মহাকালের শরীরজুড়ে তন্দ্রাহত অথচ দগ্ধ বাতাসের ঘ্রাণ উড়ে বেড়ায় ,
সুগন্ধী এক গাঙ্গচিলের ডানায় ভর করে রোজ তুমি আসতে , আসো ... সেই দৃষ্টিপাত !
সেই বিক্ষিপ্ত অথচ নিঃশব্দ-নিঝুম দৃষ্টিপাত ভর করে নিউরনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ।
এরমাঝে কতোশত বসন্ত কেটে যায় , বন্ধকপাট ভেঙ্গে মহুয়া বন ছেড়ে অজস্র মেঘছুঁয়ে বৃষ্টিবিলাস , কুয়াশায় মাতাল সন্ধ্যাফুল আর কৃষ্ণচূড়ার অভিসম্পাত পেরিয়ে , নৈবদ্য সাজাই সেই দৃষ্টিপাতে ! অনিঃশেষ স্মৃতিবিনাশী মেঘ-পরাগের দল - আহত নির্জনতায় কিংবা শীতের রাতে বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি শব্দের মতো প্রবল উল্লাসেও কেন তবে পথ দেখায় ?
পথের শেষ প্রান্তে নয় , প্রতি পরতে পরতে কাজলদানীর মেঘাচ্ছন্ন আহবানে শ্রান্ত হয়ে আঁধার পাতায় তোমায় লিখি ।
তোমায় লিখি -
কেন জীবতত্ত্ব নিয়ে ভাবতে বসে , অন্ধ পাখির আর্তনাদ শুনে ভেবে বসি তুমি নিশ্চিতভাবে দুর্বোধ্য নও ।
অলৌকিক অন্ধকারে ছুড়ি গেঁথে , অদৃশ্য আততায়ী হয়ে ভেবে বসি তুমি নিশ্চিতভাবে নির্লিপ্ত নও ।
তোমার ঠোঁটের কোণে সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের অবহেলিত মেঘ অথবা জল এনে দিলেও কি দুর্বোধ্য থেকে যাবে ?
পাখিদের ডানায় সন্ধ্যা নামলে , ঝুরি ঝুরি জোছনায় ঘোর ভাঙ্গবে কি ?
অযাচিত দৃষ্টি সমীকরণ মিলাতে বসে ভাবি , এইসবের প্রয়োজনীয়তা কখনোই ছিলনা কিংবা কেউ কখনো অনুভব করেনি !
তবুও -
প্রবল বিক্রমে অগাহ্য করতে গিয়ে বারবার বিষাদগ্রস্থতায় থমকে দাঁড়িয়ে , বিচ্যুত জোছনাকালে , মৃত ধুলোবালি উড়িয়ে দিয়ে আমি হারাই দৃষ্টিপাতে ... এবং বারবার!
প্রিয় মেঘবতী ,
তুমি না হয় নাইবা জানলে , নাইবা অনুভব করলে ।
থাকুক না জীবন বিবর্ণ , থাকুক না বদ্ধ আলোকে বন্দী ধূসর কাঠবিড়ালী ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