তোমরা যদি সমাজের কোন উপকারেই না আসো তবে তোমাদের দিয়ে লাভ কি ?
তোমরা এমন কিছু করছ যার বলি তোমরা নিজেরাই হচ্ছো । মেনে নেয়া অসম্ভব যে তোমরা শুধূমাত্র ধর্ম হ্যাঁ , শুধুমাত্র ধর্মকেই ব্যাখ্যা করতে জানো । না , ব্যাখ্যা বললে ভুল হবে , তোমরা অপব্যাখ্যাটাই বেশি করো । বিশেষ করে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে । যার ফলে প্রতিনিয়তই তোমরা জন্ম দিচ্ছ কিছু মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীকে । তোমরা সমাজের মানুষের কাছে এখন ঘৃণার পাত্র ।
তোমরা ভুলে যাও যে তোমার বাবা মা ধর্মকেই বিশ্বাস করে এবং তাঁরা ঈশ্বরকে আগলে রাখে মনের মণিকোঠায় । তোমরা ভুলে যাও যে তোমরাও সেই ধর্ম বিশ্বাসীদেরই সন্তান । অথচ আজ তোমরা সেই ঈশ্বরেরই অপব্যাখ্যা করে যাচ্ছো । যে বাবা মা তোমাদের সেই ছোট্ট থেকেই ধর্মে বিশ্বাসী করে তুলেছিলো আজ কিছু অপমস্তিষ্কের শিকার হয়ে সেই বিশ্বাসকে ধ্বংস করে দিয়েছো । তোমাদের বাঁধা দেয়া হয় , কিন্তু তোমরা এতোটাই নাস্তীকতায় মিশে গেছো যে তোমাদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তাঁরাই জঙ্গী গোষ্ঠী , তাঁরাই ধর্ম ব্যবসায়ী ।
মানলাম তোমরা বিঞ্জানে বিশ্বাসী তাই এসব করে বেড়াও । তাই বলে এতোটা নীচতা কেন ? যেকোন বিষয়েরই একটা লিমিট থাকে । এই লিমিট অতিক্রম করাটা কারোর পক্ষেই কাম্য নয় ।
এটা ভাবো না এই নাস্তীক বিঞ্জানের আশীর্বাদেই পৃথিবী আজ ধ্বংসের পথে । পৃথিবীর মানুষ আজ অসহায় এই বিঞ্জানের কারণেই । বিঞ্জান নিত্যনতুন দূর্যোগকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে তাঁদের প্রযুক্তির উত্কর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে । পৃথিবীর উষ্ণ্নতা বৃদ্বী পেয়েছে একমাত্র বৈঞ্জানীক আশীর্বাদেই । এতে অনেকেই সাধারণ জনগণের অসচেতনতাকেই দায় দিয়ে আসছেন । অথচ এটা ভাবেন না যে এই অসচেতনতাটি এসেছে বিঞ্জানের কাছ থেকেই । জানিনা বিঞ্জান মানুষের আশীর্বাদের জন্য নাকি ধ্বংসের জন্য । পারমানবিক বোমা তৈরী করার আগে আইস্টাইন ভাবে নি যে তিনি কি তৈরী করেছেন ? এটি মানুষের জন্য আদৌ আশীর্বাদ নাকি ধ্বংসাত্বকবাদ । তাঁরাই শিখিয়েছে নিউক্লীয়ারের ব্যাবহার । তাঁরাই তৈরী করেছে গাছ কেঁটে কিভাবে সৌখীনতা বৃদ্ধী করা যায় । তাঁরা বন কেটে সেখানে তৈরী করেছে নিউক্লীয়ার প্ল্যান্ট । যার ফলস্রুতীতে আজ পৃথিবীর এ বেহাল অবস্থা । এসব বলেই বা কি লাভ ? পৃথিবীর মানুষ সেটাই চায় যা তাঁর বিলাশীতার অংশ হবে , যা তাঁর দূরকে কাছে এনে দেবে । আর এই বিঞ্জানই মানুষকে ধ্বংস করে দেবে যা দেখার আর বেশী দিন নেই । ভালো কাজের জন্য কৃত্রিম মস্তীষ্ক তৈরী করছে বিঞ্জান , কিন্তু বিঞ্জানী স্টিফেন হকিন্স বলছেন এই মস্তীষ্কই মানুষের কাল হবে । হ্যাঁ হবেই , আর সেটা এই বিঞ্জান অভিশাপের কারণেই ।
