বিএনপি চেয়ার পারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়ার উপর আবারো হামলা করেছে
সরকার সমর্থকরা । মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার
দিকে এঘটনা ঘটে । গাড়ি বহরে থাকা বিএনপি
নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ
করে ফকিরাপুল থেকে নয়া পল্টনের দিকে যাওয়ার
পথে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালায়। এসময় বিভিন্ন
দিক থেকে গাড়িবহরে ইটপাটকেল ছোড়া হলে চালকরা
দ্রুত গাড়ী চালিয়ে এলাকা ত্যাগ করায় কোন
হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।
আমার কথা :
না লিখে পারলাম না । পরপর দুবারই বিএনপিদের গাড়ি বহরে হামলা করল আলীগ । গণতন্ত্র কোথায় ? বিরোধীদের রাজনীতি নিয়ে আলীগের বহু বাকবিতন্ডতা দেখেছে ১৬ কোটি জনগণ । আবার এও দেখেছে রাতের আধারে বাসে পেট্রোল বোমা কে ছুড়েছে । হরতালে দিনে বিএনপি আর রাতে পাশাপাশি আলীগ সমর্থিত ছাত্রলীগদের বাসে ককটেল ছোড়ার ঘটনা এখন একদম স্বাভাবিক হয়ে গেছে । যা হোক , আলীগ নেতাদের সকলেই খালেদাকে মাঠে নামার জন্য অনেক টকতিঁতো কথা বলেছিলেন । কিন্তু যখন খালেদা মাঠে নামলেন তখন কি দেখল জনগণ ? পরপর দুবারই আলীগ সমর্থিতরা খালেদার গাড়ি বহরে হামলা করল । এমনকি তাকে মেরে ফেলার জন্য তারই গাড়ি ভাঙ্গল , ইটপাটকেল ছুড়ল আর পুলিশ উম্মক্ত্ব আলীগদের থামাতে গিয়ে বিড়াল হয়ে গেলো । কেননা তারাতো সরকারের লোক । হরতালের জের ধরে শেখ হাসিনার সরকার বহু কথা বলেছেন । আসলে আলীগ অতীত ভুলেও যায় আবার অতীতকে টেনেও আনে । বাস্তবে কি তাঁরা ধোয়া তুলসি পাতা ? মোটেও নয় , অতীতকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করাটাই ভালো । ক্ষমতার লোভ সকলেরই আছে , তাইবলে এতোখানি নয় । গণতন্ত্রের কথা আপানার মুখ থেকেই বেশি শুনি । তবে কাজে দেখি তাঁর উল্টোটা । গণতন্ত্রের চর্চা কি এদেশে আছে ? আর থাকলেও তাঁর কি সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে ? বাস্তবিক দিক বিবেচনায় দেখলে সরকার আসলে সুপ্ত সৈরাচারী ভূমিকাই পালন করছেন । যদিও সরকারের জন্য জনগণের মধ্যে এতোখানি অসুবিধার কারণ দেখা যায় নি । তাই এ সরকার কখনওই সৈরাচারী হতে পারে না । তাই এ সরকারের আলাদা নাম তৈরী করতে হবে । কেননা লৌহমানবী হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর মতো ক্ষমতা কারোরই নেই । আর এ কথা তার দলই বারবার বলে আসছে । তিনি যে ভাবেই হোক ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ । যুদ্ধাপরাধীদের দোহাই দিয়ে তাঁদের শাস্তির কথা বলে ক্ষমতাকে তিনি না আষ্টেপিষ্টে রাখতে চান । রাজকারা কি জামাতিরাই ? দেশে আর কোন রাজকার নেই ? কোথায় গেলো আর সব ?
বিরোধীরা আট দশটা গাড়িতে আগুন দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে । জনগণ স্বচোখেই দেখেছে গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে কে সাধারণ মানুষ মেরেছে । বিএনপি ক্ষান্ত হবেই বা না কেন ? তাঁদের দলের প্রত্যেক প্রভাবশালী নেতাদেরকে বিভিন্ন মামলা দেখিয়ে পুলিশ দিয়ে জেলে পুড়ে দিয়েছে আলীগ । এমনকি বহু নেতাদের পুলিশ পরিচয়ে গুম করাও হয়েছে । এইতো কদিন আগেরকার কথা , বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন সরকারের বিষয়ে অনেক মন্তব্য করেছিলেন । যার ফল হিসেবে তিনি বর্তমানে নিখোঁজ আছেন । আদৌ বেঁচে আছেন কিনা সন্দেহ ।
যা হোক রাজনীতি মানেই সংঘর্ষ থাকবেই । রাজনীতিতে সংঘর্ষ না থাকলে সেটি কখনও রাজনীতি হতে পারে না । গণতন্ত্র একথা মানতে বাধ্য । জনগণের ইচ্ছার উপর কখনও রাজনীতি চলে না । যদি চলতো তবে ভোট দিয়েই সরকায় নির্বাচীত হতো । জনগণের ভোট না পেয়েও সরকারে আছেন হাসিনা । এ ক্ষেত্রে বোঝা গেলো দলের ইচ্ছাই প্রকৃত রাজনৈতিক শক্তি । জনগণ হলেন দর্শক মাত্র ।
জনগণ বিশ্বাস করে ,
"ভালো ভালো কাজ যার ,
বেশি বেশি ভোটও তাঁর" ।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সিটিতেই বিএনপি সমর্থিতরা নির্বাচিত হয়েছে । যাই হোক সেটা বাদই দিলাম । জনগণ বিএনপিকে সাপোর্ট বেশী কি কম করে তাঁর প্রমাণ হবে দেশের দুটি রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনেই । আর এরই উপর নির্ভর করবে জনগণ আস্থা কার উপর বেশি । যদি বিএনপি হয় তবে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নতুনভাবে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন দিতে হবে । আর যদি এর বিপরীত হয় তবে বুঝতে হবে সরকার ভুল পথেই এগুচ্ছে । যদি আলীগ সমর্থিতরা জয়ী হয় তবে বিএনপিকে অবিলম্বে হরতাল অবরোধ বন্ধ করে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে । আর এর উল্টোটা ? হাস্যকর হলেও কখনওই সম্ভব নয় । কারণ সরকার এমনিতেই বিএনপিকে সভা সমাবেশ করতে দেয় না , তাঁর উপর আবার বিএনপির হারকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে কথারমালা তৈরি করবে জাসদের ইনু । ইনুর কথা বলতেই এসে যায় তাঁর অতীত কর্মকান্ডের কথা । অতীতের পেপার পত্রীকাগুলো একটু ঘাটলেই অতীতে জাসদের নৃসংশ ঘটনাগুলো চোখে পড়বে সবার । জাসদের ইনু ছিলো একজন কুখ্যাত রাজাকার । যাকে বঙ্গবন্ধু নাকি সাধারণ ক্ষমা করে নিজ দলে সংযুক্ত করেছেন । করবেই না বা কেন এই জাসদ যুদ্ধের পর যে রকম অরাজকতা করেছিলো তা দেশের মানুষের কাছে কখনওই ভোলার নয় । তাঁদের অত্যাচারে প্রতিনিয়তই অতিষ্ট ছিলো জনগণ । যাই হোক কথায় কথা বাড়ে । তাই বেশি দূর এগুচ্ছি না । সরকারকে বলবো একটু থামেন । দেখুন না নির্বাচনে কি হয় । জনগণইতো এ দেশের মূল চালিকা শক্তি , নয় কি ?