দেশ থেকে অনেক দূরে বসে হয়তো যা লিখতে যাচ্ছি তা লেখা মানায় না, লোকে বলবে দূরে বসে এমন সবাই বড় বড় বুলি ছাড়তে পারে- তবে পাছে লোকে কিছু বলে ভেবে বসে না থেকে আজ ভাবছি বলবো, অবশ্য বলা নয় , জিজ্ঞেসা করা বলা যায়- আজ কত দিন হল দেশ পুড়ছে , পুড়ছে তার মানুষ’ কিন্তু সেই মানুষ গুলো কেন নিচু তলার খেটে খাওয়া মানুষ, কই রাজপথের রাজবাহন কোন দামী প্রাইভেট কারে তো বোমা ছোড়ার খবর পেলাম না?
তবে কি ধরে নেব খেটে খাওয়া মানুষ কে কেবল ভোটের সময়ই মানুষ বলে ভাবা টা রাজনীতিক দের পবিত্র কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়, অথবা গাড়ী ওয়ালাদের দৌড় অনেক দূর বলে নিরাপদ টার্গেট হচ্ছে নাপিত, পরিবহন শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক, সাধারন চাকুরেদের মত মানুষ গুলো? আমার লেখার মানে এই নয় যে আমি বোমাবাজদের বাস, ট্রাক, সি এন জি ছেড়ে প্রাইভেট কার টার্গেট করতে বলছি – আমার বলার শুধু এটুকু যে পেট্রোল বোমা তাদের কি পোড়াবে যাদের জীবন টা ক্ষুধার যন্ত্রণায় প্রতিনিয়ত জ্বালছে?
নাকি এটাই আমাদের শ্রধ্যেয় (!) রাজনৈতিক দের উপজীব্য, তারা কি ভাবছে ক্ষুধার যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে এরা বিপ্লব ঘটাবে? যারা গদি তে গদ গদ হয়ে আসীন তাদের টেনে নামিয়ে , ঘাড়ের গামছা দিয়ে সেই গদি মুছে বোমাবাজ দের গড ফাদার কে বসিয়ে দেবে?
আমি পলিটিক্স বুঝি না বুঝতে চাই ও না, আমি শুধু বুঝি নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর সময় আমার দেশের খেটে খাওয়া মানুষের নেই।আর যে দিন পেট্রোল বোমার জ্বালার চেয়ে ক্ষুধার জ্বালা বেশি হয়ে যাবে সেদিন গদি এবং তার সমাসীন ও কামনা কাতর দুই দল কেই জ্জ্বলতে হবে। (তত্বাবধায়ক আমলে আমরা তার ট্রেলার দেখেছি, মনে হয় পুর ফিল্ম না দেখে এরা ছারবে না)
আমার হাসি পায় যখন বিরোধী দল (সে যে দলই বিরোধী শিবীরে থাকুক ) বলে “আমরা জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই চালেয়ে যাব”, বস্তুত তারা বলতে চায় আমরা ক্ষমতা দখল করেই ছাড়ব ,তাতে জনগনের বারটা বেজে তেরটাই না কেন ঝুলে যাক।
বেগম জিয়া কয়েক লক্ষ শিক্ষারতির পরীক্ষা ঝুলিয়ে দিয়ে কোন অধিকার নিশ্চিত করছেন, ওহ! আমি ভুলে গ্যেছি জাফিয়া আর জাহিয়ার পরীক্ষা তো বাংলাদেশ এ হবে না, তারা মালয়েশিয়ায় বসে পরীক্ষা দেয়। যুগে যূগে এভাবেই ভাগ্যবান জাফিয়া আর জাহিয়ারা আমাদের দুর্ভাগ্যের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতির কান্ডারী হয়, আর আমরা দাঁত কেলিয়ে হেসে এদের নেতৃত্ব মেনে নেই। কই লাগাম হীন দ্রব্য মূল্য, জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধি, ভেজাল পন্য, খাদ্য, ওষুধ, পরিবেশ ধ্বংশ এসব নিয়ে তো কোন দিন হরতাল হয় না, কারন এসব যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার পাথেও, এসবের বিরোধিতা করলে আর ক্ষমতা হাসিল করতে চাওয়া কেন?
আমি লেখা শুরু করেছিলাম খেটে খাওয়া মানুষের ওপর হামলার কথা দিয়ে এবার শেষ করতে চাই একটা আহবান দিয়ে আপনি যদি সন্দেহ করেন কেউ বোমা বানাচ্ছে, ছুড়ছে বা মদদ দিচ্ছে তবে চুপ না থেকে যে ভাবে সম্ভব প্রতিরোধ করুন- আপনার চেস্টা একটা পরিবারের হাসি ধরে রাখবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



