ঢাকা, অক্টোবর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সারের মূল্য হ্রাসের সুবিধা কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে দু'একদিনের মধ্যেই সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
গত বৃহস্পতিবার সরকার মিউরেট অব পটাস (এমওপি) এবং ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে বর্তমান সরকারের সময় সারের দাম তিনবার কমানো হল।
নতুন মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি এমওপি সার ২৫ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা এবং ডিএপি সার ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৭ টাকায় বিক্রি হবে। নতুন মূল্য নির্ধারণের ফলে সরকারকে কৃষি খাতে আরো ৫২০ কোটি টাকা বেশি ভর্তুকি দিতে হবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, "আমাদের কৃষিতে ইউরিয়ার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এর ব্যবহার কমিয়ে জমিতে সুষম সারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার এমওপি ও ডিএপি সারের দাম কমিয়েছে। এতে কৃষকদের মধ্যে সুষম সারের ব্যবহার বাড়বে।"
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় সারের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়।
তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার তিনবার ক্ষমতায় থেকেও কখনো সারের দাম কমাতে পারেনি। বরং কৃষকদের লাঞ্ছনার জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই করেছে। বিএনপি'র সরকার বিশ্বাস করতো খাদ্য ঘাটতি থাকলেই সাহায্য পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী বলেন, "আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু কৃষিজমি কমছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে জমির যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। এ প্রবণতা কমাতে হবে। জলাবদ্ধ জায়গাগুলো উদ্ধার করতে পারলে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। বিল ডাকাতিয়া ও ভবদহসহ মেহেরপুর ও নেত্রকোনায় অনেক জলাভূমি সংস্কার করে খাদ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমকে/এমইউএস/ডিডি/১৮৪৪ ঘ.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




