somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকতাকারীরা সমাজে গুলি বিদ্ধ্য যোদ্ধ্যাদের মতো অসহায়

২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোমরা যদি সমাজের কোন উপকারেই না আসো তবে তোমাদের দিয়ে লাভ কি ?
তোমরা এমন কিছু করছ যার বলি তোমরা নিজেরাই হচ্ছো । মেনে নেয়া অসম্ভব যে তোমরা শুধূমাত্র ধর্ম হ্যাঁ , শুধুমাত্র ধর্মকেই ব্যাখ্যা করতে জানো । না , ব্যাখ্যা বললে ভুল হবে , তোমরা অপব্যাখ্যাটাই বেশি করো । বিশেষ করে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে । যার ফলে প্রতিনিয়তই তোমরা জন্ম দিচ্ছ কিছু মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীকে । তোমরা সমাজের মানুষের কাছে এখন ঘৃণার পাত্র ।
তোমরা ভুলে যাও যে তোমার বাবা মা ধর্মকেই বিশ্বাস করে এবং তাঁরা ঈশ্বরকে আগলে রাখে মনের মণিকোঠায় । তোমরা ভুলে যাও যে তোমরাও সেই ধর্ম বিশ্বাসীদেরই সন্তান । অথচ আজ তোমরা সেই ঈশ্বরেরই অপব্যাখ্যা করে যাচ্ছো । যে বাবা মা তোমাদের সেই ছোট্ট থেকেই ধর্মে বিশ্বাসী করে তুলেছিলো আজ কিছু অপমস্তিষ্কের শিকার হয়ে সেই বিশ্বাসকে ধ্বংস করে দিয়েছো । তোমাদের বাঁধা দেয়া হয় , কিন্তু তোমরা এতোটাই নাস্তীকতায় মিশে গেছো যে তোমাদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তাঁরাই জঙ্গী গোষ্ঠী , তাঁরাই ধর্ম ব্যবসায়ী ।
মানলাম তোমরা বিঞ্জানে বিশ্বাসী তাই এসব করে বেড়াও । তাই বলে এতোটা নীচতা কেন ? যেকোন বিষয়েরই একটা লিমিট থাকে । এই লিমিট অতিক্রম করাটা কারোর পক্ষেই কাম্য নয় ।
এটা ভাবো না এই নাস্তীক বিঞ্জানের আশীর্বাদেই পৃথিবী আজ ধ্বংসের পথে । পৃথিবীর মানুষ আজ অসহায় এই বিঞ্জানের কারণেই । বিঞ্জান নিত্যনতুন দূর্যোগকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে তাঁদের প্রযুক্তির উত্‍কর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে । পৃথিবীর উষ্ণ্নতা বৃদ্বী পেয়েছে একমাত্র বৈঞ্জানীক আশীর্বাদেই । এতে অনেকেই সাধারণ জনগণের অসচেতনতাকেই দায় দিয়ে আসছেন । অথচ এটা ভাবেন না যে এই অসচেতনতাটি এসেছে বিঞ্জানের কাছ থেকেই । জানিনা বিঞ্জান মানুষের আশীর্বাদের জন্য নাকি ধ্বংসের জন্য । পারমানবিক বোমা তৈরী করার আগে আইস্টাইন ভাবে নি যে তিনি কি তৈরী করেছেন ? এটি মানুষের জন্য আদৌ আশীর্বাদ নাকি ধ্বংসাত্বকবাদ । তাঁরাই শিখিয়েছে নিউক্লীয়ারের ব্যাবহার । তাঁরাই তৈরী করেছে গাছ কেঁটে কিভাবে সৌখীনতা বৃদ্ধী করা যায় । তাঁরা বন কেটে সেখানে তৈরী করেছে নিউক্লীয়ার প্ল্যান্ট । যার ফলস্রুতীতে আজ পৃথিবীর এ বেহাল অবস্থা । এসব বলেই বা কি লাভ ? পৃথিবীর মানুষ সেটাই চায় যা তাঁর বিলাশীতার অংশ হবে , যা তাঁর দূরকে কাছে এনে দেবে । আর এই বিঞ্জানই মানুষকে ধ্বংস করে দেবে যা দেখার আর বেশী দিন নেই । ভালো কাজের জন্য কৃত্রিম মস্তীষ্ক তৈরী করছে বিঞ্জান , কিন্তু বিঞ্জানী স্টিফেন হকিন্স বলছেন এই মস্তীষ্কই মানুষের কাল হবে । হ্যাঁ হবেই , আর সেটা এই বিঞ্জান অভিশাপের কারণেই ।
