somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৈষম্যের অপর নাম এমপিও শিক্ষক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমপিও শিক্ষক শব্দটা একই সাথে কলঙ্ক এবং বৈষম্যের অপর নাম। রাষ্ট্রীয় শোষণের পাশাপাশি কমিটি নামক রাক্ষস শিক্ষকদের ঘাড়ে বসিয়ে শিক্ষকদের রক্ত শোষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সর্ববৃহৎ শিক্ষক জনগোষ্ঠী যারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাকে এগিয়ে নিযে যাচ্ছে। তাদেরকে দিনের পর দিন এমপিও নামক শব্দের মাধ্যমে ছাপিয়ে দিয়েছে অভাব, বঞ্চনা। কেড়ে নিয়েছে এমপিও শিক্ষকদের উৎসব করার অধিকার, মানসম্মত বাসস্থানের অধিকার, চিকিৎসার অধিকার। বেতনের পরিবর্তন অনুদান নামক শব্দের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছে সামাজিক মর্যাদা। একজন সচিব শুধু বাবুর্চি ও নিরাপত্তা প্রহরী বাবদ ৩২,০০০ টাকা ভাতা পান (একজন বাবুর্চি ১৬, ০০০ + একজন নিরাপত্তা প্রহরী ১৬,০০০)। অথচ, এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুলের/মাদ্রাসা একজন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১২,৫০০ টাকা (বি.এড ডিগ্রি না থাকলে)। উৎসব ভাতা পায় ২৫পার্সেন্ট =৩১২৫/- টাকা। এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকের চেয়ে সচিবের সার্ভেন্টের মর্যাদা বেশি? একজন সচিব মাসিক টেলিফোন বিল বাবদ মাসিক ২৮০০ টাকা নগদায়ন ছাড়াও মোবাইল বা সেলফোন বিল বাবদ ১,৫০০ টাকা প্রাপ্ত হন। আর সেখানে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার একজন শিক্ষক মাসিক বাসা ভাড়া বাবদ মাত্র ১ হাজার টাকা প্রাপ্ত হন। এই রাষ্ট্রের শিক্ষক নয়, সার্ভেন্ট দরকার, দরকার ভালো মানের বাবুচি যাতে কর্তা ব্যক্তিরা সুস্বাদু খাবার খেতে পারে। তাই শিক্ষকতার পেশার চেয়ে এদেশে তৃতীয় শ্রেণীর চাকুরি সামাজিকভাবে অধিক জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় অনুদান এবং কলেজকর্তৃক আয় থেকে যেখানে শিক্ষকরা তুলনামূলক ভালো থাকার কথা সেখানে কলেজের আয় কমিটি নামক রাক্ষসরা খেয়ে বসে থাকে, বঞ্চিত করে শিক্ষকদের। এসব দেখার কথা যেসকল কর্তা ব্যক্তিদের তারাও দিনশেষে হাত মেলায় কমিটির সাথে। সরকারের উচিত কলেজের আয়ে সরাসরি ভাগ বসানো এবং সেই আয় থেকেই শিক্ষকদের অন্যান্য ভাতার ব্যবস্থা করা।
বৈষম্য নিপাত যাক, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×