somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"সামহোয়্যারইন ব্লগারদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম-২০১২" সফল ভাবে সমাপ্ত

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২৩-১২-২০১২ ইং সম্পন্ন হল "সামহোয়্যারইন ব্লগারদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম-২০১২"। প্রথমে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সকল সহব্লগারদের প্রতি যারা অর্থ, সময়, শ্রম, পরামর্শ ও শুভকামনা জানিয়ে এই কার্যক্রমকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন।



গত ২০১০ সালে আমরা গিয়েছিলাম লালমনিরহাট জেলায়।
আমাদের এবারের টার্গেট ছিল লক্ষীপুরের মজুচৌধুরির হাটের মেঘনা নদীর পাড়ে নৌকায় ও বেড়িবাধে বসবাস করা অতি দুঃস্থ্য কিছু পরিবার। যাদের সন্তানেরা কয়েকজন ব্লগার দ্বারা পরিচালিত ও সাহায্যপুষ্ট "মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনে" অধ্যায়ন করে। এ লক্ষ্যে আমি একটি পোস্ট দেই যা ব্লগে স্টিকি করা হয়।







এবার আমরা টার্গেট করেছিলাম ১০০ পরিবারকে ১ টি করে কম্বল প্রদান করার। আমাদের মোট সংগৃহিত অর্থের পরিমান=৩২৪০০/-টাকা
আমরা কম্বল ক্রয় করেছি ১০৮ টি। ব্লগার বাংলার হাসান সংগ্রহ করেছেন ৪২টি। এছাড়াও ৫ বস্তা পুরাতন কাপড় সংগৃহিত হয়েছিল।





২২তারিখ রাত ১২টার বাসে (১টায় ছাড়ে) আমি, বাংলার হাসান, ব্লগার জালিমের দুশমন লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।




পৌছাই ভোর ৫.৩০ এ। ওখানে গিয়ে সাথে পাই ব্লগার বাংলার অতুল ও হাসান ভাইয়ের কাজিন রাশেদকে।




একটা টেম্পু ভাড়া করে মালসামান সহ আমরা পৌছাই মজু চৌধুরির হাটে আমাদের "মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন" এ।




স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অবিভাবকরা অধীর আগ্রহে আমাদের অপেক্ষায় ছিল।




১০টার দিকে আমাদের সাথে যোগ দেয় জনপ্রিয় ব্লগার "জামিনদার" ভাই।




১পরিবার ১টি কম্বল- এই সিস্টেমে আমরা লিস্ট করি ও প্রত্যেককে স্লিপ প্রদান করি। আমাদের সক্রিয় সাহায্য করে মেঘনাপাড় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফারজানা সুলতানা, সহ শিক্ষকবৃন্দ ও স্কুলের অবিভাবক প্রতিনিধী কাম তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব মাঝি।



স্লিপ নিয়ে একটি করে কম্বল দেয়া হয়।






১৫০ পিস কম্বল দেয়ার পর ৫ বস্তা কাপড় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার নিকট হস্তান্তর করা হয়। স্কুল চলাকালীন সময়ে উনি বাচ্চাদের ও তাদের পরিবারকে যথাযথ ভাবে প্রদান করবেন।



ব্লগার বাংলার হাসান তার গ্রামের বাড়ি চলে যান। অতুল এর বাসা লক্ষীপুর শহরে। জামিনদার ভাই চৌমুহনি ফিরে যান। বিকাল ৫টায় আমি ও ব্লগার জালিমের দুশমন ঢাকার দিকে রওনা দেই।

হিসাব বিবরনীঃ-
মোট সংগৃহিত টাকাঃ ৩২৪০০/-
---------------------------------------
১০০পিস কম্বল ২৬০টাকা দরে= ২৬০০০/-
৮পিস কম্বল ২৮০ টাকা দরে= ২২৪০/-
গুলিস্তান কুলি= ১০০/-
গুলিস্তান টু খিলঁগাও ভ্যান= ৩০০/-
খিলগাঁও টু সায়দাবাদ ভ্যান= ৪০০/-
সায়দাবাদ কুলি= ৩০০/-
ঢাকা টু লক্ষীপুর (৩জনের ভাড়া + মালের ভাড়া)= ১৫০০/-
লক্ষীপুর টু মজুচৌধুরীর হাট বাই টেম্পু= ৩০০/-
মজু চোউধুরী টু লক্ষীপুর= ২০০/-
লক্ষীপুর টু ঢাকা= ৬০০/-
ত্রান সংগ্রহ ও বিকাশ= ৭০০/-
------------------------------------
মোট খরচ= ৩২৬৪০/-

টোটাল কার্যক্রমে টাকা প্রদান, টাকা সংগ্রহ, বস্ত্র সংগ্রহ, শ্রম দেয়া ইত্যাদি মিলে অংশগ্রহন ছিল মাত্র ৩০-৩৫ জন ব্লগারের। এছাড়া শুভকামনা ছিল অসংখ্য ব্লগারের। বরাবরের মত এবারো দান এর ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন আমাদের প্রবাসী ব্লগারগন।




বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সিন্ডিকেটিং করার পবাদ দেয়ার প্রতিবাদ করায় আমাকে জেনারেল করা হয়। লক্ষীপুর রওনা দেয়ার কিচ্ছুক্ষন পর জানতে পারি আমার কিছু মন্তব্য মুছে ফেলা হয়। আজকে ঢাকা এসে লগইন করে দেখি আমি "জেনারেল"!!! কিচ্ছু বলার নাই!!!

সকল প্রিয় সহব্লগারদের জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

পরিশেষে, ব্লগাররা বারবার প্রমান দিচ্ছে ব্লগ ও ব্লগারদের শক্তিমত্তা, মানবতার প্রতি দায়বোধের। এবারের মত শীতবস্ত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও "রুশানের সুচিকিতসার" জন্য তহবিল সংগ্রহে আমাদের মিশন শেষ হয় নি। ইনশাল্লাহ সকলের সহযোগীতা, ভালোবাসা আর দোয়ায় রুশান সুস্থ্য হয়ে মায়ের কোলে ফিরে যাবে।


১১৮টি মন্তব্য ১০৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×