এইচএসসির প্রথম বর্ষ থেকেই আপন হয়ে গেল এই কলেজ। তারপর একে একে কেটে যায় দুটি বছর।
এইচএসসির পর ভর্তি হলাম অনার্সে। আমাদের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে একটি মাঠ আর তার ঠিক সঙ্গেই ছোট পুকুর। এমনিতে মনে হতো মাঠ ছাত্রদের খেলার জন্য আর পুকুর এলাকার মানুষের গোসলের। কিন্তু নবাগত সবার এই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিতে শীত আর বর্ষা ঋতু যেন ঘাপটি মেরে থাকে। প্রথম বর্ষের একদিন বিভাগে যেতেই চোখে পড়ল সিনিয়র ক্লাসের ছেলেমেয়েরা গোল গোল হয়ে মাঠে রোদ পোহাচ্ছে। ওই শীত থেকেই শুরু হলো আমাদের ঈর্ষণীয় সেই গোল হয়ে রোদ পোহানোর আড্ডা। আর আস্তে আস্তে বাড়তে থাকল আমাদের দলও। রিপন, জেনী, রাকা, সাঈদ, চাঁপা, পোষণসহ আরও অনেকে। সবচেয়ে ভালো লাগত বর্ষায়। যখন পুকুর ভরাট হয়ে মাঠ পর্যন্ত প্লাবিত হতো। তখন পুকুরের মাছে মাঠকে মনে হতো মাছের উন্মুক্ত অ্যাকুরিয়াম। ভালো লাগত বিভাগীয় প্রধান মোজাম্মেল হক স্যারের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। পিয়ন মুজিব ভাইয়ের ছন্দ মিলিয়ে কথা বলার স্টাইল আর নঈম উদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান স্যারের ক্লাস যেন কোনো দিন ভোলার নয়।
কলেজে ক্লাস আর হাসি-আনন্দেই কেটে যেত আমাদের সারা দিন।
উজ্বল স্মৃতির উচ্ছল ভঙ্গিতে শেষ হয়ে গেল আমাদের লেখাপড়া। দেখা হবে না কারও কারও সঙ্গে অনেক দিন। প্রয়োজনের পথ ধরে জীবন আমাদের নিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্মে। প্রয়োজনের বাইরে হয়তো কলেজ ক্যাম্পাসেও যাওয়া হয় না। তবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কলেজ আর বিভাগই আমাদের কাছে অন্য রকম ইতিহাস আর প্রেরণা.....
প্রথম আলো'তে ছাপানো অংশ...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




