somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুস্টু-মিষ্টি রাশিয়ান জোকস!!

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মুদ্রাস্ফিতি, লাগামহীন দ্রব্যমুল্যার উর্ধ্বগতির বাজারে যখন উচ্চমধ্যবিত্তেরও হাঁসফাঁস করে হাঁস গেলার অবস্থা, নির্বাচন নিয়ে দেশে অরাজকতার টেনশন! আমি কি ধার্মিক, মুনাফিক নাকি নাস্তিক এই নিয়ে যখন ফাঁস-গেড়ো অবস্থা! সাইদীর মৃত্যুতে আমি কি নেত্য করব নাকি কইষ্যা গালি দেব এই নিয়া যখন ভাবতে ভাবতে দিশেহারা। রাশিয়া উক্রাইনের যুদ্ধে কোন পক্ষে যামু তাই নিত্যা রাতের ঘুম হারাম সহ ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় যাদের সময় কাটছে এবং এখন ব্লগে বসে যারা আমার মত প্রায় অলস সময় কাটাচ্ছেন; তাদের মনটা ভাল করার মানসে এই জোকসগুলো। জোকসগুলো পড়ুন আর দিলখোশ করে বিন্দাস চাঙ্গা হয়ে যান।
(ত মে মাসের শেষে আচমকা কারিগরি ত্রূটির জন্য কয়েকদিন ব্লগ স্থবির হয়ে পড়ে। তখন জোকসগুলো শেয়ার করে ব্লগটাকে চাঙ্গা করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হিসেবে আমি এই কৌতুকগুলো সাময়িকভাবে পোস্ট করেছিলাম। অনেক ব্লগার তখন এগুলো মিস করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে সফলকাম হননি। মোদ্দা কথা এই জোকসগুলো ফাউ কামে ড্রাফটে পড়ে থেকে লাভ কি তাই ফের শেয়ার করা।)

সতর্কবাণীঃ ~ইহা বাচ্চা পুলাপাইন ও ব্লগের মুখোশ পরা অতি ভদ্রজন সুশীলদের জন্য নহে।

***বচ্চা তৈরির কম্পিটারঃ
ঙ্গল গ্রহে অভিযান শেষ হল। রাশিয়ান ক্রুরা সবাই তাদের স্পেসশীপে ফিরে দেখে একজন ক্রু নিখোঁজ। স্পেসশীপ পৃথিবীতে ফিরে যাবার জন্য কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে কিন্তু সেই ক্রু লাপাত্তা! সবাই টেনশনে; একদম শেষ মুহুর্তে সেই নিখোঁজ ক্রুকে একটা বড় পাথরেরর আড়াল থেকে রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ে আসতে দেখা গেল-তবে তার তার পিছনে দৌড়রত একজন যুবতী এবং সুন্দরী মঙ্গলগ্রহের মহিলা।
'আপনি দেরি করেছেন কেন? এখুনিতো আমরা স্পেসশীপ ছেড়ে দিতাম।" কমান্ডার ক্রুদ্ধ কন্ঠে করলেন।
ক্রু হাঁপাতে হাঁপাতে বলল। স্যরি কমরেড, আমি এই ভদ্রমহিলার সাথে পরিচিত হয়েছিলাম।
আলাপে গল্পে একসময় সে আমাকে দেখিয়েছে যে এখানে মানে মঙ্গল গ্রহে কীভাবে বাচ্চাদের তৈরি করে।
কি আশ্চর্য! শুধুমাত্র কম্পিউটারে একটি বোতামে চাপ দিলেই একটা বাচ্চা বেরিয়ে আসে। একবার দিলে ছেলে, দু’বার চাপ দিলে মেয়ে বাচ্চা হয়।,
তারপর সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমরা পৃথিবীতে এটা কিভাবে করি। আমি তাকে দেখালাম, এবং এখন সে আমার পিছনে দৌড়াচ্ছে এবং চিৎকার করছে, "দয়া করে, আমাকে আপনার কম্পিউটারটা বিক্রি করে দিন।

