ঘটনা -১
চাকুরির ভাইভার দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সবার থেকে বিদায় নিয়ে গেলাম । এ ন জি ও চাকুরী বিকেলেই ফলাফল জানা গেল চাকুরী নিশ্চিত। ক্যাম্পাসে ফিরলাম ,লাইব্রেরীর সামনে সবাই হাজির । শাহবাগ থেকে রিক্সা নিয়ে লাইব্রেরীর সামনে নেমে দেখি সবাই দাঁড়িয়ে আছে । ভাড়া মিটিয়ে মানিব্যাগ পকেটে রাখতে গেলাম একজন এসে বলল , এই মানিব্যাগ এখন থেকে আমার । ১৪০০ টাকা ফেরত দিয়ে সে মানিব্যাগ নিয়ে গেল । আরেক জন এসে পকেট থেকে ১৪০০ টাকা নিয়ে ১০০ টাকা ফেরত দিয়ে বলল , এই টাকাটা আমার খুব দরকার । একজন এসে হাতের ঘড়িটা খুলতে খুলতে বলল , তোর এই ঘড়িটা আমার খুব পছন্দ ছিল এত দিন বলতে পারিনি ,আজ থেকে এটা আমার। একজন কোমড়ের বেল্টের দিকে হাত বাড়াচ্ছিল , হাতে পায়ে ধরে মাপ চেয়ে রক্ষা পেলাম এই বলে যে, প্রথম মাসের বেতন পেয়ে তাকে একটা ১৫০০ টাকার বেল্ট কিনে দিব। একজন আবদার করল এক জোড়া জুতার । দুই ঘন্টা আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম । বিশ্বাস করুন , মনে একটু ও কষ্ট লাগেনি , ঐ দিন থেকে বন্ধুদের আরো বেশি আপন মনে হতে লাগল।
ঘটনা - ২
এক বন্ধুর জন্মদিন । সবার কাছ থেকে চাদা উঠালাম ৩০ টাকা করে। একজন ২০০ টাকা দিয়েছিল । আমি কোন টাকা দেই নাই। আগের দিন জানিয়ে দেয়া হল পরের দিন সন্ধ্যাবেলা আড্ডা হবে । আজিজ থেকে কেক কিনে বন্ধুকে ফোন দিলাম লাইব্রেরীর সামনে আসতে । তখনও সবাই হাজির হয়নি । আমরা ৬-৭ জন ছিলাম । যার জন্ম দিন সে হাজির । সে এসে জিজ্ঞাস করল কি হয়েছে? কেন খবর দিয়ে এনেছি ? বললাম তোর জন্মদিন । সে বলল , আমার মা ছাড়া একথা আর কারো জানার কথা না ,তোরা কীভাবে জানলি ? যাইহোক কেক কাটার কোন চাকু ছুরি ছিল না । তাই , যার জন্ম দিন তাকে বললাম তুই কেক নিয়ে একটু বসে থাক , আমরা ছুরি জোগাড় করে নিয়ে আসি । আধ ঘণ্টা পর ফিরে এসে সেই বন্ধুকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না । ফোন করার পর সে বলল, আমার জন্মদিন তাই আমার কেক আমি নিয়ে বাসায় চলে এসেছি । তার পর থেকে ফোন বন্ধ। আমরা হাসব না কাঁদব ..। একমাস কোন যোগাযোগ নাই । একদিন ফোন এল সে মালএশীয়া চলে গেছে কাঊকে কিছু না জানিয়ে। কারণ উদ্ঘাটন করে যানা গেল তার বান্ধবী বিয়ে করার জন্য চাকুরী যোগার করতে বলেছে তাই রাগ করে চাকুরী করার জন্য চলে গেছে। একবছর পর ফিরে এসে বিয়ে করে । অতপর তারা.।.।.।.।.।.।.।.।
( চলবে)