গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনার সভায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছিল:
গত তিন মাসে সারা দেশের অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেশের সবগুলো থানায় ৩৭ হাজার ৭৯২টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার ৫৯৭টি অপরাধ রেকর্ড করা হয়েছে (দিনে ৪২০টি করে)। এই সংখ্যা ২০০৯ সালের প্রথম তিন মাসের তুলনায় বেশি। ওই তিন মাসে সারা দেশে ৩৬ হাজার ৯০৪টি অপরাধ রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে গত বছরের শেষের তিন মাসের তুলনায় এ সংখ্যা কম।
অপরাধ পরিসংখ্যানে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে সারা দেশে ২৮টি ডাকাতি, ২৪০টি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খুন হয়েছে ৯৬৯টি। এর মধ্যে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি, চাঁদা আদায়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬৪, ছিনতাই ২৪৪, দরপত্রে বাধা দেওয়ার ঘটনা পাঁচটি এবং দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে ৩৭টি।
তিন মাসে দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তিন হাজার সাতটি, শিশু নির্যাতনের ঘটনা ৩২৪টি। এ সময় ৬৩৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ১৮০টি অপহরণ হয়েছে। তিন মাসে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ১০৫টি, চুরির ঘটনা ছিল দুই হাজার ১০৭।
সভায় শুধু মার্চের সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, এ সময় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৫০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২১১ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৯৭ জন। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এক মাসেই ৯৮টি বাস-দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যদিও আমার ধারণা অপরাধের সংখ্যা আরো বেশী হবে। সবতো আর মিডিয়াতে আসেনা আর ছাত্র সংগঠন বা গ্রুপিং এর আন্ত:কলহ এর জন্যও হত্যা-মারামারি অনেক বুদ্ধি পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: প্রথমআলো
২২ বৈশাখ ১৪১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






