somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণ ও সরকারকে যা প্রমাণ করতে হবেঃ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লার বিচারের যে রায় দিয়েছে তা ছিল একপ্রকার প্রহসন। সেই প্রহসনটা কেন হয়েছিল বা এর পিছনের কারণগুলো কি ছিল সেটা আমি ব্যাখ্যা করেছি “সরকার যে ভয়টি পেয়েছিল লেখার শিরোণামে”। সেখানে আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি, একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কি কি চাপ থাকে সেগুলো তুলে ধরার। যাইহোক, রায়টি ঘোষিত হয় গত ৫ই ফেব্রুয়ারী এবং সেইদিনই আমি লিখেছিলাম, “এই রায় মানিনা, ফাসির কোনো বিকল্প নাই”। ফাঁসির বিকল্প কেন নেই সেটাও পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। ঠিক তখন শাহবাগে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও হরতালের করেন যানবাহন না থাকায় থাকায় যাওয়া হয়ে উঠেনি কিন্তু ব্লগে আমি আন্দোলন চালিয়ে গেছি। এই রায়ের কারণে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে, চারদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠে যায়। ক্ষোভ যে এত বৃহৎ হতে পারে তা সরকার ন্যূনতম আন্দাজও করতে পারেনি। মানুষ ক্ষেপে গিয়ে সরকারকে গালমন্দ করলেও, পরিশেষে লাভ হয়েছে সরকারেরই। সরকার বুঝতে পেরেছে যে জনগন সত্য ব্যাতীত কোন মিথ্যা চায়না, তাদের সাথে কোন ধাপ্পাবাজি চলবেনা। তবে এই সমর্থনটা সরকারের খুব প্রয়োজন ছিল, খুব প্রয়োজন ছিল। সরকার এই রায় নিয়ে ভয়াবহ চাপে ছিল, দেশীয় আন্তর্জাতিক সহ গৃহযুদ্ধের স্পষ্ট চাপ ছিল। এই চাপ মুক্ত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে মানুষের এই সতস্ফূর্ত সমর্থনের খুব প্রয়োজন ছিল। তবে মানুষেরা, অর্থাৎ আমরা সবাই যারা এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত তারা সরকারকে একটা সু্যোগ দিয়েছি বলে বলতে পারি। তবে এই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ তাদের একবার প্রমাণিত করল। শাহবাগ থেকে শুরু করে দেশের , বিদেশের সকল জায়গায়, সকল মাধ্যমে সকল উপায়ে গণবিস্ফোরন করে প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা আসলেই শিবির জামাত মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়, ফাঁসির কোন বিকল্প ও চায়না। এত সুশৃঙ্খল, ও সুন্দর ভাবে সত্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন মানুষ আগে কখনো দেখেছে বলে মনে হয়না। জনগন তাদেরকে একবার প্রমাণ করেছে মহা মহাসমাবেশে শিবির ও জামাত নিধনের প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে। সরকার ও তাদের পর্যালোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল আইনটি সংশোধন করে আপীল করার করার উদ্যোগ নিয়েছে। মানুষের এত সমর্থন ও সাহসে পুলিশ সহ প্রশাসনের সকলে উদ্দীপ্ত হয়েছে। তাই কক্সবাজারে যখন জুম্মার নামাযের পর জামাত শিবির পুলিশের উপর হামলে পরে, পুলিশ ও তাদের ছেড়ে দেয়নি। তাই এই সংঘর্ষে প্রশাসনের অনেকে আহত হলেও তিনজন পাকিস্তানি কুকুর মারা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামাত শিবির সরকার ও জনগণকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তারা আগামী সোমবার এই দেশ একদিনের জন্য অচল করে দিতে চায়, তারা এই দিন জনগণ স তাদের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করবে। সর্বপরি তারা, এই আন্দোলনের মধ্যেও তারা দেশকে হুমকি দিতে পারে, দেশের অভ্যন্তরে থেকে। তাই সরকারকে এখন প্রমাণ করতে হবে যে তারা সঠিক পথে আছে। আর জনগণকেও প্রমাণ করতে হবে যে শুধু মুখেই নয় কাজেও তারা রাজপথে আছে। শিবির নিধন কর্মসূচী চলবে। সরকারকে যেভাবে প্রমাণ করতে হবে সেটা হল আগামী সোমবার কোনভাবেই হরতাল হতে দেয়া যাবেনা, জামাত শিবির প্রতিহত করতে হবে। তারপরে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করে, আইন করে এদের নাগরিকত্ব বাতিল সহ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আর জনগণকে এবার স্লোগানের সাথে লাঠি নিতে হবে। যেখানে জামাত শিবির সেখানেই গণধোলাই, সেখানেই তাদের নিধন করতে হবে, যেভাবে পাগলা কুকুর নিধন করা হয়। আসুন আমরা আমাদের প্রমাণ করি।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×