''এ যেন বিরতির পর ধারাবাহিক নাটকের পরের পর্ব। ব্লগার অভিজিৎ থেকে সবশেষে দীপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের ব্যবধান গড়ে দু’মাস ---( প্রিয়ডট কম)।
ধর্ম ব্যপারটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটা বিষয়। কে কোন ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করবে আর কে না করবে না এটা একান্তই যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার। কিন্তু সমাজে শান্তি বজায় রাখতে হলে একে অন্যর ধর্মীয় বিশ্বাস বা অবিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করতে শিখতে হবে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এই ইস্যূতে অত্যন্ত কঠোর। ধর্মীয় উস্কানিমুলক কর্মকান্ডের জন্য রয়েছে কড়া শাস্তির বিধান।কিন্তু বাংলাদেশ আইন শৃংখলার দেশ না। এই দেশে কোনটা অপরাধ আর কোনটা না সেটা বোঝারও উপায় নাই।কথিত মুক্তমনাদের ধর্মীয় উস্কানিমুলক কর্মকান্ড প্রতিহত করার কোন ব্যবস্থা এখানে নেয়া হয় না। আবার এদের ধারাবাহিক হত্যাকান্ডের কোন বিচারও করা হয় না।
মুক্তমনাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। তারপরো মনে হয় এদের ঘটে ঘিলু বস্তুটা যথেষ্ট কমই আছে। একের পর এক হত্যাকান্ডের পরও এরা বাস্তবতা বুঝতে অক্ষম। আজকের হাই টেকনোলজির যুগে দিনে দুপুরে খুন করে যাওয়া হত্যাকারীদের ধরতে অক্ষম আমাদের পুলিশবাহিনী!!!!কেন একটু ভেবে দেখবেন কি তারা?
সদ্যপুত্র হারান দীপনের বাবা বলেছেন ‘আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যাঁরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, উভয় পক্ষ দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা''।
নিশৃংষভাবে খুন হওয়া এক পুত্রের দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পিতা যখন বিচার চান না তখন বুঝতে হবে কোন অবস্থানে দড়িয়ে আছি আমরা।