মেড ইন জিঞ্জীরা
মোতাহের সাহেব চাকুরীর ভাইভা দিতে যাবেন। আজ তার ভাইভা মতিঝিলে একটা ব্যাংকে। তিনি রওনা দিলেন উত্তরা থেকে বৈদ্যুতিক ট্রেনে। ট্রেন ৩০০ কিঃমিঃ বেগে চলতে গিয়ে রেললাইন থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি হাত,পা ও মাথায় মারাত্মক আঘাত পান। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ডাক্তার বললেন যে, তার হাত পা ও মাথা পরিবর্তন করতে হবে। তার স্ত্রী শুনে বললেন, আপনি কাজ শুরু করুন আমি টাকার ব্যাবস্থা করছি। ডাক্তার তার চেম্বারে গিয়ে দেখলেন সেখানে কোন দেশের আর কোন কোম্পানীর তৈরি হাত- পা- মাথা আছে। ৪৫ মিনিটের অস্ত্রোপচারের পর বিল এল ৩০ হাজার টাকা। মোতাহের সাহেব সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে ভাইভাতে অংশগ্রহন করতে গেলেন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল, ভাইভাতে মোতাহের সাহেবের দক্ষতায় সবাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন। প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা তাকে বললেন আপনাকে ভাললেগেছে, প্রতিষ্ঠানের একটা ছুতা আপনাকে ধরিয়ে দেব যাতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন আছে। ভাললাগলে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। হঠাৎ ই গোলমাল পাকিয়ে গেল। মোতাহের সাহেব শুনলেন আমরা আপনাকে একটি “জুতা” ধরিয়ে দেব! তিনি ক্ষোভে তাদেরকে পুরাতন ঢাকার ভাষায় গালি শুরু করে দিলেন। ওফিসের লোকজন এবার বললেন ওনাকে ধরে বসান। তিনি শুনলেন “মেরে বসান”। তিনি হাত উচিয়ে তাদের দিকে তেড়ে যেতেই, হাত খুলে গেল। তবে পা ভাল থাকায় তিনি দৌড়ে সেখান থেকে পালালেন। তার স্ত্রী পুলিশের কাছে সেই ডাক্তারের বিরুদ্ধে খারাপ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে অভিযোগ করলেন। ডাক্তার স্বীকারোক্তিতে বললেন, তিনি মোতাহের সাহেবকে চাইনীজ হাত, জাপানীজ পা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাই মারতে গিয়ে হাত খুলে গিয়েছিল কিন্তু জাপানীজ পা হওয়াতে পালাতে পেরেছেন। ডাক্তার আরো স্বীকার করতে বাধ্য হলেন, তিনি জাপানীজ মাথা বলে জিঞ্জীরার তৈরি মাথা লাগিয়ে দিয়েছিলেন, তাই সামান্য সংযোগ বিচ্ছিন্নতেই এত ঝামেলা হল।
মুরাদ খন্দকার ইমন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




