প্রিয় ঢাকা,
এখানে যখন ঝলমলিয়ে উঠে চার রঙা আলোর ঘাঘরা
তখন তোমার লোডশেডিং এর চাপ চাপ অন্ধকার আমায় বড্ড টানে।
নহবত এর সুরের মত ঠান্ডা হাওয়া প্রশান্তি ছড়ায় যখন জুনের দুপুরেও
তখন বুকের খুব ভেতরে তুষারের কাফনে মোড়ানো একাকীত্ব কে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে একটা চৈত্র দুপুরের কামনা যে কি উন্মাদ করে দেয়
তা শব্দের শরীরে আমি কি করে লিখি?!
তুমি জানো ঢাকা – এখানকার ‘হাই স্ট্রিট’ গুলো ঠাঁসা পারফিউম শপে
এমনকি অনায়াসে তোমার নাকের পথ খুঁজে নেবে হালাল সৌরভ ,
তার মানে শত ভাগ নন এলকোহলিক সুগন্ধি আরকি,
অথচ, তোমার কোন এক তস্য গলির মোড়ে থাকা পূতিগন্ধি কোন ভাগাড়
আজকাল আমায় মদির পিয়াসী তেস্টায় ছারখার করে!
রমনের বুভুক্ষুতা উত্থিত করে; ছোটায়; মাতায়
চেয়ে দেখি গনিকার বিছানায় লেপ্টে আছে আমার বিন্দু বিন্দু ক্লান্তি ।
ঢাকা,
তোমার কোলে কোথাও থাকা আমার প্রেয়সী কে খুব মনে পরে তখন,
যে এখন পর-পুরুষ বা স্বামীর! মঙ্গল কামনায় সিঁথি রাঙায় সিদুরে,
যার চোখের কাজল কত দিন নির্বাণ প্রাপ্তির আমন্ত্রন জানিয়েছিল।
হায় নির্বাণ !
এই ঝাঁ-চকচকে মেট্রপলিস
কটা টাকা আর কতো গুলো বেশ্যাবাড়ী দিয়ে বেঁধেছে
আমার পকেট আর প্রয়োজন,
তুমি তো বাঁধা আমার অত্মিক আকাঙ্ক্ষার আয়োজনে।
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসছ বুঝি?
হেস না, প্রিয় শহর আমার
কোন একদিন ফিরবোই অবার,
ফিরবো তোমার জ্যাম বাধা রাজপথের নিকুচি করতে;জল জমা গলির ওপর গালি ছুড়তে;
বেড়ে চলা তেল নুনের দাম নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করতে,
আর চিৎকার করে বলতে-
আমি তোমায় তারপরও ভালোবাসী।।
লন্ডন, ০১/০২/২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



