প্রথম পুরুষ বলেছিল
হতে হবে রুপয় নাওয়া চাঁদের মত;
ফুলের মত, যার কাঁটা জর্জর শরীরেও হাসি থাকে।
সে বলেছিল আরো-
“যতটা বাঁকাবো বেঁকে যেতে হবে,
যতটা ভাঙ্গাবো ভেঙ্গে তত সহস্র টূকরো হতে হবে,
দিনের আলো কে যখন বলবো রাত – তখনি উঠবে গেয়ে ঘুমপরানি সুরে,
যদি চাও ভালোবাসী,
যদি না চাও, অন্য বন্দর ঘুরুক আমার ণাও।“
মেনে নেবার ভেতর প্রেম- বড় আনকোড়া ছিল,
বড় বিষ্ময় ছিল
অশ্রু তে হাসির মিশেল দেওয়ায়
প্রদিপ হয়ে বুকের কাছে আঁধার জমিয়ে রাখায়।
তবু পৃথুলার প্রথম প্রেম ছিল একমাত্র অতি-অনুভব
যেখানে কষ্টও সঞ্চয়ের ধন।
দ্বিতীয় পুরুষ কোন এক বৈরী রাতের আঁধারে সিঁধ কেটে এলো
ডাকাত ভাবার আগেই সে মেলে ধরল এক জোড়া ডানা।
সে বলেছিল-
“ এই নাও- উড়ে দ্যখো,
ইচ্ছে হলে হাসো তুমি রাজকন্যা ,
মন চাইলে গাল ভাসিয়ে কাঁদো,
চাইলেই ভাঙো এ রংমহলের কাঁচ, শিকল খোলো।
নুপুর এনেছি, পরাই তোমার পায়ে?
ছুটবে এস, শুনুক সবাই, তুমিই তোমার শব্দের কারিগর।
ভয় কি, আমি আছি।“
দ্বিতীয় প্রেমে পৃথুলা জানলো
ভালোবাসা মুক্ত করে, যুক্ত করে স্বপ্ন থেকে স্বপ্নে।
যখন রাত গভীর আর স্বপ্ন তার একাদশীতে
তখন দ্বিতীয় পুরষ সহাস্যে বলে
‘বলত কে উত্তম পুরুষ?’
পৃথুলা স্মিত হাসে, সুখের ভেলায় ভাসে।।
উত্তম পুরুষ আরমোড়া ভাঙ্গে- “এবার তবে যাই,
জানলে তো ভালবাসা কারে কয়”
দ্বিখন্ডিত পৃথুলার পৃথিবীতে অবাক আলকিত ভোর হয়।
জুল্য,২০১৩/ লন্ডন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



