কন্টেনার ভর্তি এক জাহাজের ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে বিশাল এক ব্রিজ মুহুর্তে ধ্বসে পড়ল। এই খবরটা ব্লগে কোন আমেরিকান প্রবাসী একবারের জন্য আলোচনা করল না- আশ্চর্য!!!! অথচ এমন একটা ঘটনা বাংলাদেশে ঘটলে তারা একেবারে তুলোধুনো করে দিতেন।
ওদিকে দেখুন ফাঁকে ভারতীয়রা এমন ঘটনার পেছনে তাদের নাবিকদের হাত থাকার পরেও কিভাবে ওদেরকে হিরো বানিয়ে দিচ্ছে;
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি কন্টেনার ভর্তি জাহাজ ব্রিজে ধাক্কা মারে। মুহূর্তের মধ্যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে গোটা ব্রিজ। প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর শহরে এই ব্রিজ তৈরি হয়।
ইউএস কোস্ট গার্ডের অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরথ বলেন, “আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি, কিন্তু জল যা ঠান্ডা… তাতে মনে হয় না কাউকে জীবিত খুঁজে পাব”। মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশের সেক্রেটারি রোল্যান্ড বাটলার বলছেন, “তাপমাত্রা এবং স্রোতের কারণে জলের নিচে ডুবুরিদের তল্লাশি অভিযান কঠিন করে তুলেছে। তবে রাতভর টহলদারি চলবে”।
কন্টেনার জাহাজের ২২ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। প্রত্যেকেই ভারতীয়। জাহাজ পরিচালনা সংস্থা জানিয়েছে, তাঁরা সবাই নিরাপদে আছেন। মেরিল্যান্ডের গভর্নর ভারতীয় ক্রু-দের ‘হিরো’ বলে সম্বোধন করেছেন। সংঘর্ষের আগে তাঁরা দ্রুত সতর্ক বার্তা দেওয়ায় জন্যই “অনেক জীবন রক্ষা পেয়েছে” বলে জানিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার’ জন্য শোকপ্রকাশ করেছে। সেতু ভেঙে জখম ভারতীয় নাগরিকদের জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন।
*ওদিকে রাশিয়া বলেছে এইটা সাইবার আক্রমন- না হলে মুল ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়া হলেও ব্যাকআপ ইঞ্জিন আচমকা চালু হয়ে পাগলামী শুরু করল কেন?
****
জল্লাদ শাহজানকে চেনেন?
একসময় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন জল্লাদ শাজাহান। কিন্তু ভাগ্য তাকে টেনে নিয়ে গেছে অন্ধকার জগতে। এরপর থেকে জেলের সাথে নিজের জীবনকে জড়িয়ে নিয়েছেন। আটক হয়ে ৩৬ মামলায় ১৪৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। তবে এখন তিনি আসামী হিসেবে নয় সবার কাছে পরিচিত জল্লাদ হিসেবে। জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে কারাবন্দি। এই জল্লাদ এ পর্যন্ত মোট ৩২ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন। জল্লাদ শাহজাহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৫ ঘাতককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেন শাজাহান। এছাড়া এদেশের কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যা মামলার আসামি খুকু, মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাহজাহান। এদেশে তিনিই একমাত্র জল্লাদ যিনি একরাতেই দুই কারাগারে ৪ আসামিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন।
৪৪ বছর কারাভোগ শেষে তিনি এখন জেলের বাইরে- গতকাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বললেন,
কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। ৪৪ বছর কারাবন্দি থেকে বাইরে এসে নানা প্রতারণায় পড়ে মনে হচ্ছে কারাগারেই ভালো ছিলাম।আমি জানতাম না এত প্রতারক বাংলাদেশে রয়েছে। আমি ২৩ বছর বয়সে জেলে গিয়েছি, ৪৪ বছর কারাভোগ শেষে এক অন্যরকম দেশ দেখছি। বাইরের লোকের সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না, তারা এতটুকু নির্দয় হতে পারে আমার জানা ছিল না।
আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগানদাতা নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই। ৪৪ বছর কারাভোগ শেষ করে এসে আমি এখন বাইরের মানুষকে বুঝতে পারছি না। যেখানেই যাচ্ছি প্রতারকের খপ্পরে পড়ছি। জল্লাদ শাহজাহান বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। কোনোটিই আমি পাচ্ছি না। আমি আমার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। (~ আলোচিত অংশ টুকু পুরো খবরের চুম্বক অংশ! জল্লাদ শাহজাহান খুব ভাল মানুষ নয়। জেল থেকে বের হবার পরে তাঁর কর্মকান্ডও খুব বেশী স্বচ্ছ ছিল তাও নয়। কিন্তু তাঁর কথাগুলো শতভাগ সত্য। সত্যিই আমাদের দেশের মানুষগুলো মনুষত্ব্য হারিয়েছে। দেশের অধকাংশ মানুষের মানসিকতা পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।)
****
প্রসঙ্গঃ ভারতীয় পণ্য বয়কট
নীচের তালিকাটি ভারত থেকে গত বছর মার্চ এপ্রিলের পন্য আমদানীর একটা গড় হিসাব- বিবিধ মিডিয়ার তালগোল পাকানো আলোচনা রাজনীতির মঞ্চে নেতাদের ষ্ট্যান্ডবাজী , ফেসবুকীয় প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাস করে কিংবা আমাদের ব্লগারদের মধুর তিক্ত বচনে আপনি ভারতীয় পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন কিংবা আরো বেশী দরদ দিয়ে তাদের পন্যকে কলিজায় জড়িয়ে নেন তবে কোনটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে? আপনি কি কিনবেন কি খাবেন আপনার পয়সা কোথায় খরচ করবেন সেটা নিতান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়! আপনার সামনে আমি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা একটা ডাটা তুলে ধরছি মাত্র- এখন সিদ্ধান্ত আপনার। হতে পারে এটা গার্বেজ ও ভুলে ভরা অসত্য তথ্য- তাই লিঙ্কটা সংযুক্ত করে দিলাম। বিশ্বাস অবিশ্বাস করা আপনার ব্যাপার।
তুলোর সুতা( সেলাইয়ের সুতো বাদে- যা মূলত পোশাক শিল্পে ব্যাবহৃত হয়) ৫১৭ মিলিয়ন ডলারের (এপ্রিল ২০২৩)
মোট আমদানীর ৯.২২ ভাগ
অন্যান্য ব্যাগ জাতীয় কটন ও কটন সুতা আমদানী হয়েছে ১০৮৪ মিলিয়ন ডলারের(এপ্রিল ২০২৩) মোট আমদানীর ১৯.৩৪ ভাগ
এই দুটো মিলে আমদানী হয়েছে মোট আমদানীর প্রায় ২৯ ভাগ!
আপনি ‘বিড়লা সেলুলয়েজে’র নাম শুনেছেন? এদের মত উন্নতমানের পরিবেশবান্ধব কটন বিশ্বের খুব কম কোম্পানী উৎপাদন ও রপ্তানী করে।
এইসময়ে বাসমতি সহ সবধরনের সুগন্ধি ও উন্নত জাতের চাল আমদানী হয়েছে ৩.৬১ মিলিয়ন ডলারের। ০.৬৫%
ভুট্টা- ২২.২৩ ডলারের। ১.৯০%
সব ধরণের তাজা ও শুকনো ফল- ৬.৭৬ মিলিয়ন ডলারেরে। ১.২০%
আদা জাফরান সহ সব ধরণের মশলা- ৫.৮ মিলিয়ন ডলারের। .৫০% এবং পরের মাসে ০.০২% এ নেমে আসে
পিঁয়াজ রশুন সহ অন্যান্য তাজা বা হিমায়িত সব্জি-৮.৭ মিলিয়ন ডলার। ০.৭৪%
এসব খাদ্য মিলে আমরা মোট আমদানী করছিঃ ৪.৯৯ ভাগ
মোটর সাইকেল গাড়ি পার্টস সহ অন্য সব কিছু ২২ মিলিয়ন ডলার । ২.৬%
ইমিটেশন জুয়েলারি আসে প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের। ০.৭০%
নারী ও বাচ্চাদের পোশাক; প্রায় তিন মিলিয়ন ডলারের। ০.২৫ পরের মাসে কমে গিয়ে সেটা ০.০৫% নেমে যায়। এটা মূলত ঈদ বাজার কেন্দ্রিক।
পোশাক আশাক জুয়েলারি মিলে প্রায় একভাগ। যদিও বেশিরভাগ পোশাক মানুষ ওখানে বেড়াতে গিয়ে বা চিকতসা করাতে গিয়ে কিনে নিয়ে আসে।
এবার আসি দারুণ এক আলোচনায় আপনি জানেন কি?
আমাদের পাশের দেশ থেকে প্রতি মাসে পাখি ও কুকুর বেড়ালের খাবার আসে; প্রায় সাড়ে চার মিলিয়ন ডলারের। যা সমস্ত আমদানীর ১ ভাগের কাছাকাছি।
***
তাঁর মানে বছরে প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ডলারের পাখি, কুকুর ও বিড়ালের খাবার আমরা ভারত থেকে আমদানী করি। মনুষ্যপ্রেম বর্জন করলে আমরা দারুনভাবে পশুপ্রেমী জাতি হয়ে উঠছি-নিজেরা ভাগাড়ের খাবার খেয়ে আমদানী করা দামী পশুখাদ্য এনে তাদের খাওয়াচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৪