somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিনা জাহান প্রিয়া
আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সময় গেলে সাধন হবে না কবি লালন বুঝেছিলেন উনিশ শতকে কিন্তু আমরা এবং আমাদের রাষ্ট্র এখনও বুঝেন না বিষয়টি l

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তাইতো সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা কবলিত হয়ে গভীর সংকটে তখনো আমাদের লকডাউন, সাধারণ ছুটি ঘোষণা, প্রণোদনা মূলক আর্থিক ঋণ, ভর্তুকি প্রদানের ঘোষণা, হসপিটাল গুলোকে করোনা রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা, রোগী শনাক্ত করা নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে, পিপিই সরবরাহ করা, অসচ্ছল মানুষের মাঝে খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করা, মানুষকে ঘরে রাখার ব্যাপারে পুলিশের সাথে সেনাবাহিনীকে সম্মিলিতভাবে কাজে যোগদান করা, সমস্তই হল কিন্তু সময় মত হলো না, দেরি হয়ে গেল l

এরকম অনেক কথা বলা যায়, যাই হোক শেষ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদের ঘোষিত ছুটি বৃদ্ধি হবে কি হবে না এ নিয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের ঘোষণার অপেক্ষায় পিলো ছিল সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মীরা l এরমধ্যে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক এগারো তারিখ পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখার অডিও বার্তা পাঠালেন গতকাল রাতে l সেটি কি দুদিন আগে পাঠাতে পারতেন না? পারতেন, অপেক্ষা করছিলেন সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সমন্বয় করার l সবচেয়ে অবাক লেগেছে অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন প্রয়োজন হলে কেউ চাইলে কারখানা খোলা রাখতে পারেন l এই জিনিসটা কেমন যেন খাপছাড়া লেগেছে আমার কাছে l
হ্যাঁ মানছি গার্মেন্টস অর্থাৎ পোশাকশিল্পে কিছু বিষয় থাকে যেমন সময় মত বায়ারদের কাছ থেকে অর্ডার প্লেস করতে না পারলে কিংবা শিপমেন্ট করতে না পারলে সে ক্ষেত্রে বায়ার হারানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবার ঝুঁকি থাকে l
অর্থাৎ অর্ডার না থাকলে কর্মীদেরকে বসিয়ে বেতন দেবার মত পরিস্থিতি কয়জন মালিকের আছে আর কেনই বা দিবেন?
কিন্তু যখন সারাবিশ্ব করোনা কবলিত মানুষের জীবন মৃত্যু নিয়ে নানান অনিশ্চয়তা l সেখানে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে অর্ডার ঠিকমতো প্রেস হলো কিনা, শিপমেন্ট হল কিনা, এই বিষয়গুলো ভাবনার মধ্যে থাকলেও ততটা গুরুত্ব পায় না বলেই আমার মনে হয় l
কারণ মানুষের জীবনের জন্যই তো আয়-রোজগার সেই মানুষই যদি না থাকে তাদের জীবন যদি হুমকির মধ্যে থাকে সেক্ষেত্রে অর্ডার দিয়ে কি হবে!

যে প্রসঙ্গে ছিলাম সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো সেখানে আমরা কি লক্ষ্য করলাম সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব, অব্যবস্থাপনার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যখন সাধারণ মানুষ এই বিষয়গুলো বুঝতে পারে এরপরে একটা সমাধানের পথ তৈরি হয় l

যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সকলেরই রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, তাহলে সকলে মালিকানা ছেড়ে দিন, মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করুন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এমডি, চেয়ারম্যান স্ব-স্ব পদ থেকে সরে দাঁড়ান l
যেহেতু, সিদ্ধান্ত নেন একজন মানুষ যিনি কিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী lএই যদি হয় একটি দেশের অবস্থা, তাহলে শুধু করো না মোকাবেলা কেন জাতীয় কোন দুর্যোগ কোনো সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না l সবচেয়ে বড় কথা সমস্যাগুলো জাতির স্বাভাবিক নিয়ম-নীতির মতই থেকে যাবে l

আজ গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাহাত্তর হাজার সাতশত পঞ্চাশ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেন l
সহজ শর্তে ঋণ, চার থেকে পাঁচ পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে l বাকিটা সরকার ভর্তুকি দেবে, যার সুবিধা সর্বস্তরের মানুষ ভোগ করবেন l

সরকার প্রধানের এমন প্রণোদনা প্যাকেজের যদি ইঙ্গিতবহ কোন বার্তা বিজিএমই থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মালিকপক্ষের জানা থাকতো, তাহলে হয়তোবা গতকাল গ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে রিক্সা, ভ্যান, পিকআপ, ট্রাক সবকিছু ব্যবহার করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে সমস্ত মানুষ ঢাকায় ফিরেছেন, তাদের এই কষ্টটা করতে হতো না l

করোনা ঝুঁকি এতটা হুমকির মধ্যে পড়তো না l এই যে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো, এটা আগে ঘোষণা না করার যৌক্তিক কারণ সরকারের থাকলেও, অর্থাৎ লকডাউন সাধারণ ছুটি ঘোষণা যেটাই করুক বা না করুক তার প্রথম পদক্ষেপ তো সরকারকেই নিতে হয় l আর সরকারি সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বিজিএমইএ থেকে শুরু করে অন্যান্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সব সময় কেন সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকেন সেটুকু বোঝার মত সামান্য বুদ্ধি আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাদের আছে l

যাইহোক, যে সমস্ত শ্রমিক কর্মীরা পায়ে হেঁটে নানান উপায়ে আজকে কর্মে যোগদানের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন তাদেরকে কষ্টটা সরকার এবং বিজিএমইএ থেকে শুরু করে অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা সমন্বয় করে আরো আগেই মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারতেন l
মাঝেমধ্যে হতাশ লাগে কি করলে পরে এই জাতি রাষ্ট্রের সকল ভালো কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবে l এবং রাষ্ট্র সকল নাগরিকের যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে আর কতকাল অপেক্ষা
-- ধ্যান থেকে নেয়া ।।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×