somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সেই বাড়িটি

১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমরা পরপর তিনটে ছবি দেখি; প্রথমে একজন ইতিহাসের অন্যতম ক্রূর স্বৈরাশাসক! সম্ভবত সর্বকালের সবচাইতে ভয়ঙ্করতম নারী স্বৈরাশাসকের ছবি।
রের ছবিটি ওই ডিক্টেটরের লালিত পাষণ্ড বাহিণীর হাতে নির্মমভাবে নিহত সিড়িতে অবহেলায় পড়ে থাকা ইউনিফর্ম পরিহিত সদ্য সাবালক হয়ে ওঠা একজন কলেজ ছাত্রের লাশ।
তৃতীয় ছবিটি ওই ছাত্রের মত সিড়িতে ঠিক একই ভঙ্গীতে লুটিয়ে থাকা সেই স্বৈরাচারের পিতার নির্মম পরিণতির ছবি। যিনি ছিলেন একজন বাঙ্গালী জাতির রূপকার, একটা জাতির অবিংসবাদী নেতা! যার শোক ঘিরে আজকে এত আয়োজন- অনেকেই আমাদের আমরা এক কন্ঠে বলে' কাদো বাঙ্গালী কাদো'!!!!
খন আমরা দ্বিতীয় ছবিটা ঘুরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ওখানে নিয়ে যাই। ওই বয়সে তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। ধরুন বৃটিশদের পালিত পাষণ্ড আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ঠিক ওইভাবে হত্যা করে লাশটা সিড়িতে ফেলে রেখেছে; তাহলে বাঙ্গালী জাতির বা বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখা হত সেটা ঠিক কিন্তু শেখ মুজিব নামক মানুষটার ইতিহাস হয়তো লেখাই হোত না। তিনি হারিয়ে যেতেন ইতিহাসের গভীর অন্ধকারে। কোথায় জাতির পিতা, কোথায় জাতির রূপকার আর কোথায় অবিংসবাদী নেতা ...
***
কালের নিষ্ঠুর আঘাতে, মানুষের ভুল আর অত্যাচারে কত গুরুত্বপুর্ণ ইতিহাস আর দলিল হারিয়ে গেছে তার ইয়ত্ত্বা নেই।

ওই বাচ্চাটাকে সুযোগ দেয়া হয় নাই, যেমন দেয়া হয় নাই আরো তিনশত পাঁচ শত কিংবা হাজার কিশোর যুবককে, তেমনি পঙ্গু অন্ধ করে দেয়া হয়েছে হাজারো আরো শিশু থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী যুবক যুবতীকে। একটা জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেবার ষড়যন্ত্র করেছিল কিছু জ্ঞানপাপী গো-মুর্খ বৃদ্ধরা।
ওটা তো একটা মাত্র বাড়িই বৈ আর কিছু নয়! তো হতে পারে সেখানে সংরক্ষিত ছিল জাতির সবচেয়ে অমুল্য সব ইতিহাস। যার দেয়ালে দেয়ালে আঁকা ছিল এ জাতির কলঙ্কের অধ্যায়। সেটাকে আমাদের কিছু মানুষ কিংবা অমানুষ ধ্বংস করে ফেলতে চেয়েছে-যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
কিন্তু আমার জিজ্ঞাসা; এমন হাজার লক্ষ ইট সিমেন্ট রডের পরতে পরতে লেখা ঐতিহাসিক দেয়াল , কিছু নথি, দলিল, চিঠি আলমিরা, বুকশেল্ফ কিংবা জড় আরো অনেক কিছু- একটা মানুষের জীবন থেকে মুল্যবান হতে পারে না। এই পুরো স্থাপনার বিনিময়ে ফিরিয়ে দিন ওই কিশোর ছেলেটার জীবন যাকে আপনারা শুধু ক্ষমতার জন্য স্বার্থের জন্য লোভের জন্য আরো একজন বঙ্গবন্ধু্ হবার সুযোগ না দিয়ে পৃথিবী থেকে চিরতরে তাড়িয়ে দিলেন।

* ই শোক দিবসে কেউ আমার কথায় কষ্ট পেলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:০১
৩২টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুমিল্লা জেলা: সুস্বাস্থ্য এবং হোমিওপ্যাথির জন্য এক নতুন সুযোগ ২০২৫

লিখেছেন ডাঃ নেয়ামত-উল্লাহ-হাসান, ১০ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পেল ইরান

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪





চীনের কাছ থেকে ভূমি-থেকে-আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র–ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে ইরান। ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পুনরায় শক্তিশালী করতে তেহরান নিজেদের অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করার দিকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে বেশী সুখী.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১০ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৫৮

কে বেশী সুখী.....

কতটা বিত্ত ব্যক্তিকে নির্ভার জীবন দিতে পারে?
অর্থনীতির কোনো সূত্র কি এর সীমা টেনে দিতে পারে?
আমার জানা এবং উপলব্ধিতে তা পারে না।
ব্যক্তির চাওয়ার ভিন্নতার কারনে এটি সম্ভব নয়।
ব্যাক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার বনাম প্রতিহিংসা

লিখেছেন আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন, ১০ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১০

আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে দূর্বল অভিযোগপত্রের কারনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো হাস্যরসের কারন হয়ে গিয়েছিল - তাই বিবিসিকে দিয়ে ১৮ সেকেন্ডের একটা কাটপিস মুল প্রমান হিসাবে আদালতে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াতের নতুন কৌশল: ‘হাঁটু ধরা ’ রাজনীতি

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৪৯


আজ আমরা একখানা চমৎকার ছবি হাতে পেয়েছি, যেখানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাহেবকে এক গভীর দার্শনিক মন্তব্যে বিভোর দেখা যাচ্ছে। ছবির মূল আকর্ষণ তার সেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×