বাংলাদেশে এ সব কি শুরু হয়েছে? হরতাল আর অবরোধের নামে দেশটিকে একটা ব্যর্থ্ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিগত দুটি মাস ধরে চলছে মানুষ পোড়ানোর এক হলি খেলা। এ যেন নিজের দেশের এক ভাই আরেক ভাইকে পুড়িয়ে মারছে, মায়ের কান্নাও তাদের থামাতে পারছে না। সাধারণ মানুষ কি রকম দুর্দশা মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছে তা দেখারও প্রয়োজন মনে করছে না সেইসব দানবগুলো, তাদের কোন ন্যায় সঙ্গত দাবী থাকলে তা তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে জানাবে সরকারের কাছে, তারা সংলাপে বসবে। যা না করে দিনের পর দিন কেবল গায়েবী ভাবে তারা একের পর এক হরতাল আর অবরোধ দিয়ে জনমনে আতঙ্ক আর অস্হিরতা বৃদ্ধি করে চলেছে। এটা কোন সাধারণ মানুষের কাছে কাম্য হতে পারে না।
দেশে পনেরো লক্ষ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, কেবলমাত্র হরতাল অবরোধের কারনে তারা তাদের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারছে না, যেভাবে প্রস্তুতি সম্পাদন করেছেন সেইভাবে কি তারা পরীক্ষা দিতে পারছে? এর জন্য কারা দায়ভার নিবে? কেউ নিবে না, এইটা একপ্রকার হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক তথা একজন ভোটার হিসাবে বলবো এইসব বন্ধ করুন। দেশটা যেমন আপনার তেমনি এদেশের নাগরিক যারা ভোটার, ভোটের সময় যাদের দরজায় ভোট ভিক্ষা চাইতে যান, তাদেরও প্রিয় দেশ এই বাংলাদেশ। রাজনীতি করেন বলে এই দেশের সকল নাগরিকদের নিয়ে আপনারা খেলতে পারেন না, পুড়িয়ে মারতে পারেন না কোনো মেহনতি মানুষকে, কই আজতক একজন বড় মাপের কোনো নেতাকে তো পোড়াতে পারেন নি, পেরেছেন কি কোন কোটিপতির গায়ে পেট্রল বোমা মারতে? আপনারা মারতে পারেন কেবল ওই খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ। আবার তাদের কাছেই কিনা ভোট ভিক্ষা করতে যান, আপনাদের কি লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই?
তাই বলছি, আলোচনায় বসুন, সরকারকে বাধ্য করুন, নিয়মতান্ত্রিক আ্ন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের কোনো স্বৈরা্চারী বিষয়্ থাকলে তা নিয়ে কথা বলুন। একমাত্র সংলাপের মধ্য দিয়েই আপনারা পারেন দেশের আপামর সাধারণ মানুষকে বাচাঁতে, কেননা আপনারা ছাড়া এই দেশকে স্বয়ং সরকা্রের একার পক্ষে সম্ভব নয় বাচাঁবার, তাই বলবো আসুন, কথা বলুন, একমাত্র এই কথা বলার মধ্য দিয়েই সম্ভব এই দেশের মান ইজ্জত যা অবশিষ্ঠ আছে তা রক্ষা করবার, নতুবা কোন বড় অর্জনই আজ আমাদের কাছে শান্তি কিংবা খুশি কোনোটাই বয়ে আনবে না।