somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টার্মকার্ড- তারুণ্যের ভোট

১০ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগামী নির্বাচনের সবচেয়ে বড় টার্মকার্ড হচ্ছে তারুণ্যের ভোট।
১৯৯১ সালের পর জন্মগ্রহণকারী কেউই গত ৪ টা সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ভোট ব্যাংক ছিল তরুণরা।
শুধু তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী স্লোগানও ছিল, "ডিজিটাল বাংলাদেশ"।
বিএনপি তখন তরুণদের আকৃষ্ট করতে কোন মডেলই দাঁড় করাতে পারেনি।
ফলাফল নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি ঘটে। আসন প্রায় মাত্র ৩০ টি। আওয়ামী লীগ প্রায় ২৩০ টি আসন।
বিশাল জয়ের পর আওয়ামী লীগ তরুনদের কে ডিজিটাল প্লার্টফর্মে যুক্ত করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয় যেমন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প, হাই-টেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করে স্টার্টআপ ও আইটি উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাথমিক তহবিল, মেন্টরশিপ, এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান, স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম,জাতীয় যুব নীতি" বাস্তবায়ন করে তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশে উৎসাহিত করা। কিন্তু তরুণরা ছিল রাজনৈতিক ভাবে সচেতন।
তাই কোন উদ্যোগই কাজে আসেনি। বরং বিডিআর হত্যাকান্ড, রাজাকারদের প্রহসন মূলক বিচার, ভারতীয় আধিপত্য, গুম, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, বিচার ব্যবস্থার দলীকরণ, সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি তরুণদের মন বিষিয়ে তুলেছিল।
আওয়ামী লীগ বুঝতে পারে তাদের দিক থেকে তরুণরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার সাহসই করেনি। ফলাফল আমরা রাতের ভোট দেখতে পাই, ডামি নির্বাচন দেখতে পাই।
অথচ আওয়ামী লীগের সমাবেশগুলো তে তরুন, তরুণী, যুবক, যুবতীর উপচে পড়া ভীড় দেখা যেত।
বিএনপি ভাবছে, তরুণরা বিএনপি পক্ষে আছে? অথচ বিএনপির মনে রাখা উচিত এই তরুণরাও এখন পর্যন্ত কাউকেই ভোট দেয়নি।
বরং ৫ আগষ্টের পর বিএনপির আচরণ দেখে এখন অনেক তরুণ তরুণীই বিএনপি থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ত হাই কমান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল, কিন্তু বিএনপির তৃণমূল এতটাই বিশৃঙ্খল যে, ৫ ই আগষ্টের পর প্রায় ২ হাজার বহিষ্কারাদেশ করা পরও তৃণমূলের চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দলাদলি, হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।
বিএনপিও তরুণদের আকৃষ্ট করতে, বিভাগীয় শহর গুলোতে "তারুণ্যের সমাবেশ" করছে। কিন্তু আদৌ কি তরুণদের আকৃষ্ট করতে পারে এমন কোন ম্যান্ডেট দিতে পেরেছে?
১ কোটি কর্মসংস্থান নামক একটা প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে।
কিন্তু কিভাবে এটা করা হবে, তার কোন রোড়ম্যাপ নেই।
অনেকে ত মজা করছে, আওযামী লীগ যেভাবে টিউশনকে চাকুরি হিসেবে দেখিয়ে পরিসংখ্যানে বেকার সংখ্যা কমিয়েছিল, চাঁদাবাজি কে কর্মসংস্থা হিসেবে দেখালে হয়ত বিএনপির ১ কোটি কর্মসংস্থানের প্রকল্প বাস্তব হলেও হতে পারে।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যাযের দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্য, বিএনপিতে নিরপরাধ আওয়ামী, ছাত্রলীগেকে আত্তীকরণের কথা এসেছে। যা সরাসরি জুলাই আনন্দের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
জুলাই তে অনেকগুলো স্লোগান মধ্যে একটা জনপ্রিয় স্লোগান ছিল "দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা "। কিন্তু বিএনপি ইতোমধ্যে ভারতীয় এজেন্টা বাস্তবায়নে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
আওয়ামী লীগ যেমন বুঝতে পেরেছিল, তরুণরা তাদের সাথে নেই, আমার ধারণা বিএনপিও বুঝতে পারছে, যত দিন গড়াবে বিএনপির জনপ্রিয়তা তত কমতে থাকবে, তাই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে।
নির্বাচন নিয়ে যতগুলো ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়, সেগুলো আসলে সত্য নয়, মূল বিষয়, বিএনপির তৃণমূল বিএনপি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না। এটাই বিএনপিকে সবচে বেশি ভাবাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বিএনপির এর দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চায়, তৃণমূল শক্তিশালী ও স্বচ্ছ না হওয়ায় ইতোমধ্যে বহু ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিএনপিতে প্রতিস্থাপিত হয়ে গেছে। তাই তারাও বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে চায়, আওয়ামী লীগের পুর্নবাসনের স্বার্থে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি বিপ্লবী দল নই, ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। এই যে সূক্ষ্ম ভাবে বিপ্লব কে অস্বীকার করা। এগুলোর মাধ্যমে আদৌ কি তরুণদের ভোট ব্যাংক নিজেদের করা যাবে?
তরুণরা জানে আওয়ামী লীগের পুর্নবাসন মানেই তাদের অস্তিত্বের হুমকি।
এই Gen-Z তরুণরা কি আদৌ বিএনপি কে ভোট দিবে কিংবা বিএনপির এমন কোন আচরণ তাদেরকে বিএনপি তে ভোট দিতে অনুপাণিত করবে?
বিএনপির উচিত তৃণমূল কে শক্তিশালী করা। দলে স্বচ্ছতা তৈরি করা। তৃণমূলে নেতৃত্ব তৈরি করা। যাতে কর্মীরা অনুপ্রেরণা পায়।
মানুষের আস্থা অর্জন করাই এবং তরুণদের মনে এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে আমরা আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করবো না।
আবারও মনে করিযে দিই, এই তরুণ প্রজন্ম এখনও কাউকে ভোট দেয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঈদের ছুটিতে ছবি ব্লগ

