সামনে ম্যাংগ্রোভ বন ঘেরা বিস্তীর্ণ তৃনভূমি।
শ্বাপদের ভয়কে সাথে নিয়ে এগিয়ে চলেছে জনা-সাতেক যুবা।
হরিণ শাবকগুলোও মুগ্ধ হয়ে থমকে থাকায় তাদের দিকে!
সমুদ্র দেখবে বলে এসেছে তারা!
এই চোখের লিপ্সাটুকু মেটানোর জন্য এত শ্রম।
গত রাতের পথের ক্লান্তি, যৌবনের কাছে হার মেনেছে।
দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় তৃণভু্মি, সামনে যে বনটুকু
বেহায়ার মত পড়ে আছে তা পেরুলেই সমুদ্র......জানে, সব ক’জন!
অপেক্ষাটুকু বাড়তি গতি যোগান দেয় তাদের পথ চলায়।
নিমেষেই উধাও হয় বনটা, সামনে,....!....!!
সমুদ্র ছোঁবে বলে সবাই বাতাস হয়ে ছোটে ।
তারুন্যের ঢেউ ঝাঁপিয়ে পড়ে ছন্দায়িত সমুদ্রের জলে।
এই সুনসান সৈকত টাকে ওরা কি বিরাম দিবে না ?
তারপর........
তারপর একটা দুঃস্বপ্নের শুরু।
কিছু ঝাঁপটা চোখ,
কিছু অসহায় বন্ধু,
কিছু অকারণ চেষ্টা, কিছু.....
সবকিছু এলোমেলো মনে হয়,
মনে হয়, সবকিছু.....
লঞ্চটি খুলনা কটকা ফরেস্ট ঘাট থেকে। একদিন আগেও লঞ্চের সবাই ইঞ্জিনের সাথে পাল্লা দিয়ে গান গেয়ে গলা ফাটাচ্ছিলো।এখন ডুকরে ওঠা ছাড়া নড়ছে না কেউ!
পাশে নিথর দুইজন.....
আরো নয় জনকে ফেলে এসেছে ওরা পেছনে.....
ওরা ১১ জন। ওরা আমাদের স্বজন। ওরা ছিল উদ্যম। আজ আমরা ওদের হারিয়েছি কালের অতল গহব্বরে। ওরা আজ স্মৃতি।
অপু
বাকী
কুশল
রুপা
নিপুন
শুভ
কাউসার
শাকিল
সামিউল
তোহা
রাসেল
এরা আর কেউ না, এরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালের ( ৯ জন) ও বুয়েটের (২ জন) উদীয়মান Architect - যাদের শলিল সমাধি হয়েছিল কটকা সমুদ্র সৈকতে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কটকা Monument
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