***পুরনো পদ্ধতি আর কাজ করেনাঃ
কটি পার্কে একজন বৃদ্ধ, একটি শিশু ও তাকে বেড়াতে নিয়ে আসা আয়ার পাশেই একটি বেঞ্চে বসে ছি্লেন।
পিচ্চির হাজারো উদ্ভট প্রশ্ন।
আয়া বাচ্চাকে বুঝাচ্ছিলেন কিভাবে বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের তৈরি করে।
"তারা একটি পাত্রে ফুটন্ত জল ঢেলে, এবং ময়দা, এবং মধু, এবং ক্রিম, এবং সামান্য কোকা-কোলা যোগ করে, এবং ভালভাবে নাড়ুন, এবং এটি রাতের জন্য একটা ফ্রিজে রেখে দেয় এবং সকালে সেই মন্ড থেকে একটি শিশুর জন্ম হয় ।"
বৃদ্ধ লোকটি তার সব কথা শুনে অতি নরম কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলে,
"মাফ করবে মামণি, কিন্তু পুরানো পদ্ধতির কি হবে? এটা কি আর এখন কার্যকর হয় না?"

***সাক্ষী যখন আসামীঃ
রিপূর্ণ একটি আদালত কক্ষ। একটি বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে রেফ্রিজারেটর ছুড়ে একজন পথচারীকে আহত করার জন্য একজন ব্যক্তির বিচার করা হচ্ছে।
উকিল আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। "বিবাদী, আমাদের বলুন কি হয়েছিল?"
"আমি একটি ব্যবসায়িক ট্রিপ থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পরে বুঝতে পারছিলাম কোন একটা সমস্যা হয়েছে। আমার স্ত্রী স্পষ্টতই খুব নার্ভাস ছিল। আমি তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলাম, "সে হারামজাদাটা কোথায়?" কিন্তু সে তো কোন মতেই বলছিল না।
হঠাৎ আমি জানালা দিয়ে দেখি এই লোকটা দৌড়ে পালাচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই, আমি তখন ভীষোন রেগে গিয়েছিলাম, ্তখন আমি হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে ফ্রিজটা তুলে ওই জারজকে লক্ষ্য করে জানালার দিয়ে ছুড়ে মেরেছিলাম।"
"ভিকটিম," উকিল জিজ্ঞেস করলেন, "এখন আপনার গল্প বলুন?"
"আমি প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালে জগিং করছিলাম। আচমকা, একটা রেফ্রিজারেটর উপড় থেকে আমার গেয়ে এসে পড়ল। ভাগ্য ভাল যে, আমি অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। কিন্তু আমার পা-টা ভেঙ্গে গেছে।
উকিল এবার সাক্ষীকে ডাকলেন, "এখন সাক্ষী। তোমার গল্প কী? ... সাক্ষী কোথায়?"
দুই নার্স তখন এক প্রত্যক্ষদর্শীকে কাঠগড়ায় এনে হাজির করলেন- তাঁর সারা শরিরে ব্যান্ডেজে জড়ানো।
"সাক্ষী, এবার আপনার গল্প বলুন?"
"আসলে, আমি সেই অভিশপ্ত ফ্রিজটার মধ্যেই বসে ছিলাম তখন......


***গরমের দিনে বউ-এর ঠান্ডা লাগলে কি করণীয়ঃ
মাঝরাতে, একজন স্ত্রী তার স্বামীকে জাগিয়ে বললেন, "ডার্লিং,আমার খুব ঠান্ডা লাগছে !"
স্বামী বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠলেন, আলমারি থেকে আরও একটি কম্বল নিয়ে এসে যত্ন সহকারে তার স্ত্রীর শরীরের চারপাশে জড়িয়ে দিলেন।
কিছুক্ষণ পর, স্ত্রী তাকে আবার জাগিয়ে বললেন, "জান, আমার খুব গরম লাগছে।" স্বামী বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে জানালা খুলতে ছুটে গেল।
কয়েক মিনিটের মধ্যে স্ত্রী তাকে আরও একবার জাগিয়ে বললেন, "সুট হার্ট, তুমি বুঝতে পারছ না আমি একজন সত্যিকারের পুরুষের সান্নিধ্য চাই।"
বেশ চিন্তিত হয়ে স্বামী নরম কন্ঠে বলল, কিন্তু হানি-
"এই মাঝরাতে আমি একজন পুরুষ মানুষ কোথায় পাব?"

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬
২৭টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×