সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃএই পর্ব রোমান্সে ভরপুর! দুর্বল হৃদয়ের( চিত্তে’র নয়) ব্লগারেরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করিবেন।
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
সুতো জোরে টানলে ছিঁড়ে যেতে পারে তাই ধীরে ধীরে টানছিলাম। পণ্যের যোগান কম থাকলে বাজার মূল্য বাড়ে- অর্থনীতির এই থিওরি প্রেমের বাজারেও প্রযোজ্য।
সেদিনের পরে সে-ই এখন আমাকে ফোন দেয়, সময় সুযোগ পেলে দেখা করতে বলে। কোন দাবি নিয়ে নয় অতীব ভদ্র ভাবে।
আমি দেখা করি রয়ে সয়ে। কখনো পার্কে,কখনো রেস্টুরেন্টে,কখনোবা সরাসরি বাসাতেই। অল্প বিস্তর ছোঁয়াছুঁয়ি আর ছেড়া ছেড়া ভাব ভালবাসার গল্প। এলিনার ভেতরে ওই বয়সী মেয়েদের মত উচ্ছলতা আর রোমান্টিকতা কম। ঢং ঢাঙ যা করি আমিই- সে শুধু তাল মেলায়।
তবে যত্ন আত্তি করে সাধ্যমত। তাঁর বাসাতে গেলেই আমাকে কোথায় নিয়ে বসাবে কি খাওয়াবে এই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ভীষণ! আমি ঘন ঘন সিগারেট খাই দেখে ছাইদানি আর লাইটার হাতের নাগালে এনে রেখে দেয়। কোন কিছু প্রয়োজন হলে মুখ ফুটে বলার আগেই যেন ম্যাজিকের মত হাজির করে দেয়। আমি নিজের কাজ বরাবরই নিজে করে অভ্যস্ত। অন্য কেউ করে দিলে কেমন যেন লাগে। তবুও এলিনার আন্তরিকতায় মনে হয় সব ভার ওর উপরে ছেড়ে দিয়ে আমি শুধু শুয়ে বসে খাই। এমনিতে যে কাজ কর্ম করে খাচ্ছি তা নয়- আমার এখনকার অবস্থা শুয়ে বসে খাবার মতই বরঞ্চ বড্ড বেশী আয়েসে কাটাচ্ছি।
সেদিনের পর থেকে ফিল কলিন্সের ‘এনাদার ডে ইন প্যারাডাইস’ গানটা আমাদের করে নিয়েছি। অন্য পার্টিতেই যখন গেছি এ গানটা এলেই এলিনা বা আমি আমাদের সঙ্গীকে ছেড়ে হাসতে হাসতে একে অপরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতাম ।
বহু পার্টিতে বহুবার আমরা একসাথে নেচেছি। নাচতে নাচতে কখনো ভোর হয়ে-গেছে। সে সামান্য রেস্ট নিলেও একফোঁটা শোয়নি । সকাল হলে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে যেত। হয়তো আমাকে পাশে নিয়ে শুতে হবে এই ভয়ে সে কোন হোস্টের বাসায় থাকেনি । কেননা সবাই জান সে আমার প্রেমিকা সেজন্য আমার সাথে বিছানা শেয়ার করাটাই স্বাভাবিক।
সেবার পার্টি হল আমার এক বন্ধু কাম বড় ভাইয়ের বাসায়। বেশ বড় হলরুমে বড় সড় পার্টির আয়োজন। এবার নাদিয়া আর আসেনি- এলিনার ডর কেটে গেছে সে একাই আসল।
ভোজন পান গল্প গুজবে মেতে উঠল সবাই।দুর্লভ সব ব্রান্ডের মদের ছড়াছড়ি আর দামী সব খাবারের পচয়ে তাঁর চোখ ছানাবড়া!
