গত ১৪ বৈশাখ চলে গেলো হুমায়ুন আজাদের জন্মদিন।
সেই হুমায়ুন আজাদ - যিনি প্রচণ্ড দ্রোহ নিয়ে, দীপ্তি নিয়ে আমাদের সামনে ছিলেন দীর্ঘ সময়। আমরা তাঁর প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকতাম। তাঁর তীব্র উচ্চারণ আমাদের প্রেরণা যোগাতো।
সেই হুমায়ুন আজাদ কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ভাষা-গবেষক, সাহিত্য-ভাষ্যকার। তাঁর গদ্যের সৌন্দর্য দ্যুতি ছড়াতো।
প্রথাকে ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি। একটি কবিতায় লিখেছিলেন,
`আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে।
আমার খাদ্যে ছিলো অন্যদের আঙুলের দাগ,
আমার পানীয়তে ছিলো অন্যদের জীবাণু,
আমার নিশ্বাসে ছিলো অন্যদের ব্যাপক দূষণ।
আমি জন্মেছিলাম, আমি বেড়ে উঠেছিলাম,
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।'
আমরা কমবেশি অন্যদের সময়ে বাস করি; চোরাকারবারি, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক, হত্যা, ধর্ষণ আমাদের সময়কে গ্রাস করে। মূলত আমাদের ব্যক্তিক সৃজনপ্রতিভাকে রুদ্ধ করে আমাদের সময়ের এই সব ঘাতকরা। হুমায়ুন আজাদ এসব থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন। দাঁড়াতে চেয়েছিলেন নিজের পায়ে নিজের মতো করে।
অবশ্য এও সত্য তাঁর চিন্তার অনেকাংশ জুড়ে ইউরোপ ভর করেছিলো। আসল কথা হলো প্রতিবাদের যে-স্বর তাঁর কণ্ঠে ছিলো সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
সেই স্বরটিকে কাজে লাগানোতেই তাঁর সাফল্য।
সত্য কথা বলার সাহস তাঁর ছিলো। সেই সাহস আমাদের ভেতর সঞ্চারিত হোক। হুমায়ুন আজাদের লেখা দীর্ঘজীবী হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




