somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ছোট গল্প ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘড়িতে রাত তিনটা,
জো'র হাত ঘড়িতে বিপ বিপ শব্দ শুরু হয়ে গেল, দশ সেকেন্ড অন্তর অন্তর এই শব্দ খুবই লঘু সাউন্ড দিয়ে বাজতে থাকবে, তিনবারের পর যদি থামানো না হয় তবে এমন ভাইভ্রেট হবে মনে হবে কারেন্টের শক। প্রথম বিপেই জো তার মাসকুলার জিম করা শরীর নিয়ে সন্তর্পণে বিছানা ছাড়ে।

আরেক পাশে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে তার বিয়ে করা চার মাসের বউ, তার মুখে কাচেঁর জানালা ভেদ করে জোস্নার আলোটাকে ম্লান দেখাচ্ছে। ছোট করে সে একটা চুমু খেলো, তার পুটুনি বউকে, এসির ভলিউম কমিয়ে দিয়ে চাদরটা পুটুনি বউয়ের গায়ে ভাল করে জড়িয়ে দিলো আর ভাবছিল, ঈশ, জো’র লাকটায় খারাপ, এই শহরের চারিদিকে যেন অব্যবস্হাপনার এক একটি নগ্ন রুপ, এমনকি খোদ পুলিশের মাঝেও দেখা দিয়েছে এই অব্যবস্হাপনার নগ্ন দিক। বেজায় পুলিশ ধরা ও পড়ছে, জোআস্তে আস্তে কয়েকটা বুক ডন দিয়ে চলে যাই শাওয়ারের কাছে, সকালের গোসল করতে হচ্ছে রাত তিনটাই, তবুও তো একটা সোনার চাকরী, বেশ মজায় আছে জো, চাকরীটাতে থ্রিল যেমন আছে তেমনি আছে ভায়োলেন্স।মরে যাওয়ার ভয় আছে তবে প্রচুর লজিষ্টিক থাকা মানে ভরসা, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছাড়াও আছে হেলমেট, হাতের কবজি পূর্যন্ত কভারেজ, তাই জোর কোনো ভয় নেই, সে নির্দেশ পেলে আগুনে ও ঝাপ দিতে প্রস্তূত।

সম্পূর্ণ রেডি হতে না হতে জো দেখে সর্ট মেসেজ, হারি-আপ। যো স্ক্র্যাচ কার্ড ঢুকিয়ে দরজা খুলে, ঠিক তখন তার পুটুনি বউ এক পাশ থেকে আরেক পাশে ঘুরে এবং পাশ বালিশ নিয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়ল, জো ভাবে হায়রে কপাল, চাকরীটাও তার এমন পড়েছে, ডিজিটাল দরজা, রুম টেম্পারেচার ইত্যাদি চেক করে জো তরতরিয়ে নেমে যাই, পুটুনি বউয়ের কাছে ও স্ক্র্যাচ কার্ড আছে অতএব চিন্তার কি?
void(1);
গ্যারেজ খুলে সে তার মোটরসাইকেল পালসারটা বের করে দারোয়ানকে শীস দিয়ে দরজা বন্ধ করতে বলেই স্পীড তোলে।

মতিঝিল ব্যাংক কলোনীর ৩৪/৪ এর ক-২ নম্বর বিল্ডিং যার দশ তলায় বেশ ঢিম করে জ্বলা আলোতে কিছু লোক কিছু একটা করছে, বিশেষ সংবাদটা পাওয়া যায়, এস আই আসলামের কাছে, বিল্ডিংটির চারতলা পূর্যন্ত অফিস, বাদ বাকী ভবনগুলো এখনও নির্মাণ হয় নি, শুধু পিলার কিন্তু দশ তলা আধা কাচা ঘর আর সেইখান থেকেই আলো আসছে। কি করতে পারে ঐ ভিতরের লোকগুলো?