তোমরা যেমন বিঞ্জানের বিরোধীতাকারীদের ঘৃণা করো , মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠী বলো তারাও ঠিক তোমাদেরই মতো নাস্তীকতাকে ঘৃণা করে । তোমরা ধর্মকে , ধর্মীয় গ্রন্হকে , ধর্মের কাজে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গদের পাগল বলো , তাঁদেরকে ব্যাকডেটেড সৃষ্টী বলো , তাঁদেরকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলো । আর এভাবেই তোমরা সন্ত্রাসদের জন্ম দিচ্ছ । তাঁদেরকে আরো জাগিয়ে তুলতে তোমরাই সাহায্য করছ । এর আগে মানে এক যুগ আগে কখনও শুনি নি যে বাংলাদেশে ধর্মকে অপব্যাখ্যা করার জন্য সন্ত্রাসীরা কাউকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে । কিন্তু ইদানিং তোমরা যা শুরু করেছো তাতে বলতেই হয় যে তোমরা নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছো । ধর্মীয় বিশ্বাসবোধে বলা হয়ে থাকে যারা ধর্মকে অপমান করবে তাঁরা শয়তানের বন্ধু । আর শয়তানকে সমাজে না রাখাটাই শ্রেয় । কেননা তারা দুর্গন্ধময় । তাঁরা কোন বিপদে পড়লে তাঁদেরকে সাহায্য করার জন্য কেউই এগিয়ে আসে না । কেন ? এটা কি কখনও ভেবেছো তোমরা ?
কারণ একটাই , তোমরা তাঁদের ধর্ম বিশ্বাসবোধকে কুঠাড়াগাত করেছো । আর তাই সকলেই চায় তোমাদের শাস্তি হোক । মনে রাখবে এ দেশের ৯০ ভাগ লোকই কিন্তু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী । আর এ সিংহভাগ লোকের বিশ্বাসকে নিয়ে খেলা করার কোন অধিকার তোমাদের নেই । একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে আমি সবসময়ই তোমাদের ঘৃণা করি তোমাদের কৃতকর্মের জন্য । তাই বলে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করাটাকে আমি মোটেই মেনে নিতে পারি না । তোমাদের জন্য কোন নির্দীষ্ট সাংবিধানিক ধারা নেই । কেননা বাংলাদেশ গণতান্ত্রীক দেশ । আর গণতান্ত্রীক দেশের ধারা হলো মুক্তমত প্রকাশের অধিকার সকলেরই থাকবে । তাই বলে এমনটিতো মানা সম্ভব হচ্ছে না যে তোমাদের মতো মুক্তচিন্তাবাদীদের জঙ্গী গোষ্ঠী হত্যা করে বেড়াবে । আর সরকার তাদের কিছুই করতে পারবে না । কেননা আজ অবধি নাস্তিক হত্যাকারীদের নির্দিষ্ট করে ধরতে সক্ষম হয় নি এদেশের প্রশাসন । এটা অবশ্যই সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থতা । সরকারকে বলে কি লাভ ? সরকারতো শুধু তাঁদের স্বর্থ টুকুই বোঝে । তাঁরা ব্যস্ত শুধু জামাত শিবির আর বিএনপিকে নিয়েই । দেশে প্রতিনিয়তই হত্যাকান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধী পাচ্ছে কিন্তু হত্যাকারীকে ধরতে প্রতিনিয়তই ব্যর্থ হচ্ছে এদেশের প্রশাসন । এ দেশ কখনওই মুক্ত মতামত প্রকাশের দেশ নয় । কেননা এ দেশে মুক্ত মত প্রকাশ করা হলে সরকারতো কিছুই করতে পারবে না । কিন্তু মৌলবাদীরা জঙ্গী গোষ্ঠীরা ঠিকই এর বিচার করবে । কেননা আজকাল তাঁদের এটি মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়ে গেছে ।
তাই বলি এই নাস্তিকতাকে বাদ দিয়ে দেশের জন্য ভাবো , দেশের সাধারণ মানুষদের নিয়ে ভাবো , দেশকে কিভাবে বেকারত্ব , দারিদ্র এবং অবশ্যই সন্ত্রাসীদের কিভাবে মুক্ত করা যায় তা নিয়েই ভাবো । ধর্মকে অপব্যাখ্যা করা বন্ধ করো । আর সহ্য হচ্ছে না । মুক্ত চিন্তা করতে গিয়ে ধর্মকে অপমান করছো ।
এটা কি ঠিক হচ্ছে ?