প্রথমেই বলে রাখি আমার এ পোস্টটি কারো ধর্মীয় অনুভূতি বা দেশ প্রেমে আঘাত করার জন্য নয়। কোন উন্নত মস্তিস্কের কেউ যদি এর ভেতর কোন দৈত অর্থ পান তবে তা তার নিজ দায়িত্বে খুজঁবেন।
যেকোন মৃত্যুই দুঃখ্যের, বেদনার। আর সে মৃত্যু যদি হয় অকালে তবে তা আরো কষ্টের। আমি থাবা বাবার প্রয়াণে তার শোকাহত পরিবারকে জানাই সমবেদনা।
কর্মব্যস্ততার কারনে ইদানিং পোস্ট করা হয়না। কিন্তু ব্লগে নিয়োমিত আসি এবং পড়ি। আজ সকালে থাবা বাবার প্রয়াণের খবর পেয়ে তার লেখাগুলো সব পড়লাম। উনি ব্লগ লিখছেন ৩ বছর ৩ মাস ধরে। এ সময় ধরে তিনি লিখেছেন মাত্র ১১টি। যা সময়ের হিসাবে কম। অর্থাৎ তিনি নিয়মিত ব্লগার ছিলেন না। আমার কথা নয় পরিসংখ্যান বলছে। সময় অনুপাতে তিনি মন্তব্যও করেছেন অনেক কম। তাকে বিভিন্ন ব্লগার যেভাবে নাস্তিক উপাধিতে ভূষিত করে গালিগালাজ করছে, থাবা বাবার লেখার ভেতর আমি সে রকম কোন কিছু পেলাম না। হতে পারে আমার অজ্ঞতা। খুজে খুজে কিছু মন্তব্যও পড়লাম। কিন্তু দেখলাম নাস্তিক্যের বিচারে সে খুবই নিচু অবস্থানে ছিল। তারচেয়ে অনেক বড় বড় গোড়া নাস্তিক এখনো বহাল তবিয়াতে আছে। নাস্তিক হওয়ার করনে এসব বড় বড় নাসিতকরা যদি খুনের শিকার না হন তবে থাবা বাবার খুন হওয়ার কথা না। এটাই সাধারণ যুক্তি।
তবে কেন খুন হলেন? এর উত্তর দেয়ার আমি কেউ না। তাই এ বিষয়ে আলোচনা করবো না। আমার বক্তব্য হলো, যে কোন বিষয় সীমার ভেতর থাকা উচিত। সভ্যতা আমাদের তাই শিক্ষা দেয়। ইদানিং ব্লগে আসলে দেখা যায় শুধুই কাদা ছোড়া ছুড়ি। কিছু ধর্মান্ধ ও কিছু ধর্ম বিদ্যেশি একটি গ্রুপ আর একটি গ্রুপের পেছনে লেগে আছে। মজার বিষয় হলো দু'টি গ্রুপই নিজেদের খুবই সভ্য হিসাবে প্রমান করতে চায়। আমার কথা হলো আপনি যদি আপনার ভেতরের পশুকে দমন করতে না পারেন তবে কোন সভ্যতার বড়াই করেন। কি করে নিজেকে সভ্য দাবি করেন?
একজন মানুষ যখন মৃত্যু বরণ করে তখন গ্রামের একজন অশিক্ষত মানুষও তো মৃতের সব অপরাধ ক্ষমা করে দেয়। অথচ সামু একটি ব্লগ যেখানে শিক্ষত মানুষের মিলন মেলা সেখানে একজন সহব্লগারের মৃত্যুতে কিছু ব্লগার যে ধরনের উল্লাশ প্রকাশ করছে তা কোন সভ্য বা কোন ধার্মীকতার প্রকাশ আমি বুঝিনা। আমার খুবই লজ্জা লাগে।
ব্লগের যারা মডারেটরের ভূমিকায় আছেন তাদের উচিত অংকুরেই এ ধরনের অসভ্যতার রাস টেনে ধরা। অন্যথায় সেদিন বেশি দুরে নয়, যেদিন এই ব্লগেই ঠাই করে নেবে মৃত্যুর উল্লাস। ধার্মিকরা মরবে নাস্তিকরা উল্লাস করবে, বা নাস্তিকরা মরবে ধার্মিকরা উল্লাস করবে। সব করতে পারার নাম গনতন্ত্র নয়। কোন কাজ করার আগে অন্যের স্বার্থ দেখাই গনতন্ত্র।
আমার একজনকে ভাললাগেনা বলে আমি তাকে আমার ইচ্ছামতো গালমন্দ করার অধিকার রাখিনা। এটাই সভ্যতা আমাদের শেখায়, গণতন্ত্রও আমাদের এটাই শেখায়। একথা সবার জন্য। আমি কারো দর্শন পছন্দ করিনা বলে তাকে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারিনা। আবার আমি ধর্ম মানি না বলে যারা ধর্ম মানে তাদের অনুভূতিতে আঘাত করতে পরি না।
যারা এ কাজ করে তরা যেমন দোষী তেমনি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে যারা এ অপরাধ করার জন্য সহযোগিতা করে তারাও সমান দোষী। অতএব, এই ব্লগের যারা মডারেটর তাদের উচিত নেংরামী বন্ধে কঠোর হওয়া। নয়তো দায় এড়ানো যাবে না।
আজকে যদি থাবা বাবার খুন ব্লগ লেখার কারনে হয়ে থাকে তবে সে খুনের দায় সামান্যতম হলেও সামুর কাঁধে যায়। কারন তার ব্লগিং এর প্লাটর্ফম ছিল সামু। এ মৃত্যু ঠেকাতে সামু কি কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল? সে কি রাস টেনেছিল? আজ যুক্তি দিয়ে অনেক দায় এড়াতে পারবেন। কিন্তু বিবেকের দায় কিভাবে এড়াবেন?
এখনো সময় আছে নোংরামী বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিন। পক্ষপাতিত্ব বা উস্কানিতে সহযোগিতা নয়; নিরোপেক্ষ অবস্থান নিন। এর সাথে আপনাদের বানিজ্যিক ভাবমূর্তিও জড়িত।
সব শেষে থাবা বাবার খুনের তীব্র নিন্দা জানাই। খুনিদের পাকড়াও ও দ্রুত বিচার চাই। সেই সাথে মৃতের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করে সবাইকে জানাজায় অংশগ্রহণের আহ্বন জানাচ্ছি।
আলোচিত ব্লগ
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।
আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার
মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা
তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান
উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!
এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন