চারিদিকে কত কিসিমের ফ্যাশন যে চালু হইয়াছে আজ তার কিঞ্চিত তুলিয়া ধরিতে মনটা বড় আনচান করিতেছে। সেই দিন ফার্মগেইট থেকে বাসে উঠিলাম বাসার ফেরার উদ্দ্যেশে। সঙ্গী সাথীর সংখ্যা সাত জন হলেও দুপুর সময়ে ভিড় কম থাকায় সৌভাগ্যক্রমে সকলের বসার ব্যবস্থা হইয়া গেল। তবে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই সেই চির চেনা দৃশ্য । ধীরে ধীরে গাদা গাদি করে যাত্রী দ্বারা বাস পূর্ণ হইয়া গেল। এরই মধ্যেই চোখ আটকাইয়া গেল আমার এক সিট সামনে দাঁড়ানো সদ্য কৈশর পেরুনো নবযুবকের ফ্যাশনের নমুনা দেখে। হাতে একখান চওড়া ব্লেটের ঘড়ি, কিন্তু শার্ট আর প্যান্ট দেখিয়া মনে হইল ব্যস্ততার কারণে মনে হয় ভুল করিয়া তাহার ছোট ভাইটির শার্ট-প্যান্ট পড়িয়া আসিয়াছে। দাঁড়িয়ে থাকার কারণে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করিবার জন্য বাসের হাতল ধরিবার সাথে সাথে তাহার শার্টের নীচের অংশ যে হারে উপরে উঠিতে লাগিল প্যান্ট খানা ছোট হইবার কারণে সেটিও ক্রমাগত নীচের দিকে নামিতে উদ্যত হইতেছে। পশ্চাত দেশে মাংসের সল্পতা থাকিলে ইহা কত বার যে ভুপাতিত হইত তা বলা মুশকিল। ইহার ফলে পাঠক গণ নিশ্চয় অনুধাবন করিতে পারিতেছেন কি এক দৃশ্যের অবতারনা ইহতেছে। জি পাঠক বৃন্দ ইহার ফলে শুধু তাহার উদরই দেখা যাইতেছিল তাহাই নহে, তাহার সাথে নিম্মাঙ্গের কেশগুচ্ছ নির্লজের মত দন্ত বিকশিত করিয়া গরমে নিজেদের গায়ে বাতাস লাগাইতেছিল। এই নিয়ে ছেলেটির মধ্যে সামন্যতম অস্বস্তিবোধ ছিল না যদিও আমার মত যারা দেখিয়াছেন তারা লজ্জা আর অস্বস্তিতে ভোগছিলেন।
আমার মনে হয় এরকম কিছু দৃশ্য আপনারা অনেকেই বাস হেল্পারদের মাঝে দেখিয়া থাকিবেন। শুধু বাস হেলপারদের কথাই বা বলি কেন, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভবিষ্যতে এই ফ্যাশন যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি একটি দুশ্চিন্তার বিষয় বটে।
আমি বুঝে পাই না এই সন্তানটি যখন ঘর থেকে বের হয় তখন তার মা-বাবা, বড় ভাই বোন কারো চোখেই কি এই বিশ্রী বিদঘুটে ফ্যাশন চোখে পড়ে না !?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




