কোন অবৈজ্ঞানিক উক্তি নেই , যদিও তা আল্লাহ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন ১৪০০ বছর আগে যখন কোন বৈজ্ঞানিক আবিস্কার হয়নি । আল্লাহ বলেছেন যে, যদি এই কুরআন স্রষ্টা ব্যাতীত অন্য কারো কাছ থেকে আসত বা মানুষ এই কুরআন রচনা করতে তাহলে এই কুরআনে অনেক ভুল পাওয়া যেত কিন্তু এই কুরআনে কোন ভুল নাই ।
এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত। (৪:৮২) Do they not consider the Qur'an (with care)? Had it been from other Than Allah, they would surely have found therein Much discrepancy.
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২১