সেদিন ভোজন আর পানটা একটু বেশীই হয়ে গিয়েছি। সেও খানিকটা বেইক্তেয়ার হয়েছিল নিশ্চয়ই না হলে গভীর রাতে নাচের ফাঁকে আমাকে চুমু খেতে দিল কেন? অবশ্য ছেড়া ছেড়া দুয়েকটা।
শেষ রাতের দিকে ক্লান্ত হয়ে জড়িয়ে ধরে গানের তালে সামান্য শরীর দোলাতাম। সে রাতে অনেক সাধ্য সাধনা করে কয়েকবার দীর্ঘ চুম্বন দিয়ে ছিলাম। তবে চুমু’তেও সে ছিল একটু আনাড়ি। জিহ্বাটা আমার মুখে পুরে দিয়ে ঠোট দুটো সামান্য ফাঁক করে নিস্তেজ হয়ে থাকছিল যা করার আমিই করছিলাম। তবে মাঝে মধ্যে যে সে সাড়া দিচ্ছিল না তা নয়। আমার বুকের সাথে চেপে থাকা স্ফীত বক্ষদেশের অংশ বিশেষ শাট ফাঁক দিয়ে দেখে পাগল হয়ে যেতাম খুলে দেখার জন্য কিন্তু সাহসে কুলাল না। দু-য়েকবার অসতর্ক হওয়ার ভান করে ওখানে হাত দিতেই সে হেসে সরিয়ে দিল। মুখে হাসিটা লেপ্টেই রইল কোন প্রতিবাদ করল না।
এর কিছুদিন পরে সে যখন মুখ ফুটে বলল যে, আমাকে ভালবাসে তখন আমি মরিয়া হয়ে উঠলাম; শারিরিক সম্ভোগের বাসনায়। তাকে বোঝাতাম ভালবেসে সুযোগ সৃষ্টি করতে চাইতাম,ছেড়ে যাবার ভয় দেখাতাম প্রচণ্ড হম্বি-তম্বি ,রাগারাগি করতাম। কিন্তু সে স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে স্নেহে- আদরে আমার রাগ পানি করে দিত। তবে আমাকে সেদিনের পর থেকে অন্য কারো সাথে নাচতে দিতে চাইত না। যে কোন অনুষ্ঠানে সর্বক্ষণ আমার হাত আঁকরে বসে থাকত। আমি ক্লান্ত হলে কোলের উপর মাথা রেখে চুলে হাত বুলিয়ে দিত দীর্ঘক্ষণ।
রেনেতা’দের বাড়িতে একটা অনুষ্ঠানে আমার সাথে তাকেও নিমন্ত্রণ করেছিল। মাতাল হয়ে গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে অচেতন অন্যদিনের মত সেদিনও আমরা নেচে চলছি।ওদিন আমার প্রতি নাদিয়ার আন্তরিকতার বাড়াবাড়ি দেখে সে একটু বেশী মাতাল হয়ে পড়েছিল।
এমন কখনো হয়নি একটু লাগাম ছাড়া ছিল সেদিন। এলিনা হয়তো অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল। নাচতে নাচতে তাকে আমি টেবিলের এক প্রান্তে নিয়ে একটু উঁচুতে তুলে টেবিলের প্রান্তে বসালাম। সে আমার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ঢুলু ঢুলু চোখে আমার চোখে চেয়ে হেসে ফেলল।
আজ আমি ঘাবড়ানোর পাত্র নই এখন ওর প্রতি অধিকারই আলাদা।আমার ব্যাবহারে ও মনঃক্ষুন্ন হলেও ছেড়ে যাবেনা। দু'হাটু নীচে ঝুলিয়ে রেখেই টেবিলের উপর তাকে শুইয়ে দিলাম। আজ সে বাধা দিলনা লক্ষ্মী মেয়ের মত শুয়ে পড়ল। আমি তার উপর শরীর এলিয়ে দিয়ে সারা মুখ চুমোয় চুমোয় রাঙ্গিয়ে দিলাম। সেও আজ আদরের প্রতিদান দিল। আমি তার কর্ণলতিকা মুখের মধ্যে নিয়ে হালকা কামড় দিতেই তার শরীর কেঁপে উঠল!
আমি সেদিন উন্মাদের মত কখনো তার চিবুক কখনো ঠোট কখনো জিহ্বা কখনো কানের লতি কামড়িয়ে ভয়ানক রকম উত্তেজিত করে ফেলেছিলাম। বুকের উপর হাত দিলে আজ আর প্রতিবাত করল না। সুযোগ পেয়ে মৃদু চাপ দিতে থাকলাম। সে দুবাহু বাড়িয়ে আমাকে আঁকড়ে ধরে বুকের সাথে ভীষণ জোরে চেপে ধরল ।
বাঁধন একটু অলগা হতেই হাত সরিয়ে বুকের ভাঁজে মুখ গুজে দিলাম। টি-শার্টের নিচে বক্ষ বন্ধনীর শক্ত বন্ধন ভেদ করে যেন মাংসের কোমল পিণ্ড দুটো আমাকে আরো নিবিড় ভাবে পেতে চাইল। হাত বাড়িয়ে টি শার্টের প্রান্ত তুলে ধরে গুটিয়ে ফেললাম বগল তক। ব্রার স্ট্রিপের ফাঁক দিয়ে সে দুটো বের করতেই আমার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। আরেব্বাস।এত নিটোল নিখুঁত স্তন কখনো দেখিনি। শ্বেত পাথরের নিখুঁত উঁচু ঢিবিটার উপরে পয়োধর দুটো যেন গর্বিত ভঙ্গীতে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। এ যেন আমার স্পর্শের অপেক্ষায় এতদিন ছিল।