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৫

--------------












------------










আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুন্দর ও সফলভাবে ঈদ উৎসব পালন করেছেন।


দশদিনের টানা বন্ধে গ্রামের বাড়িতে ভালো সময় কেটেছে। কিছু ছবি শেয়ার করলাম।












মেঠোপথ।



শেষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০ টাকার নোট খাইলো ১ টাকার......

লিখেছেন জটিল ভাই, ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

বি. দ্র. পোস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধুনিক সভ্যতা নাকি প্রাগৈতিহাসিক বর্বরতা?

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬


একসময় মানুষ ভাবত, বিজ্ঞানের অগ্রগতি, শিল্প-সাহিত্য, নৃত্য-সঙ্গীত, দর্শন আর মানবিকতা—এসবই হবে আধুনিক পৃথিবীর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। এই প্রতিযোগিতা হবে কল্যাণের, সৃষ্টির, ভালোবাসার।
কিন্তু বাস্তবতা বড় নির্মম!

আজকের দিনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে—কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তেনারা ডাকাতী করেছেন; স্বীকার করেন না!

লিখেছেন দেশ প্রেমিক বাঙালী, ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১২


সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সংগে জড়িত এবং সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য যিনি চট্টগ্রাম-১২ এবং চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ২০১৯-২০২৪ সময়কালে চতুর্থ হাসিনা মন্ত্রণালয়ে ভূমিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন: সমঝোতা নাকি শুভঙ্করের ফাঁকি?

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:১১



"তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের গুঞ্জন—সমঝোতার আলো, না কি নতুন প্রতারণার জাল? জানুন বাংলাদেশের রাজনীতির অজানা দিক, বিভক্তির বাস্তবতা ও নির্বাচন ঘিরে নতুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×