বিস্মিত কিন্তু অনাশ্রিত হাতের রেখাগুলোকে রাস্তা ভেবে হারিয়ে যাই দুবির্নীত, ক্ষতবিক্ষত, দিকচিহ্নহীন দিগন্তের সূচনায়। আঙ্গুলের ভাঁজে আগুনমাখা অভিমান গাঢ় হয়ে যায়, অপেক্ষারত দেবদূত দেবদারুটির কম্পন উপেক্ষা করে তাকিয়ে থাকে অভিমানের নীল চোখে!
তারপর ও আমি হারাই সমুদ্রের অতলে , আমি হারাই নক্ষত্রে, আমি হারাই নিঝুম অরণ্যের পাখিদের ঠোঁটে ... দেখা মেলে বিষন্ন বালিয়ারি হাসের ডানায়, বিন্দু বিন্দু জলে ভালোবাসা! বুকের ভিতরে এভাবেই থাকে কেউ, অগোছালো নীলপদ্মেরা দীর্ঘ হতে হতে সন্ধ্যায় গিয়ে হারায় তবুও আনকোরা প্রান্তরে হলদেটে বিভ্রাট তখনো নি:শ্বাস নেয় ক্ষণে ক্ষণে!
জন্মান্ধরূপে প্রাচীনতম তৃষ্ণার অনুভবে কবেকার অনুরণনে হেসে উঠে প্রজাপতি, কারো চোখের ভিতরে ছিন্নসুতোর ঘুড়ি উড়ে, ঘুড়ির পিঠে ছায়ামাখা মেঘসব ধাতবনৃত্যে মাতাল। সেইসব উড়ন্ত মেঘসব কেঁদে কেঁদে বৃষ্টি হয়ে নোনাজলে চোখ ভেজায়, ক্লান্তিতে!
কারো মৃন্ময় চুলের ভিতরে ঢেউ উঠে আকাশে ভাসতে থাকা বিস্তৃত হাওয়ার আদলে, সেইসব আলোড়নে আমি ডুবে গিয়ে অবশ হয়েছিলাম নীরব আখ্যানের ভিতরে!
নৈঃশব্দের ভাষায় চিরহরিৎ সন্ধ্যা নেমে আসে, সে সব জানে, জানে সন্ধ্যার লালচে আলোয় গোলাপের রক্তে বাধাগ্রস্ত আমার অমরত্ব ...
বস্তুত কেউ জানে না, যার জানার কথা সে অনুভবে অবশ কিংবা ক্ষতবিক্ষত।
নীলিমার নীল সব আমার ছুড়ে দেয়া আগুনের উত্তাপে গলে গলে পড়ুক, পৃথিবী নীল হয়ে যাক, আকাশটা রংহীন!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১