যথা সময়েই হেড লাইট ছাড়া জো একটা পজিশনে মোটর দাঁড় করায়। অতপর ওয়াকিতে আসলামকে তার পজিশন জানাই, আরও জানতে চাই লজিষ্টিক কি কি আছে, উত্তর আসে, যা যা দরকার সবই গাড়ীতে আছে, তারা অপারেশন শুরু করবে আর পাচ মিনিট পর, এর পর কি হবে?

আসলামকে দেখা যাই, সে জানাই এক প্লাটুন পুলিশ জায়গাটাকে ঘিরে রেখেছে যেন একটাও হাপিস না হয়, জো ততক্ষণে চিন্তা ভাজছে কি করে দশ তলায় উঠা যায়, তখনে লজিষ্টিকের ব্যাগ নিয়ে আমির হাজির সে কনষ্টেবল, বেশ বলিষ্ঠ, জো এঙ্কর করা রশিটা নিয়ে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে দশ তলায় ছুড়ে মারে, প্রথম বারের চেষ্টায় বিফল হলো দ্বিতীয় বারের বার জায়গা মতো এঙ্কর বিধে ষষ্ঠ তলার কার্ণিশে, এরপর উপরে উঠার পালা, ঠিক তখন দেখা যাই আসলামকে যে অলরেডি পাইপ বেয়ে দোতালা অবধি উঠে গেছে।

আসলে কি হচ্ছে ঐ দশ তলা ঘরে? সেখানে সাতজন চোরাকারবারী জ্বাল টাকা বানাচ্ছিল। তাদের তিন দিকে গরাদহীণ জানালায় গার্ড, জো আর আসলাম যে দিক দিয়ে উঠছে তা মারাত্মক ভয়াবহ যার দরুন সেই দিক দিয়ে তাদের মনোযোগ ছিলো না, জো নয় তলায় এসে একটু দম নেয়। দশ তলা জানালায় যে বসে আছে তার হাতে একটি বোতল, খুব সম্ভব উইস্কি হবে, জো সন্তর্পনে পিছন থেকে ধরে মুখ ছিপে ধরে ঘাড়টাকে এমন মোচর মারে যে এক মারেই কুপোকাত। সেই জানালা দিয়ে জো ঢুকে পড়ে, সামনে একটা দরজা সেখান থেকে নকল টাকা বানাবার যে তোড় জোড় তা তার চোখে পড়ে, ওদিকে আসলাম বেচারা যাকে টার্গেট করেছিলো সে আসলামের চাইতে ভারী ফলে রবে উঠে “সাবধান, পুলিশ..ভেতরে তারা সাবধান হওয়ার আগেই জো তার দুই হাতে রিভলবার বার করে হুমকি ছাড়ে সাবধান যে যেখানে আছো সেখানেই থাকো, নড়াচড়া করলে বুলেট তোমাদের ছাড়বে না, ততক্ষনে পায়ে খোড়াতে খোড়াতে আসলাম এসে যোগ দেয়, সবগুলোকে পিছ মোড়া করে বাধে, এরপর আসে পুলিশ, একজনও তাদের পালাতে পারে না, দুই বস্তা নকল টাকা, টাকা বানাবার সরঞ্জাদি সহ গ্রেফতার করা হয়, এবং পুলি্শের হাতে সোর্পদ করা হয়্। আসলাম দ্রুত এম্বুলেন্সে করে সিএমএইচ এ স্তানান্তর করা হয় কারণ তার পায়ে ছুরির ফলা লেগেছে। পরের দিনের পত্রিকায় বেশ জমকালো ভাবে ‘জো, আসলাম সহ চোরাকারবারীদের ছবি সহ টাকার বস্তার ছবি বিভিন্ন দৈনিকে জায়গা পায়। এক ফাঁকে জো দেখে আসে তার সহকর্মীকে। আর এইভাবেই ছোট গল্পের সম্পাত্তি ঘোষণা করছি, ভাল লাগলে কমেন্ট নিশ্চয় কিছু জানতে পারবো, আজ এই পূর্যন্ত, সবাই ভাল থাকবেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×