somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কৃষ্ণগহ্বর নেই, তবে তা থেকে কেমনে বেরনো যায়???

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





স্টিফেন হকিং বলেন, বাস্তবে কৃষ্ণগহ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই। তিনি মনে করেন, আমরা যে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে ভাবতে শিখে আসছি তার পদ্ধতিতেও এসব কিছুর অস্তিত্ব নেই। সরল রেখার অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে, অসীমতা থেকে পালাতে পারে না এমন আলো থেকে যে শক্তি আসছে সেটি ভাবলে এখানে কোন কৃষ্ণগহ্বরই নেই।

গত বছরের জানুয়ারি মাসে এসব বক্তব্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইয়াহু নিউজ ।

সম্প্রতি সময়ে স্টিফেন হকিং সেই কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরনোর কথা বলবেন। এ বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হচ্ছে, ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরে যা একবার পড়ে তা চিরতরে হারিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরাও এমনটাই মনে করেন। এই ব্ল্যাকহোল থেকে বের হওয়ার আর কোনো পথই থাকে না। তবে সম্প্রতি বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং শুনিয়েছেন ভিন্ন কথা। সুইডেনের স্টকহোমে কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে নতুন একটি তত্ত্ব শুনিয়েছেন তিনি। হকিং বলেন, ‘কৃষ্ণগহ্বরকে আমরা যে অনন্তকালের কারাগার বলে জেনে এসেছি আসলে এটা তা নয়। কৃষ্ণগহ্বরে কোনো কিছু পড়ে গেলে তা চিরতরে হারিয়ে যায় না।’
গবেষকেরা বলছেন, ব্ল্যাকহোল হচ্ছে মহাকাশের এমন বিশাল একটি অঞ্চল যেখানকার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই প্রবল যে সেখান থেকে কোনো কিছুই বের হতে পারে না। কৃষ্ণগহ্বর থেকে এমনকি আলোও বের হতে পারে না।

তবে হকিং বলছেন, ‘আপনার যদি মনে হয় কৃষ্ণগহ্বরে পড়ে গেছেন, তবুও আশা ছাড়বেন না। এখান থেকে বের হওয়ারও পথ রয়েছে।’
হকিং মনে করেন, ব্ল্যাকহোলে যে তথ্য চিরতরে হারিয়ে গেছে বলে মনে করা হয়ে আসছে তারও জীবন আছে। আসলে এ তথ্য কৃষ্ণগহ্বরে পুরোপুরি হারায় না। কৃষ্ণগহ্বরের সীমানা বা ঘটনা দিগন্তে তা সংরক্ষিত থাকে।

কোয়ান্টাম মেকানিকসের সূত্র অনুযায়ী, এ তথ্য যেকোনো সময় যেকোনো উপায়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর হকিং অবশ্য কৃষ্ণগহ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই এ তত্ত্ব দিয়েছিলেন।

হকিং বলেন, আমার এই বক্তৃতার সারমর্ম হচ্ছে— কৃষ্ণগহ্বর আসলে কালো নয়। এক সময় কৃষ্ণগহ্বরকে যে অনন্ত কারাগার মনে করা হতো এটা তাও নয়। কৃষ্ণগহ্বর থেকেও বস্তুর বের হওয়ার পথ রয়েছে এবং কৃষ্ণগহ্বর থেকে বের হয়ে বস্তু সম্ভবত আরেক বিশ্বে চলে যেতে পারে।

গত বছর বললেন কৃষ্ণগহ্বর নেই। এ বছর বললেন কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরনো সম্ভব। কথাগুলো পরস্পর বিরোধী হল না।

তথ্যসূত্র- প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×