ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়নের জায়গা নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই জাতির একটা ঐতিহ্য।বিভিন্ন উপলক্ষে তাই এখানে সকল শ্রেনীর মানুষের মিলন মেলা বসে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে কিছু নিশৃংষ ও নোংরা ঘটনা এই এলাকার সুনাম নষ্ট করে চলেছে। অতি সাম্প্রতিক পহেলা বৈশাখে যা ঘটেছে এর পরিপ্রক্ষিতে মানুষ এখন এই জায়গায় মেয়েদের না যাবার পরামর্শ দিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অপরাধী সনাক্তকরন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে পড়লেও আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় এই সব অপরাধের বিচারতো হচ্ছেই না, উলটো বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হতে হচ্ছে। এটা এখন ওপেন সিক্রেট যে, পুলিশ কেন এই এলাকায় নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে ।
অত্যন্ত দুঃখজনক যে পুলিশের সাথে সাথে আমরাও অনেকটা নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছি। ফেসবুকে নিন্দার ঝড় বইয়ে নিজ নিজ দ্বায়িত্ব শেষ করছি। কিন্তু এভাবে আর কতকাল?সময় এখন পাল্টা আঘাত হানার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা এখানের ছাত্র ছাত্রীদেরই করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়টা বাম পন্থী ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে তারা এই ইসূতে এমনিতেই যথেষ্ঠ সোচ্চার। এখন প্রয়োজন আরো সুসংগঠিত হওয়া। ছাত্র সংগঠন, বিএনসিসি এবং সাধারন ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা প্রয়োজন। উৎসবের সময়ে এরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাহা্রার ব্যবস্থা করতে পারে। সাধারনত অপকর্মে অল্প কিছু বখাটেই লিপ্ত হয়। পুলিশের অপেক্ষায় না থেকে যদি পাহারায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এইসব বখাটেদের বিরুদ্ধে দাড়াতে উপস্থিত সকলকে আহবান জানায় তবে ঐসব বখাটেদের আর ছবি তুলে ফেসবুকে দেবার প্রয়োজন পড়বে না, ঘটনা স্থলেই তাদের খবর হবে।
রাস্ট্র যখন নাগরিকের নিরাপত্তা দেয় না, তখন নাগরিকদেরই একত্রিত হয়ে নিজেরদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। বাঁচার জন্য পাল্টা আঘাত হানতে হবে।