দেশ পরিচালিত হচ্ছে এক অসভ্য, বর্বর, অমানবিকভাবে সর্বপরি সৃষ্টি করা হচ্ছে অসহায় এক অবসহার যা হয়তো কারো চোখে পড়ছে, আবার নতুন আরেক দস্যুতায় চাপা পড়ে যাচ্ছে? অন্যদিকে চলছে বিরোধীদলের লাগাতার অবরোধ, দূর পাল্লার বাহনগুলো গুটিসুটি মেরে যত্নের সাথে রাখা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম তো আছেই, অন্যদিকে কেউ মারা গেলেও তার জানাযায় উপস্তিত থাকতে পারবে কি না সেটাও একটা নতুন ভয় হিসাবে দেখা দিয়েছে। আর এই ভাবে যদি চলতে থাকে পরবর্তীতে কি হবে তা এই মূর্হুতে কেউ বলতে পারবে না। খোদ প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী নিজেরাও জানে কি না সন্দেহ যে আজ কত জন মানুষ মারা গেছে?। বা যাচ্ছে?
আজকের পত্রিকায় দেখলাম, এক অনুষ্ঠানে স্বয়ং স্বাস্ত্যমন্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির উপস্তিতিতে মঞ্চের পেছন থেকে চার চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়, আমরা কোন আযাবের দেশে বসবাস করছি ভাই? এই প্রশ্ন কাকে করবো? মন্ত্রী এমপিদের যদি হয় এমন অবস্হা তবে আমাদের অবস্হাতো ইদুরের চাইতেও খারাপ।
এর মাঝে গোঁদের উপর বিষফোড়ার মতো প্রত্যাহ চলছে হরতাল বা অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার গ্যাস, গুলি, ভাঙচুর, মারামারি, হত্যা সহ গণ-গ্রেপ্তার, যারা এই সব করছে পত্রিকার ভাষায় এরা দুস্কৃতিকারী বা সন্ত্রাসী এদেরই আগুনে পুড়ে গেছে এক উপদেষ্টার গাড়ী এবং তিনি নিজেও আহত হয়েছেন, অন্যদিকে রংপুরে গত মঙ্গলবার পেট্রোল বোমা দিয়ে চার জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, এই সব ঘটনাই ঘথেষ্ট প্রমাণ করে যে দেশে বিরাজ করছে এক মারাত্মক পরিস্হিতি।
এইরুপ পরিস্হিতি থেকে উত্তোরণের পথ কি? প্রতিদিন অবরোধ, হরতাল, জালাও পোড়াও সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ভাবার জন্য যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি, তারা ঠিকমতো দেশ পরিচালনা করতে পারছেনা বলেই এমন পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে। আমরা এইরুপ রাজনীতি চাই না, আপনারা এইরুপ রাজনীতি বন্ধ করুন।
আর এই জন্য অবশ্যই সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে, সরকারকে বুঝতে হবে যে তারা দেশ শাসন করছেন, বিরোধীদলের কর্মসূচীতে তালা লাগিয়ে বিরোধীদলকে রাজনীতি করতে না দিলে তবে অবস্হা আরও ভয়াবহ হবে, মানুষ মরবে, সম্পত্তি ধ্বংস হবে, জালাও পোড়াও বাড়বে, আর বাড়বে সাধারণ জনগণের দূর্ভোগ, এই ভাবে কোনদিন গনতন্ত্র কায়েম করা যাই না। এই সরকার যদি মনে করে তাদেরকে আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে তবে অবশ্যই তাদের বর্তমান বৈরী অবস্হান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। যে কোনো ভাবেই হউক বিরোধীদলকে আমলে নিয়ে যা করার তা বুদ্ধি মত্তার সাথে করতে হবে, সরকারকে কৌশলী হতে হবে। সবার আগে সাধারণ জনগণের কথা, দেশের কথা ও দেশের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। নমনীয় হওয়ার জন্য কারো বুদ্ধি পরামর্শের দরকার হয় না, যা করতে হবে সরকার বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একাই করতে হবে।
সরকার বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একাই করতে হবে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম
আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!
এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিউ ইয়র্কের পথে.... ২
Almost at half distance, on flight CX830.
পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন