somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশিরকনার সৃতিকথা

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক ইচ্ছা করছে কিছু লিখব,কিন্তু কিছু খুঁজে পাচ্ছি না | অনেক চিন্তা ভাবনা করে বুঝতে পারলাম আমি জাফর ইকবাল নই কিংবা আমি হুমায়ুন আহমেদও নই....আমি বোহেমিয়ান এর মত সুন্দর করে কবিতা সাজাতে পারব না এমনকি মুক্ত বয়ান এর মত মায়াবী কথার রস আমি দিতে পারব না | বিষন্ন মনে যখন নিজের কাব্য রসের সামর্থ নিয়ে নিজেই হতবাক হচ্ছি তখন কেন জানি মনে হলো নিজের গল্পই তো বলার মত কাব্য ....নিজের কিছু সৃতিকথা হয়ত আমার চোখের কোনায় একটু জলবিন্দু এনে দিবে | কেমন হলো জানতে চাই না , বুঝতে চাই না তোমাদের অনুভুতি | এটা আমার নিজের অনুভুতি | শিশিরকনার সৃতিকথা গুলো সবুজ ঘাসের বুকে আলোর ঝিলিক দিয়ে হয়ত তোমাদের মুখে একটু হাসি ই ফোটাতে পারবে , হয়ত চোখের কোনায় একটু জলই বা আনতে পারবে, তবুও আমি আগলে ধরতে বলব না দীর্ঘস্থায়ী হবার জন্য | কারণ শিশিরকনার সৃতিকথা গুলো হারিয়ে যাবার জন্য ,মনের গহীন কোনে হালকা আচর কেটে দিয়ে যাবার জন্য .....



ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল BUET এ পড়ব | BUET এর পাশ দিয়ে যখন আব্বুর সাথে নীলক্ষেত এ বই কিনতে যেতাম তখন সবসময় ভাবতাম , আহারে কত বড় দালান! এখানে যদি পড়তে পারতাম | অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো | BUET এ Viva আর মেডিকেল এর কথা সারাজীবন মনে থাকবে | প্রথম যার সাথে পরিচয় হলো সে হলো আমাদের #79 সজীব | OAB এর ইলেক্ট্রিকাল এর বিশাল বিশাল খাম্বা খাম্বা Circuit রুম এর পাশে line করে দাড়িয়ে ছিলাম আমরা | আমাদের সামনে ছিল শম্পা আর তন্দ্রা | আমি নিজেই সজীব কে বললাম ভাই তোমার নাম কি , পরিচয় তো হলো | বিদায় দেয়ার সময় উনি বললেন তুমি যাও আমি একটু আসি | দেখলাম উনি এক বড় দালান এর দিকে যাচ্ছেন | কিছুদিন ক্লাস করার পর জানলাম ঐটা সিভিল বিল্ডিং....আমার মনে হয় না আর কিছু বলার আছে |



প্রথম ক্লাস করতে যাব , ঐদিন সকালে আর জামা choose করতে পারতেসিলাম না | কোনটা পড়ব ! পরে চলে গেলাম ইয়া বড় একটা shirt পড়ে | হাতে ছিল একটা লাল খাতা | Architecture এ ক্লাস করতে গিয়ে ভালই লাগলো প্রথমদিন | অনেক গাছপালা আশেপাশে | আসিফ এর সাথে দেখা হলো | আমার অনেক প্রিয় এক মানুষ | কিছুক্ষণ পর একটু অন্যরকম voice এর sound শুনতে পারলাম !!!! পড়ে দেখি ঐটা Plaban | আমার কাছে ওর কথাগুলো মজাই লাগত | তিনজন মিলে অনেক মজা করসি ওই সময়গুলোতে | এরপর যথারীতি বাংলা ভাই এর কাহিনীর আগমন আর আমাদের ক্লাস খুঁজে পেল এক বাংলা আফা কে | কাহিনী টা আমাকে দিয়েই শুরু যতদুর মনে পড়ে , আমাকে কোনো কারণে মহান শম্পা গাছে উল্টা করে ঝুলাতে চাচ্ছিলেন mechanical lab এর সামনে যেদিন তারেক sir আমাদের Car ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে দেখিয়েছিলেন | আহারে বাংলা আফা , এখনো মানুষকে গাছে ঝুলানোর threat দিয়ে বেড়ায়....



Caffeteria আমার কাছে অন্যরকম এক আকর্ষণ ছিল, এত সস্তায় জিনিসপত্র পাব যায় আমার কল্পনার বাইরে ছিল | দুই টাকার সিংগারা আর দুই টাকার সমুচা, আহা আহা | আর ভাত তো পুরাই ফ্রী ....



ঐদিন ফাহাদ এর সাথে কথা হচ্ছিল , Graphicx কুইজ এর দিন | আমরা বলতেছিলাম আজ ই আমদের শেষ একসাথে কুইজ | মনে পড়ল আমরা Physics কুইজ এ পুরা 05 একসাথে কুইজ দিসিলাম....আমাদের প্রথম কুইজ মনে হয় physics ই ছিল | ভুল করতে পারি , হাজার হউক এখন তো আমি BUET এর বৃদ্ধ ....:(



L1 /T2 তে হল এ উঠলাম | হল এ উঠে অম্লান আর পরাগ কে মনে করতাম senior ভাই | আর মাশুক আর সামির এর একসাথে কোডিং এর আলাপচারিতা দেখে বলতাম ভাই তোমরা কি হেটে হেটে কোডিং করতে করতে চল | পরাগ কে দেখে আমার খুব হিংসা হইত | এত সুন্দর একটা ছেলে হয় কেমনে , একদিন তো ভাইয়াই বলে ফেললাম dinning এ | আর অম্লান এর কথা বলে শেষ করতে পারব না | একটা ছেলে কতটা ভালো হতে পারে আর কতটা helpfull হতে পারে তার সার্থক উদাহরণ অম্লান | আমাকে কখনই ওর থেকে ভালো করে কোনো পড়া কেউ বুঝাতে পারে নাই | আর পরাগ হইলো "The Bold And The Beutifull" | চরম সিরিয়াস ছেলে | হল life এই দুইজন কে ছাড়া আমি কখনই কল্পনা করতে পারি না | একসাথে রাত জেগে খেলা দেখা , খেলা নিয়ে ঝগড়াঝাটি | খুব মিস করব দিনগুলোকে | 



L2 /T1 এর শেষ দিকে term final এর আগে একদিন খেয়াল করলাম সবাই পলাশী তে কার খাতা যেন photocopy করতেসে, অবাক বিস্ময়ে Just কয়েকটা page খেয়াল করলাম | একটা মানুষ এত efficiently ক্লাস lecture কিভাবে তুলতে পারে | পরে জানতে পারলাম ওই মহামানবীর নাম সুমাইয়া , L4 /T2 এ এসেও আমি বলব "East and West , সুমাইয়ার ক্লাস lecture is the best " | আর সুন্দরবন এর trip এ সুমাইয়ার সংগীত অপরাহ্ন ছিল Awesome ....শুভকামনা রইলো তোমার জন্য সুমাইয়া |



খেলাধুলায় আমি বরাবরই মাঝামাঝি type এর , খুব ভালো পারি না | কিন্তু team এ জায়গা পাবার দাবি রাখি , promising খেলোয়ার যাকে বলে !!!! একবার ফুটবল খেলার সময় কোনো এক কারণে খোবায়েব এর পায়ে লাগলো ধাক্কা, ভাইরে মনে করসিলাম এত চিকনা পটকা একটা মানুষ এর কত জোর ই বা হতে পারে , এর হাড্ডি যে এত শক্ত কে জানত....মাহফুজ ,তানভির এর খেলা আমার খুব ভালো লাগত | রাতুল এর cricket খেলা আমার ভালো লাগত | আমি আমার CSE জীবনে দুইজন boss hardware engineer এর দেখা পেয়েছি- একজন প্লাবন আর একজন রাতুল | Hardware lab এর সময় রাতুল এর অবদান কোনদিন ই ভুলার নয় | BUET Life এ যদি কখনো কারো কাছে ক্ষমা চাইবার খুব একটা অজুহাত আসে তাহলে বলব রাতুল আমাকে মাফ করে দিস , কারনটা না হয় রাতুল আর আমার মধ্যেই রইলো | কিন্তু আমরা অনেক ভালো বন্ধু ছিলাম,আছি, থাকব | তবে রাতুল আর শতাব্দী এর Yo Couple আমার কাছে josh লাগে ....শুভকামনা রইলো তোদের জন্য |



Algorithm lab এ একদিন মাহমুদা নাজনীন ম্যাডাম এর কাছে আমি খুব বকা খাই, খুব খারাপ লাগতেছিল ঐদিন | বিকালে মাহফুজ আমাকে বলল শাকিল রাতে রুম এ আসিস, তোর দুর্বলতা গুলো শুধরে দেয়ার জন্য help করব | ঐদিন টার কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে |কোডিং খুব একটা ভালো পারতাম না কিন্তু মাহফুজ এর অনুপ্রেরণা আমাকে অনেক help করছিল , তখন থেকে আমি মাহফুজ কে মাহফুজ ভাই বলে ডাকি |



সজল এর কথা তো শুরু করতে চাচ্ছি , কিন্তু খুব বেশি লিখতে চাই না | কারণ লিখলে বেচারা কে পচানই হবে বেশি | Facebook এর কোনো অপরিচত মেয়ের profile এ গেলেই কমন friend লিস্ট এ যাকে সবসময় পাওয়া যায় তিনি ই সজল আরিফ উল আলম | সজল এর Heart টা একটু বড় ত তাই সবার জন্য space ও একটু বেশি ....থাক আর দুর্নাম করতে চাই না ভালো একজন মানুষের | অনেক ভালো একটা মন আছে সজল এর , একদিন আড্ডা দেয়ার সময় বুঝছিলাম | এত ভালবাসার এক হৃদয় পুরুষকে যে avoid করবে life এ সে অনেক অনুশোচনা করবে....



চৈতি এর কথা আর কি বলব , একটা মেয়ে কত ভদ্র ,ভালো আর talented হইতে পারে ওকে দেখলে বুঝা যায় | আমার এখনো মনে পরে প্রথম বর্ষে চৈতি ,প্লাবন আর আসিফ কে নিয়ে ত্রিভুজ খেলার একটা চরম মজা হত ক্লাস এ | যদিও অনেক funy ছিল ব্যাপারটা কিন্তু অনেক মজা হইছিল একদিন MML ল্যাব এ | আর গত বছর লেভেল completion এর দিন তো ওকে রূপবতী উপাধি দিয়ে দিল অনেকেই | এখন চৈতি আমাদের Springer Girl | আর একজন Springer Girl এর কথা তো ভুলেই গেলাম, ইভা | শেষ term এ এসেই ইভা এর সাথে যতটুকু পরিচয় | অভিনন্দন রইলো , শুভকামনা রইলো Springer Girl দের জন্য |কিন্তু Springer Girl দের কাছ থেকে যদি Springer খানাদানাটা পাওয়া যেত তাহলে দুয়া টা special হত আরো....



চৈতি এর কথা বলব আর নোভিয়া এর কথা বলব না তা কিভাবে হয় , নোভিয়া আপার একটা কথা আমার খুব মনে পরে | একদিন ল্যাব এ নোভিয়া জানতে পারল ওকে কোনো কারণে ১০ এ ৯ দেয়া হইসে , কিছুক্ষণ পর দেখলাম আপার চক্ষে পানি ....তখন মনে হইলো ইহারা অন্য দুনিয়ার প্রাণী | আসলেই মন ফ্রেশ সিরিয়াস নোভিয়া আপার কথা বলে শেষ করা যাবে না , এখনো উনি আমাকে শাকিল ভাই বলে ডাকেন ....আপা আপনে mind করলেন না তো!!!!



সোমার মত সাহসী মেয়ে আমি খুব কম দেখসি, ওর সাহস এর আমি বিশাল পাঙ্খা | সুন্দরবন টুর টা তে স্বরনীয় অনেক কিছুই হয়েছিল , তেমন ই একটা ব্যাপার ছিল সোমা-বিপাশা এর সাথে friendship টা | এরা এত ভালো বন্ধু হয়ে যাবে কোনদিন ভাবি নাই | বায়েজিদ ভাই আর রিম্পি ভাবি এর জন্য শুভকামনা রইলো | হল life এ খুব সৌভাগ্যবান ছিলাম যে বায়েজিদ ভাই এর মত এক বড় ভাই কে পাশে পেয়েছিলাম, উনার বিয়ে তে খুব মজা করব এই আশায় আছি | সিহাম তো Alltime Cহাম | Thesis এর সময় আমাদের মজা গুলো সৃতির পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে , হায়রে thesis -কবে যে তুই শেষ হবি | কার্টুনিস্ট অন্বিকা এর কথা ভুলার নয় , এখনো madam এর সেই কার্টুন এর কথা মনে হলে হাসি পায় |



আমি এখন পর্যন্ত তিনজন সেলেব্রেটি এর সাথে পরিচিত হয়েছি -রিফাত ,সেতু আর রাসেল | রিফাত আর সেতু এর গান এর কথা সবার জানা , দুইজনের গান এর বিশাল পাঙ্খা আমি | আর রাসেল যে কত বড় একজন অর্গানাইজার এটা সুন্দরবন এ গিয়ে বুঝছি | ওর organizing sense যে কত ভালো ঐটা আমি বুঝি যেদিন ওর সাথে Coxsbazar টুর নিয়ে কথা বলি | আশা করি coxsbazar টুর will be more successfull than the সুন্দরবন....



ফাহাদ কে আমি সবসময় JVM boss বলি | আমি যদি আমার ক্লাস এর কাউকে খুব বেশি অনুকরণ করি সেই মানুষটার নাম হলো ফাহাদ | নাহা হলো "the master of Cofusion in the insanity Sea" | মাঝে মাঝে খুব ঝগড়া হয় ওর সাথে , আবার মিল ও হয়ে যায় তাড়াতাড়ি | আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় তুমি তোমার দুইটা বাচ্চা বন্ধুর নাম বল , আমি বলব নাহা আর তম্নয় | নাহা এর একটা গুন কখনই avoid করার নাই আর সেইটা হলো ওর প্রচেষ্টা | আর তন্ময় এর কথা কি খুব বেশি কিছু বলার আছে | TCS ল্যাবগুলাতে সৌরভ আর তন্ময় এর সাথে গ্রুপ করে বুঝতে পেরেছি তন্ময় আর সৌরভ এর জুটি কত effective | অবশ্য এই জুটির জন্যই অনেক বিপদ থেকে আমি বেচেছি | তন্ময় এর high frequency এর voice এর কথা সারজীবন মনে থাকবে | ল্যাব থেকে নামার পর ওকে যখন রিক্সা তে তুলে দিতাম তখন প্রতিবার ই মনে হত আমি যদি ওর জন্য কিছু করতে পারতাম | পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে যারা জন্মায় অনকে বড় কিছু করার জন্য , আমার বিশ্বাস তন্ময় একদিন অনেক বড় কিছু করবে যার কথা সারাপৃথিবি মনে রাখব |



জাহের ভাই আর এক অনুকরণীয় বক্তিত্ব | আর রুশাফি কেদারামানব এর special personality নিয়ে হিংসা হয় | জাহের ভাই কে আমি সবসময় ডাকি OS ভাই বলে | অনেক ব্যস্ত মানুষ , গ্রীষ্মকালীন সংকেত লেখকদের মধ্যে অন্যতম | আমার এখনো মনে পরে আমি যেদিন শুভ্র এর নাম মোবাইলে save করসিলাম সেদিন লিখসিলাম acmshuvro , এখনো ওই নাম এই save করা আছে |



CSEBUET 05 এর photography এর পথিকৃত হিসাবে যার নাম প্রথম মনে এসে তার নাম অনিক | এখনো মনে পরে 3 /2 এর সময় আমার একটা কালো ফতুয়া পড়া ছবি ও তুলে দিয়েছিল | এখনো ছবি তা দেখি মাঝে মাঝে আর বলি নাহ আমার চেহারা তো খুব বেশি খারাপ না ....Thanks to অনিক | প্রথম যেদিন আমি শিমন কে দেখি সেদিন আমি খুব ভয় পেয়ে যাই . হই হই রই রই করতে করতে ওর চলাফেরা ছিল চোখে পরার মত প্রথমদিকে | ভয় পেতাম ওকে প্রথম term এ | পরে দেখলাম ও এইরকম ই | আলাদা ,একটু বেশি ই আলাদা | কিন্তু মনটা ওর খুব ভালো | আশা করি শিমন যেন তার SHEMAN কে খুব তাড়াতাড়ি পায় |



জেহিন ,পাভেল ,রাজি ,মানস, জয়ন্ত ,আরেফিন ,অভি ,হাসান ,নিশু ,রুবেল,সজীব....এদের friendship কে সবসময় হিংসা করতাম ,এখনো করি | বিশেষ করে যখন সবাই মিলেমিশে সব কাজ করে ওরা | এত josh একটা গ্রুপ ওরা , ওদের আড্ডাবাজি ,দুষ্টামি,একসাথে পড়ালিখার style সবকিসুতেই যেন আনন্দ মিশে আছে | দুয়া করি এই আনন্দ যেন কোনদিন না থামে দোস্তরা |



সাবিদ,প্রতীক, বেলাল এর সাথে সমুদ্র ভ্রমন এর সৃতি ভুলার নয় | শুভ এর সেই special নাম এর কথা এখনও হাসির খোরাক যোগায় | আর Radon যদিও নামে নিষ্ক্রিয় কিন্তু যে কোনো কাজে ও alltime active | হল rag এর সময় করা মজাগুলো ভুলার নয় | gamepagol ঘুমকাতুরে হিমেল এর সকালের সময় ঘুম ঘুম হিমহিম চেহারা দেখার মত | আর corporate ইশতিয়াক এর ইস্মার্টনেস তো সবসময় অনুকরণীয় |



কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে তোমার প্রিয় কবিতাগুলো কোনগুলো ? আমি উত্তর দিব বোহেমিয়ান এর কবিতা গুলো | এইজন্য নয় যে ওর কবিতা খুব ভালো , ইস্কুল আর কলেজ life এ বাধ্য হয়ে কবিতা পড়তাম | বোহেমিয়ান এর কবিতা গুলিই মন দিয়ে পরা হইসে | এখন একজন কবিতা লিখক এর কবিতাই যদি পরা হয় তাহলে পছন্দের লিস্ট টা তো শর্ট হবেই ....যাই হউক বাপ্পি এর লিখার হাত খুব ই ভালো | blogging নিয়ে প্রথম জ্ঞান পাই আমি ওর কাছ থেকে | আমি খুব বেশি লিখালিখি করি নাই, যা লিখসি তা আমি সবসময় বাপ্পি কেই দেখাতাম , বলতাম দোস্ত কেমন হয়েছে একটু বলিস তো ! ওর constructive কমেন্ট গুলো ভালো লাগত | একসাথে বাপ্পি আর আসিফ এর সাথে লেকের পাড়ে আড্ডা দেয়া , campus এ মজা করা এই জিনিসগুলার কথা মনে হলে এখনো আনন্দ পাই |



সানী যদিও নিজেকে অসামাজিক মানব মনে করে কিন্তু আমার মনে হয় ওর মধ্যে সামাজিক মানবী এর গুন একটু বেশি ....হা হা হা ....final year এ এসে আমরা অনেক কাছের বন্ধু হয়ে যাই | রাতে সজীব, আসিফ , সানী এর সাথে মিলে পড়ালিখা করা , পেনাং এ খেতে যাওয়া গভীর রাতে , আড্ডা দেয়া , মজার মজার jokes বলা ....আরো কত কিছু যে আছে এখন মনে পরতেসে না |



সজীব আসিফ প্লাবন অম্লান পরাগ সানী কে কখনই আমি বন্ধু হিসাবে ভাবি নাই . সবসময় ভাবতাম ওরা আমার ভাই | এখনো মনে করি | পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা খুব আপন হয়ে যায় , আমার জীবনে ওরা সেইরকম কিছু মানুষ | অনেকসময় ঝগড়া করতাম আবার মিলেমিশে মজা করতাম | কোনো special কোনো ঘটনার কথা মনে করে সব সময়গুলোকে অবহেলা করতে চাই না, কারণ প্রতি মুহূর্তই ছিল আনন্দের .....



কেন জানি চোখের কোনে জল চলে আসতেসে , আর লিখতে পারতেসি না | প্রথমে ভাবতেসিলাম কি লিখব , এখন দেখি তো অনেক কথাই লিখে ফেললাম. চিন্তা ভাবনা করে লিখি নাই | মনে যা আসছে তাই লিখে দিয়েছি | ভেবেচিন্তে লিখতে গেলে তো কাব্য সাহিত্য হয়ে যেত | এখন মনে হচ্ছে আমি কি সৃতিকথা লিখতে পারলাম নাকি কিছু কথা বলে গেলাম সবাই কে নিয়ে | নাহ এটা আমার কিছু সৃতিকথা, যেগুলো মনে করে এখন আমার চোখের কোনে পানি জমে যাচ্ছে | কাছের মানুষগুলো দের নিয়ে লিখব না তো কাদের নিয়ে লিখব | আর মাত্র ৭ দিন একসাথে এরপর আমরা কে কোথায় চলে যাব জানিনা , হয়ত যোগাযোগ থাকবে কোনো না কোনভাবে কিন্তু এখন যে আনন্দ নিয়ে আমরা অছি ওই দিনগুলো কি আর ফিরে পাব ? অনেকের কথা ভুলে গিয়েছি লিখতে | একটু পর ভোর হবে, আযান দিবে | লিখেই যাচ্ছিলাম কিছু না ভেবেই | অনেক কথায় অনেক কিছু লিখে ফেলতে পারি মনের অজান্তে তবুও কারো কোনো অভিযোগ শুনতে চাই না , আমার মনের দেয়ালে দাগ কাটা কিছু সৃতিকথা আছে এখানে | হয়ত অনেকের সাথে মিলে যেতে পারে কথাগুলো |

কেউ যদি বল আমাকে তুমি কি অর্জন করেছ এই ৫ টা বছর ? আমি বলব কিছু মধুর সৃতি আর অনেক আনন্দের হাসিভরা কিছু প্রিয় মুখ | ওই যে বললাম সৃতিকথা শিশিরকনার মত, যখন থাকে তখন আনন্দ দেয় মন কে কিন্তু একটু পরেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় | কারণ সবুজ ঘাসের বুকে শিশিরকণা আবার জমবে , আবার সাতরঙ্গা আলো কে পুজি করে ঝিকিমিকি ঝিকিমিকি করবে আর আমাদের মুখে হাসির আভা এনে দিবে ....
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×