তোমরা যেমন বিঞ্জানের বিরোধীতাকারীদের ঘৃণা করো , মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠী বলো তারাও ঠিক তোমাদেরই মতো নাস্তীকতাকে ঘৃণা করে । তোমরা ধর্মকে , ধর্মীয় গ্রন্হকে , ধর্মের কাজে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গদের পাগল বলো , তাঁদেরকে ব্যাকডেটেড সৃষ্টী বলো , তাঁদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলো । আর এভাবেই তোমরা সন্ত্রাসদের জন্ম দিচ্ছ । তাঁদেরকে আরো জাগিয়ে তুলতে তোমরাই সাহায্য করছ । এর আগে মানে এক যুগ আগে কখনও শুনি নি যে বাংলাদেশে ধর্মকে অপব্যাখ্যা করার জন্য সন্ত্রাসীরা কাউকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে । কিন্তু ইদানিং তোমরা যা শুরু করেছো তাতে বলতেই হয় যে তোমরা নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছো । ধর্মীয় বিশ্বাসবোধে বলা হয়ে থাকে যারা ধর্মকে অপমান করবে তাঁরা শয়তানের বন্ধু । আর শয়তানকে সমাজে না রাখাটাই শ্রেয় । কেননা তারা দুর্গন্ধময় । তাঁরা কোন বিপদে পড়লে তাঁদেরকে সাহায্য করার জন্য কেউই এগিয়ে আসে না । কেন ? এটা কি কখনও ভেবেছো তোমরা ?
কারণ একটাই , তোমরা তাঁদের ধর্ম বিশ্বাসবোধকে কুঠাড়াগাত করেছো । আর তাই সকলেই চায় তোমাদের শাস্তি হোক । মনে রাখবে এ দেশের ৯০ ভাগ লোকই কিন্তু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী । আর এ সিংহভাগ লোকের বিশ্বাসকে নিয়ে খেলা করার কোন অধিকার তোমাদের নেই । একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে আমি সবসময়ই তোমাদের ঘৃণা করি তোমাদের কৃতকর্মের জন্য । তাই বলে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করাটাকে আমি মোটেই মেনে নিতে পারি না । তোমাদের জন্য কোন নির্দীষ্ট সাংবিধানিক ধারা নেই । কেননা বাংলাদেশ গণতান্ত্রীক দেশ । আর গণতান্ত্রীক দেশের ধারা হলো মুক্তমত প্রকাশের অধিকার সকলেরই থাকবে । তাই বলে এমনটিতো মানা সম্ভব হচ্ছে না যে তোমাদের মতো মুক্তচিন্তাবাদীদের জঙ্গী গোষ্ঠী হত্যা করে বেড়াবে । আর সরকার তাদের কিছুই করতে পারবে না । কেননা আজ অবধি নাস্তিক হত্যাকারীদের নির্দিষ্ট করে ধরতে সক্ষম হয় নি এদেশের প্রশাসন । এটা অবশ্যই সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থতা । সরকারকে বলে কি লাভ ? সরকারতো শুধু তাঁদের স্বর্থ টুকুই বোঝে । তাঁরা ব্যস্ত শুধু জামাত শিবির আর বিএনপিকে নিয়েই । দেশে প্রতিনিয়তই হত্যাকান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধী পাচ্ছে কিন্তু হত্যাকারীকে ধরতে প্রতিনিয়তই ব্যর্থ হচ্ছে এদেশের প্রশাসন । এ দেশ কখনওই মুক্ত মতামত প্রকাশের দেশ নয় । কেননা এ দেশে মুক্ত মত প্রকাশ করা হলে সরকারতো কিছুই করতে পারবে না । কিন্তু মৌলবাদীরা জঙ্গী গোষ্ঠীরা ঠিকই এর বিচার করবে । কেননা আজকাল তাঁদের এটি মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়ে গেছে ।
তাই বলি এই নাস্তিকতাকে বাদ দিয়ে দেশের জন্য ভাবো , দেশের সাধারণ মানুষদের নিয়ে ভাবো , দেশকে কিভাবে বেকারত্ব , দারিদ্র এবং অবশ্যই সন্ত্রাসীদের কিভাবে মুক্ত করা যায় তা নিয়েই ভাবো । ধর্মকে অপব্যাখ্যা করা বন্ধ করো । আর সহ্য হচ্ছে না । মুক্ত চিন্তা করতে গিয়ে ধর্মকে অপমান করছো ।
এটা কি ঠিক হচ্ছে ?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×