আমার আদরের আতিশয্যে তাঁর সারা শরীর তির তির করে কাঁপছিল।একবার ক্ষণিকের তরে চোখ তুলে তার মুখপানে চাইলাম দেখি আধবোজা চোখের কোনে ক্ষীণ অশ্রুর ধারা... উত্তেজনায় তার নাকের পাটা ফুলে ফুলে উঠছে গভীর প্রশ্বাসের শব্দ আমার কানে বাজল আরো গভীর হয়ে রক্তিম ঠোট দু’খানা আরো বেশী রাঙ্গা হয়ে তির তির করে কাঁপছে।
দাঁত দিয়ে প্যান্টের বোতাম খুলে জিপার টেনে শুভ্র তলপেটে এটে থাকা শুভ্র সূক্ষ্ম তন্তুর অন্তর্বাসে ওষ্ঠ ছুঁয়েছি সবে, ভয়ঙ্কর ছটফট করে সে উঠে বসে আমাকে জোড় করে দুরে ঠেলে দিয়ে বলল প্লিজ,এটা কোর না।
আমি তার এহেন ব্যাবহারে মনঃক্ষুন্ন হয়ে একটু দূরে সরে বসলাম ।
সে অনেক অুননয় বিনয় করে আমাকে কাছে নিতে না পেরে নিজেই এগিয়ে এসে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসল। উষ্ণ ঠোট দু’খানা দিয়ে চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিল আমার সারা দেহ- মুখে।
দীর্ঘক্ষণ চুমু খেয়ে ক্লান্ত হয়ে আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সেই টেবিলের উপর শুয়ে পড়ল । আমার ঘুমোতে যেন কষ্ট না হয় সেজন্য বাকী রাতটুকু একহাত আমার মাথার নিচে মেলে দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুল দিয়ে মাথায় বিলি কেটে দিল।
সকাল হতেই তার সেকি লজ্জা। যেন রাতে মাতাল হয়ে বিশাল কোন অপরাধ করে ফেলেছে। বিদায় নেয়ার আগ পর্যন্ত সে লজ্জা রক্তিম মুখে মাথা নিচু করে বসে ছিল,একবারের তরে চোখ তুলে চায়নি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এরপর সে মা-বোনের সামনেই আমাকে রুমে ঢুকিয়ে দোর আটকিয়ে দিয়েছে । সারারাত যে কত ভাবে আদর করেছে তার বর্ণনা দেয়া মুশকিল । তবে আমার আদরের একটা সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে ছিল,সেটা হল শুধু ঊর্ধ্বাঙ্গে সীমাবদ্ধ। রাতে যাতে জোর করে খুলতে না পারি সেজন্য টাইট ফিট প্যান্ট পরে । সে আরো বেশী আদরে আদরে আমার পুরো তনু মন সিক্ত করে দিত।
রাত গভীর থেকে গভীরতর হত,কিন্তু সামান্য ক্লান্তি কিংবা বিরক্তি তো দুরের কথা সে আরো বেশী উদ্বুদ্ধ করতে আমাকে বেশী বেশী আদর করা। সারারাত বারবার পিড়াপিড়ি করত কিছু একটা খাবার জন্য মুখ ফুটে বললেই ছুটত রান্না ঘরের পানে রান্না করার জন্য। অত্যাচার করেছি, যতটুকু করা যায়।
আমি যতবার সিগারেট ধরাতাম ততবারই সে এ্যাসট্রে হাতে নিয়ে ঠায় বসে থাকত ছাইটা আমার হাত দিয়ে ফেলতে দিত না নিতে হাতে তুলে ফেলত। ক্লান্ত হয়ে পড়লে নিপুণ হাতে শরীরটাকে রগড়ে দিত।
ঘুম পেলে মাথাটা অতি আদরে বুকে তুলে নিয়ে শিশুদের মত ঘুম পাড়াত। এমন ভারী নিটোল নিখুঁত সুকোমল মাখন রাঙ্গা বক্ষে মাথা রেখে আমি ঘুমাতাম অঘোরে।
আমার অত্যাচার ছিল যেন তার কাছে অতি আদুরে পাগলামি সেই পাগলামিটা যখন মাত্রা ছাড়াত-সে তখন হেসে গড়াগড়ি খেত। আমি আরো বেশী রেগে গিয়ে প্রচণ্ড আক্রোশে তার ঠোট কান বুক কামড়ে বিধ্বস্ত করে দিতাম। বেশী চাপাচাপিতে একদিন ডিভানই ভেঙ্গে গেলে- তার সেকি হাসি,হাসতে হাসতে দম আটকে গেল! ওদিকে ওর মা-বোন দরজায় এসে টোকা দিচ্ছে,কি হোল-কোন সমস্যা? তার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই- সে হেসেই যাচ্ছে... রাত দুপুরে দুজনে মিলে ডিভান ঠিক করে ফের শুরু হাসির।
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
~এলিনাকে নিয়ে প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৯