আমার লেখা যত কবিতা
-তার জন্য
আমার ঘুণে ধরা ডায়েরির টগবগে পাতার লাইনগুলো
-শুধু তারই জন্য
আমার শরীরের অদৃশ্য মৃত শিরা–উপশিরাগুলো তন্নতন্ন করে
- আজো তাকেই খুঁজে,
আমার অন্ধকার বারান্দায় এখনো কল্পনায় আমি খুঁজে পাই
-তার নুপুরের ধ্বনি
আমার সাদামাটা ছোট ক্যানভাসে ধুলোমাখা শেষ ছবিটাতো
-তাকে ভেবেই আঁকা
আমি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি
-শুধু সে আমার স্বপ্নে
নিরন্তর আসে বলে
চোখ দুটো বন্ধ করলে
আজো যেন দেখতে পাই
-তার নির্মল হাসিগুলো।
সে আমার কবিতাগুলি পড়েনি কখনো
দেখেইনি জ্বলন্ত লাইনগুলো,
বুঝতেই পারেনি
আমার গহীনে লুকিয়ে আছে
কালো হয়ে যাওয়া কতগুলো
শিরা আর উপশিরা
সে জানেই না আমার ঘুমন্ত ক্যানভাসটির কথা
সে দেখেনি আমার অতলে যাওয়া
ছোট ছোট অজস্র অশ্রুবিন্দু
সে ভুলেও ছুঁয়ে দেখেনি
আমার শীতল হাতটি
সারাটিজীবনে সে দেখেছে শুধু
আমার কয়টা হাসি
কিন্তু তার অর্থ খোজেনি কোন দিন ।
চেষ্টাও করেনি কখনো
- হয়তোবা করেছে।
তাকে পাবো বলে
জেগেছি শত রাত
গুনেছি অগণিত তাঁরা
এঁকেছি বিরামহীন কল্পনা
সে শুধু হেসেছে,
শুধুই হেসেছে।
এক অজানা দিনে
সে সরলা কোথায় যেন
অজান্তেই হারিয়ে যায়
এই দুচোখের সীমানা থেকে
-এতটুকুও বুঝতে পারিনি।
তবে অবাক হইনি একটুকুও
শুধুই অনুভব করেছি শেষবারের মতো
অনুভব করেছি পবিত্র এক অনুভুতিকে
যা আমার পুরো জীবনের
সবগুলো অনুভুতির মাঝে সর্ব শ্রেষ্ঠ।
তারপরও তাকেই খুজেছি
লোকালয় থেকে লোকান্তরে
সীমানার শেষ রেখা পর্যন্ত
আমি হেঁটেছি বহুদূর থেকে বহুদূর
তাকে খুঁজতে খুঁজতে কখন যেন
আমি নিজেই হারিয়ে গেছি
আমার কাছ থেকে।
আজ আমি স্বপ্ন দেখতে পারি না ,
আঁকতে পারিনা কোন কল্পনা
করতে পারিনা কোন অনুভব
আমি আজ এক নিয়ন্ত্রণহীন চালক।
তাইতো আজ আমি
পরাজিত এক সৈনিক।
আমি হেরে গেছি!
সত্যিই আমি হেরে গেছি।
আমি মানিনা সে সমাজ
যে সমাজ খুঁজে
-মানুষের সাথে মানুষের তফাৎ
আমি মানিনা সেই শাসন
যে শাসন
-অপর পৃষ্ঠা হয় ভালোবাসার
আমার জীবনটা চলছে একটা ঘুমন্ত পিপীলিকার মত
কোন এক অজানা অচেনা
-গন্তব্যহীন পথে।
আমার আজ শুধুই একটিই সম্বল
কি তা জানো?
-তোমার সরল সেই হাসি।
আমি কোন কবি নই।কবিতার হাতও আমার নেই।লেখতে লেখতে এতগুলো ফালতু লাইন কেমনে কেমনে লেখে ফেলছি। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।নিজেকে কখনো ছোট ভাবা উচিৎ নয়।জীবনে কান্না না থাকলে যেমন হাসির আনন্দ বুঝা যেতো না, তেমনি দুঃখ না থাকলে সুখ কি তা বুঝা যেত না ।