ডাগর মেয়ে রচেছিলো আর জন্মের হাসি
হঠাৎ এমন শূণ্য বিকেল ভেঙে রাশি রাশি
পায়ের পাতায় ঘূর্ণি ওঠে তিন পৃথিবীর ঝড়
মুখের পরে চুলের পরে ধান বিচালি খড়
উড়ছে দেখি সা-রে-গা-মা তবলা এস্রাজ
হাহাকারে মুচড়ে উঠে বুকের গহীন ভাঁজ।
ক্লান্তি ঘোরে গোঙায় শহর; ভীষন রৌদ্রে পোড়া
পিচের নীচে ছিল নাকি মেঠো পথের ঘোড়া?
হঠাৎ এমন টগবগানো ঝিমকাটানো টানে
হাসির মাতম ছড়িয়ে দিয়ে তেপান্তরের পানে
ছুটছে শহর; দালান কোঠা, আফিস ঘরের বুড়ো
স্যুট বুট কোট এলিয়ে দিয়ে মনটা উড়ো উড়ো।
এঁদো গলি অহংকারী খোঁপা খুলে ভেসে
শাপলা শালুক চুলের কাঁটায় বাঁধলো ভালবেসে।
বদ্যিখানায় গরহাজিরা, স্কুল-খাঁচা খালি
মাঠের পরে মাঠ জমেছে, হা-হা-হি-হি, তালি।
উধাও হঠাৎ রাস্তা মোড়ে নিয়ন আলোর সঙ
আকাশ ভরা জ্যোস্না আলোয় সাত মহলার রঙ।
কালোয় ভরা এ শহরে এমনি তখন আলোর বানে
ঝড়ের বোলে জীবন খুলে খুঁজতে শেখে বাঁচার মানে।
মকর পোড়া জ্যোৎস্না মেখে মেয়ে তখন চাঁদ কপালি
তিড়িং বিড়িং তিনটি ফড়িং জীবন জুড়ে নাচছে খালি
তিড়িং বিড়িং তিনটি ফড়িং জীবন জুড়ে নাচছে খালি
তিড়িং বিড়িং তিনটি ফড়িং জীবন জুড়ে নাচছে খালি...
৬ জানুয়ারী ২০১৪
ছবিসূত্র: গুগল,
রিক্সা আর্ট, জনৈক রিক্সা শিল্পী, নায়িকাটি সম্ভবত শাবানা।
এত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়- এত এত অস্থিরতার মাঝে একটা রিকশার পেছনে একটি বাঙালি হাসি শহর বন্দর গ্রামে ঘুরে ঘুরে বলুক, আসবে সুন্দর দিন। আসবেই।
ফুটেনাট: অভিযোগ, আমরা, যারা লেখা-লেখির চেষ্টা করি, নাকি ইদানীং কেবলি শক্ত শক্ত শব্দের হাবিজাবি ভাবের কবিতা লিখি। এক নিকট-আত্নীয় বলেছেন, আজকালের কবিদের কবিতা না পড়ে ডিকশানারী পড়লেও হয়, একই আমেজ। হা হা হা। কথাটি মনে হয় একেবারে ফেলে দেবার মতো ও না।
একটা সহজ কথার ছন্দ আটকানো কবিতা লিখতে চেষ্টা করলাম, চেষ্টা বলবো না, নিজ থেকেই যেন তৈরী হতে শুরু করলো, ”মকর পোড়া জ্যোৎস্না মেখে মেয়ে তখন চাঁদ কপালি” লাইনটি বহুদিন ধরে ভোগাচ্ছে, আজ একটা হ্যস্ত ন্যস্ত হলো। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১